খেলা
‘প্রতীক্ষার দেয়াল’ ভাঙলেন মাহমুদুল্লাহ
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
আট বছর কেটে গেছে, দেশ-বিদেশে কোথাও নেই সেঞ্চুরি। অপেক্ষাটা ধীরে ধীরে যেন দেয়াল হয়ে উঠেছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সামনে। অথচ টেস্ট অভিষেকের এক বছরের মধ্যেই ২০১০-এ পেয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরির পর কত রং বদলেছে ক্রিকেট দুনিয়াতে। কিন্তু সেই রংয়ের ছোঁয়া লাগেনি মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে। অবশেষে সেই অপেক্ষার অদৃশ্য দেয়াল ভেদ করলেন তিনি। গতকাল দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির। অভিষেকের ৯ বছর পর দেশের মাটিতে তিনি সাদা পোশাকে ছুঁয়েছেন জাদুকরি তিন অংক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে হয়েছে তার অনেক অপেক্ষার অবসানও। একই ঘটনা ঘটেছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও। ২০০৭-এ অভিষেকের পর প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেতে অপেক্ষো ৮ বছর। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি হাঁকান তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। অন্যদিকে এত দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ইনিংসে ভেঙেছে অপেক্ষার রেকর্ডও।
নিজের পঞ্চম ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া মাহমুদুল্লাহ এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন ৩৫ টেস্ট। সেই হিসেবে ৩০ ম্যাচে তার কোনো সেঞ্চুরি নেই। এত লম্বা অপেক্ষা এর আগে ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। তিনি ২০০১ সালের পর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০০৪-এ। এরই মধ্যে তিনি খেলে ফেলেন ২২ টেস্ট। আর দেশের বাইরে দুই টেস্ট সেঞ্চুরির মাঝে লম্বা সময় অপেক্ষার বিশ্ব রেকর্ড অ্যাডাম প্যারোরের। ৭৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক উইকেটকিপার। দুই সেঞ্চুরির মাঝে খেলেছিলেন ৫৭ টেস্ট।
মাহমুদুল্লাহ ওয়ানডের পর টেস্ট ক্যারিয়ারে কঠিন চ্যালেঞ্জে দেখা পেয়েছেন তিন অঙ্কের। গতকাল সকালে ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তার দল বেশ বিপদেই পড়েছিল। ২১৮ রানের লিড নিয়েও চোখে তখন হারের ভূত দেখছে সবাই। সেখান থেকেই দলকে টেনে নিয়েছেন অধিনায়ক। সিলেট টেস্টে হারের পর তার ফর্মই নয় প্রশ্ন উঠেছিল নেতৃত্ব নিয়েও। তিনি নিজেও নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। বলেছিলেন, ‘অধিনায়ক হতে হলে সামনে থেকে লড়াই করে নেতৃত্ব দিতে হয়। সেটিও পারছি না। আশা করি সামনে হবে।’ অবশেষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সেই কাজটি করলের দারুণভাবে। চা বিরতির আগে শেষ বলে দুই রান নিয়ে স্পর্শ করলেন সেঞ্চুরি। সেসঙ্গে দলকে করেন বিপদমুক্ত। বলতে গেলে তার ব্যাটের কল্যাণেই এখন মিরপুর টেস্টে জয়ের সুভাস। অপরাজিত ১০১ রান করেন কেবল ১২২ বলে।
জিম্বাবুয়ে দল বিদায় নেয়ার আগেই বাংলাদেশে চলে এসেছে ক্যারিবীয়রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চ্যালেঞ্জ একেবারেই দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন টেস্টের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের খেলার সম্ভবনা অনেকটাই ক্ষীণ। ইনজুরি পুরোপুরি সেরে না উঠলে তাকে হয়তো দেখা যাবে না টেস্টেও। তাই নেতৃত্বের ভারটা হয়তো পড়বে মাহমুদুল্লাহর ওপরই। আর এমন সেঞ্চুরি পাওয়ার তার ওপর ভার দিতে দ্বিধা করবে না বিসিবিও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (৪র্থ দিন)
টস: বাংলাদেশ, ব্যাটিং
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫২২/৭ ডি.
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩০৪
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২২৪/৬ ডি. (লিটন ৬, ইমরুল ৩, মুমিনুল ১, মিঠুন ৬৭, মুশফিক ৭, মাহমুদুল্লাহ ১০১*, আরিফুল ৫, মিরাজ ২৭*, জার্ভিস ২/২৭, তিরিপানো ২/৩১, রাজা ১/৩৯, উইলিয়ামস ১/৬৯)।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৩০ ওভার; ৭৬/২ (মাসাকাদজা ২৫, চারি ৪৩, টেইলর ৪*, উইলিয়ামস ২*, মিরাজ ১/১৬, তাইজুল ১/৩৪)।
নিজের পঞ্চম ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া মাহমুদুল্লাহ এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন ৩৫ টেস্ট। সেই হিসেবে ৩০ ম্যাচে তার কোনো সেঞ্চুরি নেই। এত লম্বা অপেক্ষা এর আগে ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। তিনি ২০০১ সালের পর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০০৪-এ। এরই মধ্যে তিনি খেলে ফেলেন ২২ টেস্ট। আর দেশের বাইরে দুই টেস্ট সেঞ্চুরির মাঝে লম্বা সময় অপেক্ষার বিশ্ব রেকর্ড অ্যাডাম প্যারোরের। ৭৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক উইকেটকিপার। দুই সেঞ্চুরির মাঝে খেলেছিলেন ৫৭ টেস্ট।
মাহমুদুল্লাহ ওয়ানডের পর টেস্ট ক্যারিয়ারে কঠিন চ্যালেঞ্জে দেখা পেয়েছেন তিন অঙ্কের। গতকাল সকালে ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তার দল বেশ বিপদেই পড়েছিল। ২১৮ রানের লিড নিয়েও চোখে তখন হারের ভূত দেখছে সবাই। সেখান থেকেই দলকে টেনে নিয়েছেন অধিনায়ক। সিলেট টেস্টে হারের পর তার ফর্মই নয় প্রশ্ন উঠেছিল নেতৃত্ব নিয়েও। তিনি নিজেও নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। বলেছিলেন, ‘অধিনায়ক হতে হলে সামনে থেকে লড়াই করে নেতৃত্ব দিতে হয়। সেটিও পারছি না। আশা করি সামনে হবে।’ অবশেষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সেই কাজটি করলের দারুণভাবে। চা বিরতির আগে শেষ বলে দুই রান নিয়ে স্পর্শ করলেন সেঞ্চুরি। সেসঙ্গে দলকে করেন বিপদমুক্ত। বলতে গেলে তার ব্যাটের কল্যাণেই এখন মিরপুর টেস্টে জয়ের সুভাস। অপরাজিত ১০১ রান করেন কেবল ১২২ বলে।
জিম্বাবুয়ে দল বিদায় নেয়ার আগেই বাংলাদেশে চলে এসেছে ক্যারিবীয়রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চ্যালেঞ্জ একেবারেই দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন টেস্টের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের খেলার সম্ভবনা অনেকটাই ক্ষীণ। ইনজুরি পুরোপুরি সেরে না উঠলে তাকে হয়তো দেখা যাবে না টেস্টেও। তাই নেতৃত্বের ভারটা হয়তো পড়বে মাহমুদুল্লাহর ওপরই। আর এমন সেঞ্চুরি পাওয়ার তার ওপর ভার দিতে দ্বিধা করবে না বিসিবিও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (৪র্থ দিন)
টস: বাংলাদেশ, ব্যাটিং
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫২২/৭ ডি.
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩০৪
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২২৪/৬ ডি. (লিটন ৬, ইমরুল ৩, মুমিনুল ১, মিঠুন ৬৭, মুশফিক ৭, মাহমুদুল্লাহ ১০১*, আরিফুল ৫, মিরাজ ২৭*, জার্ভিস ২/২৭, তিরিপানো ২/৩১, রাজা ১/৩৯, উইলিয়ামস ১/৬৯)।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৩০ ওভার; ৭৬/২ (মাসাকাদজা ২৫, চারি ৪৩, টেইলর ৪*, উইলিয়ামস ২*, মিরাজ ১/১৬, তাইজুল ১/৩৪)।