বিনোদন
সংগীত পরিচালনায় গায়িকারা
গ্রন্থনা : বিনোদন বিভাগ
১৫ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের সংগীত আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র ফেরদৌসী রহমান। তার গাওয়া অনেক গানই শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। সেই গানগুলো কালজয়ী হয়ে এখনো মানুষের মুখে মুখে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রথম নারী সংগীত পরিচালকও তিনি। তার পথ ধরেই পরে অনেক নারী সংগীত পরিচালকের আবির্ভাব ঘটে। তাছাড়া তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের গান করেছেন। ফেরদৌসী রহমানের গানে হাতে খড়ি হয় তার পিতার কাছে। পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান প্রমুখ সংগীতজ্ঞের কাছে তালিম নিয়েছেন। খুব অল্প বয়স থেকে তিনি মঞ্চে গান করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে রেডিওতে খেলাঘর নামের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ১৯৬০ সালে ‘আসিয়া’ নামের চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেন। ষাট ও সত্তরের দশকের বহু চলচ্চিত্রে তিনি নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যুক্ত ছিলেন। তার প্লেব্যাক করা চলচ্চিত্রের সংখ্যা ২৫০-এর কাছাকাছি। ১৯৬৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ টেলি-ভিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথম গান রেকর্ড করেন এইচ এম ভি থেকে। এদিকে ফেরদৌসী রহমান ১৯৬০ সালে ইউনেস্কো ফেলোশিপ পেয়ে লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিক থেকে ৬ মাসের সংগীতের ওপর স্টাফ নোটেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গানের রেকর্ড হয়েছে তার। তিনি এদেশের প্রথম নারী সংগীত পরিচালক। ১৯৬০ সালে রবীন ঘোষের সঙ্গে ‘রাজধানীর বুকে’ নামক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। তার পথ ধরে দেশীয় সংগীতে এরপর যারা গায়িকা থেকে সংগীত পরিচালনায় নাম লিখিয়েছেন তারা হলেন মিলা, তিশমা ও পুুতুল। এ তিন গায়িকা নিজেদের বেশিরভাগ গানেরই সুর ও সংগীত পরিচালনা নিজেরাই করেছেন। সে সূত্রে গায়িকার পাশাপাশি সংগীত পরিচালক হিসেবেও এদের পরিচিতি গড়ে উঠেছে।