এক্সক্লুসিভ
ড. ফরাসউদ্দিনকে ঘিরে আওয়ামী লীগে ঐক্য
রাশেদ আহমদ খান, হবিগঞ্জ থেকে
১৫ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নাম। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাবেক এই এপিএস হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। দলীয় নেতাদের কেউ কেউ মন্তব্য করছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনে ফরাসউদ্দিনের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। এমনকি আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাকে অর্থমন্ত্রী করা হবে বলেও গুঞ্জন বইছে। তাদের মতে, ড. ফরাস উদ্দিন একজন বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করা আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত কর্মী। বার্ধক্যজনিত কারণে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অবসরে গেলে ফরাস উদ্দিনকেই আগামীতে অর্থমন্ত্রী করার কথা ভাবছে দলের হাইকমান্ড। অন্যদিকে ফরাস উদ্দিন হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন নেয়ার পর থেকে এ নির্বাচনী এলাকা চুনারুঘাট-মাধবপুর এলাকার দলীয় গ্রুপিং এ চলছে ঐক্যের সুবাতাস। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বিভেদ যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তা অনেকটা নিরসনের দিকে এগুচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তবে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, বর্তমান সংসদ সদস্য বিগত ৫ বছরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেননি। তিনি দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের কথা না ভেবে ঢাকায় তার আইন পেশা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এতে নেতা-কর্মীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এছাড়া এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে না পারায় এ আসনের সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য তারা আগামী নির্বাচনের বর্তমান সাংসদকে বাদ দিয়ে অন্য যে কোন জনকে মনোনয়ন দিতে দলের হাইকমান্ডকে অনুরোধ করেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দল বেঁধে সরাসরি কেন্দ্রে হাজির হয়েও তারা এ দাবি উপস্থাপন করেন। এছাড়া অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যেও ছিল নানা বিভাজন। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বিতর্কের বাইরে থাকা ড. ফরাস উদ্দিনের মনোনয়ন সংগ্রহকে এমপি বিরোধী অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পজিটিভভাবেই দেখছেন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেউ কেউ ফরাসউদ্দিনকে সমর্থন করে নির্বাচনে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।