বাংলারজমিন
সিলেটে পাঁচভাইতে পাখি বিক্রি, দু’জন আটক
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরীর পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিপুল পরিমাণ জবাই করা অতিথি ও পরিযায়ী পাখি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় রেস্টুরেন্টটির দু’জন ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়। গতকাল বেলা ২টায় যৌথভাবে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে খাবারের সঙ্গে অতিথি পাখি অবৈধভাবে বিক্রি ও সংরক্ষণের অভিযোগে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের দুই ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়। এরা হলেন আবদুল আওয়াল ও কাউসার আহমদ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে র্যাব-৯, সিলেট জেলা প্রশাসন এবং বনবিভাগ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর সিনিয়র এ.এস.পি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, বনবিভাগের রেঞ্জার মো. দেলোয়ার রহমান। অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও বাপার সংগঠক বদর চৌধুরী। অভিযানকালে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে সংরক্ষণ করা অবস্থায় ২৫টি অতিথি পাখি গাঙ টিটি, ২৯টি সাদা ও কানি বক ও ৮টি বালিহাস এবং রান্না করা আরো ৩৯টি পাখির মাংস জব্দ করা হয়। অভিযানকালে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগে দু’জনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক দু’জনসহ রেস্টুরেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী। তিনি বলেন, এরা অতিথি পাখি জবাই ও রান্না করে বিক্রি করে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অপরাধ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া যায় না। তাই থানায় মামলা হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম জানান, পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগটি দীর্ঘদিনের। গত প্রায় ৮-১০ দিন আগে বিষয়টি তিনি বনবিভাগকে জানান। কিন্তু আইনি কিছু বিধিনিষেধের কারণে এতে সম্পৃক্ত হয় র্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসন এবং সর্বশেষ আজ ক্রেতা সেজে পাখি রেস্টুরেন্টে আছে নিশ্চিত হয়ে প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিম বলেন, সিলেটের একটা জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট যদি এভাবে অবৈধ পাখি বিক্রি করে এবং সাধারণ মানুষও তা গ্রহণ করে তাহলে তো পাখি শিকারিরা উৎসাহিত হবে। এ ব্যাপারে আমাদের আরো সচেতন হওয়া উচিত।