খেলা
১৮ বছরে বার্সায় মেসির ১৮ কীর্তি
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ থেকে ১৮ বছর আগে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনায় ক্যারিয়ারের ১৮ বছর পূর্তি হয়েছে তার। গ্রহের অন্যতম সেরা এই তারকা কাতালান ক্লাবটিতে ১৮ বছরের পথচলায় অর্জন করেছেন অনেক কিছুই। ১৮ বছর পূর্তিতে বার্সায় মেসির ১৮টি স্মরণীয় মুহূর্ত দেখে নেয়া যাক।
১. বার্সেলোনা ইয়ুথ কার্ড
বার্সেলোনা ইয়ুথ ক্লাবে ২০০১ সালে সুযোগ পান মেসি। ২০০০-০১ মৌসুমের জন্য প্রথমবারের মতো কাতালান ?জুনিয়র ক্লাবে খেলার কার্ড পান তিনি।
২. ইতিহাস গড়া দল
১৯৮৭ সালের পর থেকে নতুন প্রজন্মের বার্সার তরুণ তারকাদের মধ্যে রয়েছেন জেরার্ড পিকে ও মেসি। লা মাসিয়া একাডেমি থেকে উঠে আসা এই দুই ফুটবলার বার্সা ক্যারিয়ারে জয় করেছেন প্রায় সবকিছুই।
৩. প্রথম অভিষেক
২০০৩ সালের ১৬ই নভেম্বর মাত্র ১৬ বছর ১৪৫ দিন বয়সে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয় মেসির। কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের অধীনে পোর্তোর বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে খেলেন তিনি। এরপর ২০০৪ সালে এসপানিওলের বিপক্ষে অফিসিয়ালি অভিষেক হয় মেসির।
৪. বার্সায় অফিসিয়াল গোল
বার্সার প্রায় সব গোলের রেকর্ড গড়া মেসি নিজের প্রথম গোলের দেখা পান ২০০৫ সালে। আলাবেসের বিপক্ষে রোনালদিনহোর পাস থেকে গোলটি করেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
৫. রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিক
বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান মেসি। ন্যু ক্যাম্পে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই রিয়ালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
৬. ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা
২০০৭ সালের ১৮ই এপ্রিল প্রায় একক প্রচেষ্টায় গেতাফের বিপক্ষে গোল করেন মেসি। তার ওই গোল ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
৭. সোনালি যুগ
পেপ গার্দিওলার অধীনে ২০০৯ সালে সোনালী যুগের শুরু হয় বার্সেলোনার। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে হেডে চমৎকার এক গোল করেন মেসি। সেবার প্রথম ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে ছয়টি শিরোপা জেতে বার্সা।
৮. প্রথম ব্যালন ডি’অর
বার্সেলোনাকে ট্রেবল শিরোপা জেতাতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করায় ২০০৯ সালে প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার (ব্যালন ডি’অর) জেতেন মেসি। সেবার রোনালদো ও সতীর্থ জাভিকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জেতেন তিনি।
৯. ওয়েম্বলিতে উদযাপন
২০১১ সালে পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতে বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লীগের ওই ম্যাচে গোল পাওয়া মেসির স্মরণীয় একটি মুহূর্ত।
১০. চ্যাম্পিয়নস লীগে ৫ গোল
২০১২ সালে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোতে ৫ গোল করেছিলেন মেসি।
১১. এক বছরে সর্বোচ্চ গোল
২০১২ সালে সব প্রতিযোগিতায় ৯১ গোল করে জার্ড মুলারের রেকর্ড ভেঙে দেন মেসি। ওই সালে ৬৯ ম্যাচে বার্সার হয়ে ৭৯ গোলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়ে ১২ গোল করেন তিনি।
১২. তেলমো জারাকে ছাড়িয়ে
২০১৪ সালে সেভিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকের মধ্য দিয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় কিংবদন্তি তেলমো জারার সর্বাধিক গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান মেসি। বর্তমানে লা লিগায় মেসির গোল সংখ্যা ৩৮৭।
১৩. পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লীগ
২০১৫ সালে বার্লিনে লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিয়ারে চতুর্থ চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জেতেন মেসি। বার্সার যা পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা। ওই আসরে কোচ লুইস এনরিকের দল ম্যানসিটি, পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের পর ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারায় তারা।
১৪. মেসির পঞ্চম ব্যালন ডি’অর
২০১৬ সালে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। সেবার সেরা হওয়ার দৌঁড়ে তিনি পেছনে ফেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমারকে।
১৫. ক্রুইফকে অনুকরণ
২০১৬ সালে কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের পেনাল্টি শট অনুকরণ করেন মেসি। পেনাল্টি শট পাস দিয়ে সুয়ারেজের দিকে ঢেলে দেন তিনি। সেটি সফলভাবে জালে বল পাঠান সুয়ারেজ।
১৬. পিএসজির বিপক্ষে স্মরণীয় জয়
২০১৪-১৫ মৌসুমে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সা। দ্বিতীয় লেগে ৬-১ গোলে স্মরণীয় জয় পায় কাতালান ক্লাবটি।
১৭. বার্নাবুতে রেকর্ড
২০১৭-১৮ মৌসুমের শুরুতে গোল পেতে দেরি হচ্ছিল মেসির। এরপর এল ক্লাসিকো ম্যাচে গোলের দেখা পান তিনি। গোলের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জার্সি খুলে রিয়াল সমর্থকদের নিজের নাম ও জার্সি নম্বর দেখান মেসি।
১৮. বার্সার সবচেয়ে সমৃদ্ধ মেসি
এবার সেভিয়ার বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জয়ের পর ক্লাবটির সবচেয়ে সমৃদ্ধ খেলোয়াড় হন মেসি। ৯টি লীগ শিরোপা, ৬টি কোপা দেল’রে, ৪টি চ্যাম্পিয়ন লীগ, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ৩টি ইউরোপিয়ান কাপ ও ৮টি স্প্যানিশ সুপার কাপ নিয়ে মোট ৩৩ শিরোপায় ন্যু ক্যাম্পের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা খেলোয়াড় এখন মেসি।
১. বার্সেলোনা ইয়ুথ কার্ড
বার্সেলোনা ইয়ুথ ক্লাবে ২০০১ সালে সুযোগ পান মেসি। ২০০০-০১ মৌসুমের জন্য প্রথমবারের মতো কাতালান ?জুনিয়র ক্লাবে খেলার কার্ড পান তিনি।
২. ইতিহাস গড়া দল
১৯৮৭ সালের পর থেকে নতুন প্রজন্মের বার্সার তরুণ তারকাদের মধ্যে রয়েছেন জেরার্ড পিকে ও মেসি। লা মাসিয়া একাডেমি থেকে উঠে আসা এই দুই ফুটবলার বার্সা ক্যারিয়ারে জয় করেছেন প্রায় সবকিছুই।
৩. প্রথম অভিষেক
২০০৩ সালের ১৬ই নভেম্বর মাত্র ১৬ বছর ১৪৫ দিন বয়সে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয় মেসির। কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের অধীনে পোর্তোর বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে খেলেন তিনি। এরপর ২০০৪ সালে এসপানিওলের বিপক্ষে অফিসিয়ালি অভিষেক হয় মেসির।
৪. বার্সায় অফিসিয়াল গোল
বার্সার প্রায় সব গোলের রেকর্ড গড়া মেসি নিজের প্রথম গোলের দেখা পান ২০০৫ সালে। আলাবেসের বিপক্ষে রোনালদিনহোর পাস থেকে গোলটি করেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
৫. রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিক
বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান মেসি। ন্যু ক্যাম্পে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই রিয়ালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
৬. ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা
২০০৭ সালের ১৮ই এপ্রিল প্রায় একক প্রচেষ্টায় গেতাফের বিপক্ষে গোল করেন মেসি। তার ওই গোল ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
৭. সোনালি যুগ
পেপ গার্দিওলার অধীনে ২০০৯ সালে সোনালী যুগের শুরু হয় বার্সেলোনার। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে হেডে চমৎকার এক গোল করেন মেসি। সেবার প্রথম ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে ছয়টি শিরোপা জেতে বার্সা।
৮. প্রথম ব্যালন ডি’অর
বার্সেলোনাকে ট্রেবল শিরোপা জেতাতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করায় ২০০৯ সালে প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার (ব্যালন ডি’অর) জেতেন মেসি। সেবার রোনালদো ও সতীর্থ জাভিকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জেতেন তিনি।
৯. ওয়েম্বলিতে উদযাপন
২০১১ সালে পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতে বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লীগের ওই ম্যাচে গোল পাওয়া মেসির স্মরণীয় একটি মুহূর্ত।
১০. চ্যাম্পিয়নস লীগে ৫ গোল
২০১২ সালে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোতে ৫ গোল করেছিলেন মেসি।
১১. এক বছরে সর্বোচ্চ গোল
২০১২ সালে সব প্রতিযোগিতায় ৯১ গোল করে জার্ড মুলারের রেকর্ড ভেঙে দেন মেসি। ওই সালে ৬৯ ম্যাচে বার্সার হয়ে ৭৯ গোলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়ে ১২ গোল করেন তিনি।
১২. তেলমো জারাকে ছাড়িয়ে
২০১৪ সালে সেভিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকের মধ্য দিয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় কিংবদন্তি তেলমো জারার সর্বাধিক গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান মেসি। বর্তমানে লা লিগায় মেসির গোল সংখ্যা ৩৮৭।
১৩. পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লীগ
২০১৫ সালে বার্লিনে লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিয়ারে চতুর্থ চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জেতেন মেসি। বার্সার যা পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা। ওই আসরে কোচ লুইস এনরিকের দল ম্যানসিটি, পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের পর ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারায় তারা।
১৪. মেসির পঞ্চম ব্যালন ডি’অর
২০১৬ সালে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। সেবার সেরা হওয়ার দৌঁড়ে তিনি পেছনে ফেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমারকে।
১৫. ক্রুইফকে অনুকরণ
২০১৬ সালে কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের পেনাল্টি শট অনুকরণ করেন মেসি। পেনাল্টি শট পাস দিয়ে সুয়ারেজের দিকে ঢেলে দেন তিনি। সেটি সফলভাবে জালে বল পাঠান সুয়ারেজ।
১৬. পিএসজির বিপক্ষে স্মরণীয় জয়
২০১৪-১৫ মৌসুমে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সা। দ্বিতীয় লেগে ৬-১ গোলে স্মরণীয় জয় পায় কাতালান ক্লাবটি।
১৭. বার্নাবুতে রেকর্ড
২০১৭-১৮ মৌসুমের শুরুতে গোল পেতে দেরি হচ্ছিল মেসির। এরপর এল ক্লাসিকো ম্যাচে গোলের দেখা পান তিনি। গোলের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জার্সি খুলে রিয়াল সমর্থকদের নিজের নাম ও জার্সি নম্বর দেখান মেসি।
১৮. বার্সার সবচেয়ে সমৃদ্ধ মেসি
এবার সেভিয়ার বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জয়ের পর ক্লাবটির সবচেয়ে সমৃদ্ধ খেলোয়াড় হন মেসি। ৯টি লীগ শিরোপা, ৬টি কোপা দেল’রে, ৪টি চ্যাম্পিয়ন লীগ, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ৩টি ইউরোপিয়ান কাপ ও ৮টি স্প্যানিশ সুপার কাপ নিয়ে মোট ৩৩ শিরোপায় ন্যু ক্যাম্পের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা খেলোয়াড় এখন মেসি।