খেলা
সিরিজ জিতেই ফিরতে চায় জিম্বাবুয়ে
স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরা বারবার লিয়াজোঁ ম্যানেজারকে বলছিলেন। সময় পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাসাকাদজার দল একাডেমির মাঠে নিবিড় অনুশীলনে ব্যস্ত। আর গোটা দলই ফুরফুরে মেজাজে। কেনই বা থাকবেন না! ১৭ বছর নিজ দেশের বাইরে কোনো টেস্ট জয় ছিল না। এমনকি বাংলাদেশে এসে ২০০১ এর পর কোনো টেস্ট ম্যাচও জিততে পারেনি। সেই জিম্বাবুয়ে এখন সিরিজ জয়ের হুংকার দিচ্ছে। সিলেট টেস্টে দলের অভিজ্ঞরাই নয় তরুণরাও যেন টগবগিয়ে ফুটছে আত্মবিশ্বাসে। কাল মিরপুর টেস্ট শুরু হবে। এ ম্যাচে জিতলেই সিরিজ জয়ের আনন্দ। গতকাল সকাল ৯টায় সফরকারীরা অনুশীলন শুরু করে একাডেমির মাঠে। এরপর মূল মাঠে এসেও স্লিপ সাজিয়ে ফিল্ডিং অনুশীলন। বলার অপেক্ষা রাখে না সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় তারা। দলের তরুণ সদস্য পিটার মুরতো বলেই দিলেন সিরিজ জয়ের আনন্দ নিয়েই ফিরতে চান তারা। এটাই তার জন্য হয়ে থাকবে বড় স্মরনীয়। তিনি বলেন, ‘হ্যা, এটি আমার স্মরণীয় জয় বলতে পারেন। এটা আমার প্রথম টেস্ট জয়, আমাদের দলের আরও সাত জনের প্রথম টেস্ট জয়। সবার জন্যই জয়টি বিশেষ কিছু। কিন্তু ঘরের বাইরে টেস্ট সিরিজ জয় করা এর চেয়েও বড় মুহূর্তের জন্ম দিবে।’
ঘরের মাঠে এত বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে বেশ মরিয়া বাংলাদেশ দলও। তার উপর মিরপুরের অনিশ্চয়তায় ও রহস্যময় উইকেট। তবে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরা দারুণ লড়াইয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। এ নিয়ে মুর বলেন, ‘দল এখন ভাল অবস্থায় আছে। আমরা জানি সামনের ম্যাচটি খুবই কঠিন হবে। উইকেটও ভিন্ন থাকবে এবং অনেকটাই অনিশ্চয়তায় ভরা থাকবে। বাংলাদেশও জয়ের জন্য উদগ্রীব থাকবে। তাদের অনেক কিছু হারানোর আছে এই ম্যাচে। আমি মনে করি ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে আমাদের দলের সবাই প্রস্তুত আছে।’ জিম্বাবুয়ের এমন জয়ের নায়কের একজন মুর। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিনকে দারুণভাবে সামলেছেন তিনি। কিভাবে স্পিনে এতটা পরদর্শী হলেন তিনি! মুর বলেন, ‘আমি সৎভাবেই বলছি, আমি নিশ্চিত না। তবে আমি এই নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমাদের আগের ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনারের সঙ্গে। এটি সত্যি জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন স্পিন সহায়ক নয়। কিন্তু এটি আমার কাজে এসেছে। যে কারণে আমি উপমাহদেশে এসে স্পিনে ভালো ব্যাট করতে পারছি।’
আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন জিম্বাবুয়ের আরেক তরুণ ব্রেন্ডন মাভুতা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা চলমান সিরিজে কাজে লাগাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের তরুণ লেগ স্পিনার। ২১ বছর বয়সী মাভুতা চলতি বছরের জুলাই মাসে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন। দুইমাস পরেই তার ওয়ানডে অভিষেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সিলেটে শুরু করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারও। এরই মধ্যে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। মাভুতা বলেন- ‘একেক জায়গায় উইকেট একেক রকম হবে। ভাগ্য ভালো আমি এখানে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলাম। আমার ধারণা ছিল উইকেট সম্পর্কে, যা আমাকে সাহায্য করেছে।’
বিশ্বের অন্য লেগ স্পিনারদের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান মাভুতা। প্রায় প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশেই লেগ স্পিনারদের কদর রয়েছে। যেখনে বাংলদেশ এখনো দারুণভাবে পিছিয়ে। আইসিসি র?্যাঙ্কিংয়েও বোলারদের মধ্যে লেগ স্পিনারদের প্রভাব স্পষ্ট। মাভুতার স্বপ্নও একই। বিশ্বের বাকি লেগ স্পিনারদের অনুকরণ করে শেখার চেষ্টা করে থাকেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে একজন আরেকজন থেকে ভিন্ন। কিন্তু আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব লেগ স্পিনারদের অনুকরণ করে থাকি। সবার মধ্যে কিছু না কিছু মিল থাকেই। আমি তাদের দেখে শেখার চেষ্টা করি।’
ঘরের মাঠে এত বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে বেশ মরিয়া বাংলাদেশ দলও। তার উপর মিরপুরের অনিশ্চয়তায় ও রহস্যময় উইকেট। তবে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরা দারুণ লড়াইয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। এ নিয়ে মুর বলেন, ‘দল এখন ভাল অবস্থায় আছে। আমরা জানি সামনের ম্যাচটি খুবই কঠিন হবে। উইকেটও ভিন্ন থাকবে এবং অনেকটাই অনিশ্চয়তায় ভরা থাকবে। বাংলাদেশও জয়ের জন্য উদগ্রীব থাকবে। তাদের অনেক কিছু হারানোর আছে এই ম্যাচে। আমি মনে করি ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে আমাদের দলের সবাই প্রস্তুত আছে।’ জিম্বাবুয়ের এমন জয়ের নায়কের একজন মুর। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিনকে দারুণভাবে সামলেছেন তিনি। কিভাবে স্পিনে এতটা পরদর্শী হলেন তিনি! মুর বলেন, ‘আমি সৎভাবেই বলছি, আমি নিশ্চিত না। তবে আমি এই নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমাদের আগের ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনারের সঙ্গে। এটি সত্যি জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন স্পিন সহায়ক নয়। কিন্তু এটি আমার কাজে এসেছে। যে কারণে আমি উপমাহদেশে এসে স্পিনে ভালো ব্যাট করতে পারছি।’
আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন জিম্বাবুয়ের আরেক তরুণ ব্রেন্ডন মাভুতা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা চলমান সিরিজে কাজে লাগাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের তরুণ লেগ স্পিনার। ২১ বছর বয়সী মাভুতা চলতি বছরের জুলাই মাসে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন। দুইমাস পরেই তার ওয়ানডে অভিষেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সিলেটে শুরু করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারও। এরই মধ্যে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। মাভুতা বলেন- ‘একেক জায়গায় উইকেট একেক রকম হবে। ভাগ্য ভালো আমি এখানে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলাম। আমার ধারণা ছিল উইকেট সম্পর্কে, যা আমাকে সাহায্য করেছে।’
বিশ্বের অন্য লেগ স্পিনারদের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান মাভুতা। প্রায় প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশেই লেগ স্পিনারদের কদর রয়েছে। যেখনে বাংলদেশ এখনো দারুণভাবে পিছিয়ে। আইসিসি র?্যাঙ্কিংয়েও বোলারদের মধ্যে লেগ স্পিনারদের প্রভাব স্পষ্ট। মাভুতার স্বপ্নও একই। বিশ্বের বাকি লেগ স্পিনারদের অনুকরণ করে শেখার চেষ্টা করে থাকেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে একজন আরেকজন থেকে ভিন্ন। কিন্তু আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব লেগ স্পিনারদের অনুকরণ করে থাকি। সবার মধ্যে কিছু না কিছু মিল থাকেই। আমি তাদের দেখে শেখার চেষ্টা করি।’