অনলাইন
তরিকুল ইসলামের শেষ সাক্ষাৎকার (ভিডিও)
কাফি কামাল
৯ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ১২:১৬ অপরাহ্ন
দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগে কয়েকদিন আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তরিকুল ইসলাম। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও প্রগতিশীল ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী এ রাজনৈতিক ছিলেন জাতীয় রাজনীতিতে সর্বজন গ্রহণযোগ্য এক চরিত্র। মৃত্যুর কিছুদিন আগে দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হলেন তার স্মৃতিচারণ করেছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল তার। কথা ছিল শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ছাত্ররাজনীতিসহ যৌবনের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করবেন। কিন্তু সে সুযোগ আর ঘটেনি, গত ৪ঠা নভেম্বর তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
তরিকুল ইসলাম বলছিলেন- ‘১৯৬৩ সালে যশোরে কোন শহীদ মিনার ছিল না। একটি ছিল ছোট্ট, ভাঙা। শহীদ দিবসে সেখানেই লোকে এসে ফুল দিয়ে যেতো। আমরা কিছু বন্ধু-বান্ধব সিদ্ধান্ত নিলাম যে, একটি শহীদ মিনার করা দরকার। তারপর আমরা দুয়েকজনের কাছে চাঁদাও নিলাম। নিজেরা দৌঁড়াদৌড়ি করলাম। মানুষের কাছ থেকে বালি যোগাড় করলাম, সিমেন্ট যোগাড় করলাম। তারপর ঢাকার আকারে, ঢাকার নকশায় এবং ঢাকার আদলে আমরা শহীদ মিনার তৈরি করলাম।’
তরিকুল ইসলাম বলছিলেন- ‘শহীদ মিনার যখন তৈরি করলাম, তখন আমাদের টিচার ছিলেন প্রিন্সিপাল আবদুল হাই। প্রফেসর শরিফ হোসেন ছিলেন। উনি ইতিহাসের গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলেন। তাহের স্যার ছিলেন, কাজী লুৎফর রহমান ছিলেন। পুলিশ আমাদের সঙ্গে এসব প্রফেসরদেরও গ্রেপ্তার করল। একই সঙ্গে আমরা গ্রেপ্তার হলাম। আমাদের বন্ধু-বান্ধব যারা ছিল, তাদেরও গ্রেপ্তার করল। আমরা প্রায় ৯ মাস কারাগারে ছিলাম।’
তরিকুল ইসলাম বলছিলেন- ‘তো, আমরা এক সময় রাজশাহীতে (কারাগার) ট্রান্সফার হয়ে আসলাম। সেখানে মন্মথ দে, অমূল্য লাহিড়ী এবং পাবনার ছিলেন একজন; কমিউনিস্ট পার্টি করতেন। নামটি ভুলে যাচ্ছি। তিনিসহ আমরা সবাই ছিলাম সেখানে। সিরাজুল হোসেন খান মেইনলি ছিলেন। ওখানে (কারাগারে) আমাদের পলিটিক্যাল অনুশীলন হতো। আলাপ-আলোচনা হতো। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের বিরোধ বাঁধতো। ফলে আমাদের এই ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিতো। আমরা সেখানেও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম। তারপর ওই ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিতো। এইভাবে আমাদের সখ্যতা। রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা। রীতিমতো রুটিন অনুযায়ী হতো। তারপর আমরা ছাড়া পেলাম একা একা। ছাড়া পেয়ে সে চক্র থেকে আমরা কেউ বেরুলাম না। এই চক্র থেকে আমরা যাদের (লোকজন) বামপন্থী বলতেন, উনাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হলাম।’
তরিকুল ইসলাম বলছিলেন- ‘১৯৬৩ সালে যশোরে কোন শহীদ মিনার ছিল না। একটি ছিল ছোট্ট, ভাঙা। শহীদ দিবসে সেখানেই লোকে এসে ফুল দিয়ে যেতো। আমরা কিছু বন্ধু-বান্ধব সিদ্ধান্ত নিলাম যে, একটি শহীদ মিনার করা দরকার। তারপর আমরা দুয়েকজনের কাছে চাঁদাও নিলাম। নিজেরা দৌঁড়াদৌড়ি করলাম। মানুষের কাছ থেকে বালি যোগাড় করলাম, সিমেন্ট যোগাড় করলাম। তারপর ঢাকার আকারে, ঢাকার নকশায় এবং ঢাকার আদলে আমরা শহীদ মিনার তৈরি করলাম।’
তরিকুল ইসলাম বলছিলেন- ‘শহীদ মিনার যখন তৈরি করলাম, তখন আমাদের টিচার ছিলেন প্রিন্সিপাল আবদুল হাই। প্রফেসর শরিফ হোসেন ছিলেন। উনি ইতিহাসের গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলেন। তাহের স্যার ছিলেন, কাজী লুৎফর রহমান ছিলেন। পুলিশ আমাদের সঙ্গে এসব প্রফেসরদেরও গ্রেপ্তার করল। একই সঙ্গে আমরা গ্রেপ্তার হলাম। আমাদের বন্ধু-বান্ধব যারা ছিল, তাদেরও গ্রেপ্তার করল। আমরা প্রায় ৯ মাস কারাগারে ছিলাম।’
তরিকুল ইসলাম বলছিলেন- ‘তো, আমরা এক সময় রাজশাহীতে (কারাগার) ট্রান্সফার হয়ে আসলাম। সেখানে মন্মথ দে, অমূল্য লাহিড়ী এবং পাবনার ছিলেন একজন; কমিউনিস্ট পার্টি করতেন। নামটি ভুলে যাচ্ছি। তিনিসহ আমরা সবাই ছিলাম সেখানে। সিরাজুল হোসেন খান মেইনলি ছিলেন। ওখানে (কারাগারে) আমাদের পলিটিক্যাল অনুশীলন হতো। আলাপ-আলোচনা হতো। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের বিরোধ বাঁধতো। ফলে আমাদের এই ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিতো। আমরা সেখানেও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম। তারপর ওই ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিতো। এইভাবে আমাদের সখ্যতা। রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা। রীতিমতো রুটিন অনুযায়ী হতো। তারপর আমরা ছাড়া পেলাম একা একা। ছাড়া পেয়ে সে চক্র থেকে আমরা কেউ বেরুলাম না। এই চক্র থেকে আমরা যাদের (লোকজন) বামপন্থী বলতেন, উনাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হলাম।’