দেশ বিদেশ
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
স্টাফ রিপোর্টার
৯ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের প্রিন্টিং ওরিয়েন্টাল আর্ট অ্যান্ড প্রিন্ট মেকিং বিভাগে অধ্যাপক গোলাম ফারুক। সারা জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়িয়েছেন। ছবি এঁকেছেন। ছবির প্রদর্শনী, গ্যালারি এসব নিয়ে কাজ করেছেন। সাদামাটা জীবন যাপন করেছেন। শিল্পচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকা এই শিক্ষক আজ মৃত্যু পথযাত্রী। তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যাওয়ার পথে। এই অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে। ইতিমধ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। মোটা অঙ্কের ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সপ্তাহে তিনটি করে হেমোডায়ালাইসিস নিতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত পায়ের অপারেশন না করালে আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। এদিকে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় অধ্যাপক ফারুকের পরিবারের সামনে অন্ধকার। তিনি চলে গেলে রাস্তায় বসবে পুরো পরিবার।
গুণী শিল্পী অধ্যাপক গোলাম ফারুক ১৯৭৮ সালে তরুণ বয়সেই জাতীয় পুরস্কার পান। পদক, সম্মাননা, প্রদর্শনী, ফেলোশিপ, ওয়ার্কশপ- সব মিলিয়ে সারাজীবনই তিনি ছুটেছেন কাজের পেছনে। আপাদমস্তক এ শিল্পী শিল্পের ছোঁয়ায় পৃথিবীকে রাঙাতে চাইলেও নিজের জীবনটা শৈল্পিক হয়নি। আর তাই হয়তো টাকার অভাবে আটকে গেছে তার চিকিৎসা। জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রথম অধ্যাপক গোলাম ফারুকের হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। ওই বছর জুলাই মাসে তার বাইপাস সার্জারি হয়। সমপ্রতি তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভারতের চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তখন ডাক্তাররা জানান, তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। একই সময়ে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। কিন্তু টাকার অভাবে এই প্রবীণ অধ্যাপক চিকিৎসা না করিয়েই দেশে ফিরে আসেন। শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি একই সঙ্গে প্যারালাইসিস, নিউমোনিয়াসহ আরো কয়েকটি রোগে আক্রান্ত। পাশাপাশি হাঁটুর রগে ব্লক ধরা পড়েছে। ফলে পা ধীরে ধীরে কার্যকারিতা হারাচ্ছে। তার বর্তমান মাসিক চিকিৎসা ব্যয় ১ লাখ টাকার ওপরে। তাই তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। একইসঙ্গে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন।
গুণী শিল্পী অধ্যাপক গোলাম ফারুক ১৯৭৮ সালে তরুণ বয়সেই জাতীয় পুরস্কার পান। পদক, সম্মাননা, প্রদর্শনী, ফেলোশিপ, ওয়ার্কশপ- সব মিলিয়ে সারাজীবনই তিনি ছুটেছেন কাজের পেছনে। আপাদমস্তক এ শিল্পী শিল্পের ছোঁয়ায় পৃথিবীকে রাঙাতে চাইলেও নিজের জীবনটা শৈল্পিক হয়নি। আর তাই হয়তো টাকার অভাবে আটকে গেছে তার চিকিৎসা। জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রথম অধ্যাপক গোলাম ফারুকের হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। ওই বছর জুলাই মাসে তার বাইপাস সার্জারি হয়। সমপ্রতি তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভারতের চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তখন ডাক্তাররা জানান, তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। একই সময়ে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। কিন্তু টাকার অভাবে এই প্রবীণ অধ্যাপক চিকিৎসা না করিয়েই দেশে ফিরে আসেন। শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি একই সঙ্গে প্যারালাইসিস, নিউমোনিয়াসহ আরো কয়েকটি রোগে আক্রান্ত। পাশাপাশি হাঁটুর রগে ব্লক ধরা পড়েছে। ফলে পা ধীরে ধীরে কার্যকারিতা হারাচ্ছে। তার বর্তমান মাসিক চিকিৎসা ব্যয় ১ লাখ টাকার ওপরে। তাই তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। একইসঙ্গে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন।