দেশ বিদেশ
সংগীত শিক্ষিকা মনিকার কাণ্ড...
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
৯ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
প্রায় ৭ মাস আগে গান শেখানোর জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন সংগীত শিক্ষিকা মনিকা বড়ুয়া রাধা। এরপর থেকে নিখোঁজ তিনি। তার খোঁজে প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে অপহরণ মামলা করেন সাংবাদিক স্বামী দেবাশীষ বড়ুয়া।
কিন্তু ৪৫ বছর বয়সের ওই শিক্ষিকা করে বসলেন অন্যরকম এক অদ্ভুত কাণ্ড। অপহরণ নয়, ভারতীয় নাগরিক এক ব্যবসায়ীর প্রেমে পড়ে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন গানের এই শিক্ষিকা। নাম পাল্টে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সংসারও পাতেন তিনি। তবে পুলিশের কৌশলের কাছে ধরা পড়ে তিনি এখন চট্টগ্রামে।
বৃহসপতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। ঝাড়লেন মনিকা বড়ুয়া রাধার মেয়ে ও বোনদের প্রতি ক্ষোভও। কারণ তারা এ বিষয়ে জেনেও পুলিশকে কোনোরকম সহযোগিতা করেন নি।
আমেনা বেগম বলেন, মনিকা অপহরণ হয়েছেন অভিযোগ করে তার খোঁজ পেতে যে বোনেরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এতদিন মানববন্ধন করেছেন তারা সবই জানতেন। ভারত থেকে বোনদের সঙ্গে যোগাযোগও করতেন মনিকা। এমনকি বাড়ি ছাড়ার আগে দুই মেয়েকেও বলে যান।
আমেনা বেগম জানান, মনিকা বড়ুয়া রাধার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ভারতের নাগরিক ব্যবসায়ী কমলেশ কুমার মল্লিক (৩৫)-এর সঙ্গে। পরিচয় প্রেমে রূপ নিলে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য গত ১২ই এপ্রিল চট্টগ্রামের নিজ বাসা থেকে বের হয়ে গরিবুল্লাহ শাহ মাজার স্টেশন থেকে শ্যামলী পরিবহনের গাড়িতে বেনাপোল সীমান্তে যান মনিকা। সঙ্গে ছিলেন কমলেশ কুমার মল্লিক।
পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় মনিকাকে অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে ভারতে নিয়ে যান তিনি। কলকাতায় একটি মন্দিরে বিয়ে করেন তারা। পরে সিদ্ধেশ্বরী এলাকার একটি ফ্ল্যাটে সংসার পাতেন। মনিকা নাম বদলে নেন অনামিকা মল্লিক। স্বামীর সূত্রে স্থানীয় আধার কার্ডও পান তিনি। কিন্তু তদন্তের সূত্র ধরে কমলেশ মল্লিকের খোঁজ পায় পুলিশ। ব্যবসার কাজে গত ৩রা নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন তিনি। পরে গত ৪ঠা নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে কমলেশ কুমার মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কমলেশ মল্লিক চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দেন।
একপর্যায়ে গত ৬ই নভেম্বর কমলেশের মাধ্যমে মনিকাকে কৌশলে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। সেখান থেকে মনিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিকা স্বীকারোক্তি দেন অপহরণ নয়, ভারতীয় নাগরিক ব্যবসায়ী কমলেশ কুমার মল্লিকের প্রেমে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন তিনি। বাড়ি ছাড়ার আগে দুই মেয়েকে বলে যান। ভারত থেকে বোনদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতেন মনিকা। কিন্তু পুরো তদন্তে মনিকার মেয়ে ও বোনেরা কেউ পুলিশকে কোনো সহযোগিতা করেন নি।
আমেনা বেগম বলেন, মনিকার খোঁজে যেহেতু অপহরণ মামলা হয়েছে, সেহেতু মনিকা এখনো পুলিশের কাছে ভিকটিম। সে কারণেই মনিকাকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়নি। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মনিকা বড়ুয়া রাধা (৪৫) গত ১২ই এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে গান শেখানোর জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে তার স্বামী সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু গত ১৩ই এপ্রিল নগরীর খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।এরপর ২৮শে এপ্রিল অপহরণ সন্দেহে মামলা করেন দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। দুই মেয়ের জননী মনিকা বড়ুয়া রাধা চট্টগ্রাম মহানগরীর কাতালগঞ্জের লিটল জুয়েলস স্কুলে গান শেখাতেন।
কিন্তু ৪৫ বছর বয়সের ওই শিক্ষিকা করে বসলেন অন্যরকম এক অদ্ভুত কাণ্ড। অপহরণ নয়, ভারতীয় নাগরিক এক ব্যবসায়ীর প্রেমে পড়ে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন গানের এই শিক্ষিকা। নাম পাল্টে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সংসারও পাতেন তিনি। তবে পুলিশের কৌশলের কাছে ধরা পড়ে তিনি এখন চট্টগ্রামে।
বৃহসপতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। ঝাড়লেন মনিকা বড়ুয়া রাধার মেয়ে ও বোনদের প্রতি ক্ষোভও। কারণ তারা এ বিষয়ে জেনেও পুলিশকে কোনোরকম সহযোগিতা করেন নি।
আমেনা বেগম বলেন, মনিকা অপহরণ হয়েছেন অভিযোগ করে তার খোঁজ পেতে যে বোনেরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এতদিন মানববন্ধন করেছেন তারা সবই জানতেন। ভারত থেকে বোনদের সঙ্গে যোগাযোগও করতেন মনিকা। এমনকি বাড়ি ছাড়ার আগে দুই মেয়েকেও বলে যান।
আমেনা বেগম জানান, মনিকা বড়ুয়া রাধার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ভারতের নাগরিক ব্যবসায়ী কমলেশ কুমার মল্লিক (৩৫)-এর সঙ্গে। পরিচয় প্রেমে রূপ নিলে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য গত ১২ই এপ্রিল চট্টগ্রামের নিজ বাসা থেকে বের হয়ে গরিবুল্লাহ শাহ মাজার স্টেশন থেকে শ্যামলী পরিবহনের গাড়িতে বেনাপোল সীমান্তে যান মনিকা। সঙ্গে ছিলেন কমলেশ কুমার মল্লিক।
পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় মনিকাকে অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে ভারতে নিয়ে যান তিনি। কলকাতায় একটি মন্দিরে বিয়ে করেন তারা। পরে সিদ্ধেশ্বরী এলাকার একটি ফ্ল্যাটে সংসার পাতেন। মনিকা নাম বদলে নেন অনামিকা মল্লিক। স্বামীর সূত্রে স্থানীয় আধার কার্ডও পান তিনি। কিন্তু তদন্তের সূত্র ধরে কমলেশ মল্লিকের খোঁজ পায় পুলিশ। ব্যবসার কাজে গত ৩রা নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন তিনি। পরে গত ৪ঠা নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে কমলেশ কুমার মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কমলেশ মল্লিক চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দেন।
একপর্যায়ে গত ৬ই নভেম্বর কমলেশের মাধ্যমে মনিকাকে কৌশলে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। সেখান থেকে মনিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিকা স্বীকারোক্তি দেন অপহরণ নয়, ভারতীয় নাগরিক ব্যবসায়ী কমলেশ কুমার মল্লিকের প্রেমে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন তিনি। বাড়ি ছাড়ার আগে দুই মেয়েকে বলে যান। ভারত থেকে বোনদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতেন মনিকা। কিন্তু পুরো তদন্তে মনিকার মেয়ে ও বোনেরা কেউ পুলিশকে কোনো সহযোগিতা করেন নি।
আমেনা বেগম বলেন, মনিকার খোঁজে যেহেতু অপহরণ মামলা হয়েছে, সেহেতু মনিকা এখনো পুলিশের কাছে ভিকটিম। সে কারণেই মনিকাকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়নি। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মনিকা বড়ুয়া রাধা (৪৫) গত ১২ই এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে গান শেখানোর জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে তার স্বামী সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু গত ১৩ই এপ্রিল নগরীর খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।এরপর ২৮শে এপ্রিল অপহরণ সন্দেহে মামলা করেন দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। দুই মেয়ের জননী মনিকা বড়ুয়া রাধা চট্টগ্রাম মহানগরীর কাতালগঞ্জের লিটল জুয়েলস স্কুলে গান শেখাতেন।