দেশ বিদেশ

খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার

২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার আয়োজনে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, আজকে দেশনেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে কেন? বিরোধী দলের নেতাদের নামে গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে কেন? উদ্দেশ্য হলো রাজনীতিকে ধ্বংস করা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে কারণ তিনি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। মির্জা আলমগীর বলেন, সরকার জানে- দেশনেত্রীকে মুক্তি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসী জেগে উঠবে। রাস্তায় নামবে। এজন্য সরকার তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের টার্গেট দেশনেত্রীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা, তারেক রহমানকে দূরে রাখা, ২০ দলকে দূরে রাখা। কারণ তারা জানে খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসলে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা দাবি জানিয়েছি, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। না ভাঙলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। দ্বিধাবিভক্ত নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। একতরফা নির্বাচনের বিপক্ষে। আর বাকি কমিশনারগুলো একতরফা নির্বাচন করতে চান। তাদের নিজেদের মধ্যেই সমন্বয় নেই। আজকে নির্বাচন কমিশনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এটাই রাষ্ট্রের সংকট। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার যদি সব কিছু উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, সেটা নিঃসন্দেহে অপরাধ হবে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার এত দুঃশাসন করেছে যে, তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়। কেউ বলে ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রোহিঙ্গা হয়ে যেতে হবে। কেউ বলে লাখ লাখ লোক মারা যাবে। কেউ বলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। এত ভয় কেন? কী এমন অপরাধ করেছেন আপনারা? তিনি বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। প্রতিশোধের রাজনীতিও বিশ্বাস করি না। সরকারি দলকে আশ্বস্ত করতে চাই। আপনারা ভয় পাবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনাদের কিছু করব না। নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমন এমন কথা বলেন। যার কারণে তিনি নিজেও হাসেন, সংবাদিকরাও হাসেন, আবার জনগণও হাসে। কিন্তু আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ আমরা যখন কথা বলি সেটা রেকর্ড হয়। ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়। সুতরাং কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে বলা উচিত। নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সরকার আমরা চাই না। সংবিধানে আছে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে নির্বাচনকালীন সরকার। দলীয় সরকার থাকলে তারা সহায়তা করবে না, প্রভাবিত করবে। আমরা সহায়ক সরকার চাই, প্রভাবিত করার সরকার চাই না।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা’র সহসভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, শফিউল আলম প্রধানের ছেলে রাশেদ প্রধান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status