বাংলারজমিন

মেঘনার চরাঞ্চলে নিয়মিত বসছে ইলিশের হাট

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন

শুধু রাতে নয় দিনের বেলাতেও মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বসছে ইলিশের হাট। চরউমেদ ও বোরচরে রাতে জমজমাট ইলিশের হাট বসলেও দিনের বেলাও হাট দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন মা ইলিশকে রক্ষার জন্য মেঘনা নদীর পূর্ব অঞ্চলে অভিযান চালালেও পশ্চিম অঞ্চল থাকে অভিযানের বাইরে। মা ইলিশ ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে এবং তা বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে চরউমেদের নদীর পাড়ে মাছের আড়ৎ ৪টি এবং চরকাশিমে ৫টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। যেখানে বেচাকেনা হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে। এছাড়া উপজেলার মূল ভূখণ্ডের মেঘনা নদীর পাড়ের স্থায়ী মৎস্য আড়ৎগুলো বন্ধ থাকলেও মেঘনা পাড়ের লঞ্চঘাটগুলোর সংলগ্ন অঞ্চল, মেঘনার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে বিক্রি হচ্ছে এই মা ইলিশ। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়েও মা ইলিশ ফেরি করে বিক্রি করাতো হচ্ছেই।
দিনের বেলাতে মেঘনা নদীর পূর্ব অঞ্চলের জেলেদের মাঝে পুলিশি আতঙ্ক থাকলেও সন্ধ্যার পর পুলিশি আতঙ্ক কেটে যায়। তবে মেঘনা নদীর পশ্চিমাংশের নদীতে জেলেদের কোনো রকমের ভয় কাজ করে না। কেননা, সেখানে মা ইলিশ রক্ষাকারী মতলব উত্তর উপজেলার টাক্সফোর্স তেমন একটা যায় না বললেই চলে। ফলে মেঘনায় জেলেরা নির্দ্বিধায় প্রজননের জন্য মেঘনা নদীতে আসা মা ইলিশগুলো ধরছে ঝাঁকে ঝাঁকে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে স্থানীয় কিছু অর্থলোভী প্রভাবশালী লোক। যাদের সাহস জোগানোর কারণেই জেলেদের বড় একটি অংশ এ কাজে সাহস পাচ্ছে। সন্ধ্যার পর মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে মা ইলিশ শিকার ও বিক্রির উৎসবমুখর দৃশ্য দেখলে যে কারোর মনেই উপজেলা টাক্সফোর্সের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে।
 উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত এতো বিশাল অঞ্চল ২২ দিন দেখাশোনার জন্য সরকারি বরাদ্দ খুবই কম। অঞ্চল ও কাজের তুলনায় যা খুবই সামান্য। তার পরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে স্পিড বোট হলে অভিযান পরিচালনা করা সহজ হতো, ট্রলার দিয়ে নদীতে কাজ করা অনেক কঠিন। কেননা, জেলেদের ট্রলারের অনেক গতি। আগে কোস্টগার্ড থাকলেও আমার উপজেলায় এবারে কোস্টগার্ডের কোনো ক্যাম্প নেই। গত ৭ই অক্টোবর থেকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status