দেশ বিদেশ
ভিনদেশি ফল ড্রাগনে ভিন্নভাবে সেজেছে ঘাটাইলের মাটি
মো. মাসুম মিয়া, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
কোনো রূপকথা বা কল্পকাহিনীর ড্রাগন নয়, এটা জলজ্যান্ত একটা ফল নাম যার ড্রাগন। আর এ ঔষধিগুণে সমৃদ্ধ ভিনদেশি ফলে ভিন্নভাবে সেজেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি। ফলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেছেন উপজেলার ফুলমালিরচালা গ্রামের মিনহাজ মিয়া। বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ করে তিনি বেশ লাভবানও হচ্ছেন। মিনহাজ জানান, বছর তিনেক আগে তিন একর জমিতে তিনি এ বাগান করেন। বাগান ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফলের গাছ। ফুটেছে ফুল। ফুল সাদা লম্বাটে এবং অনেকটা নাইট কুইনের মতো দেখতে। গাছগুলো তিনি নিজ উদ্যোগে আমদানি করেছেন ভিয়েতনাম থেকে। বাগানে গাছ রয়েছে এক হাজার তিনশ’ চল্লিশটি। চলতি বছর প্রায় সব গাছেই ফল ধরেছে। এরই মধ্যে তিনি সাড়ে তিন হাজার কেজি ড্রাগনফল বিক্রি করেছেন। আর এতে লাভ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। গাছের সঠিক পরিচর্যা করলে ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে মিনহাজ জানায়। গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করে এবং ৩০-৪০ দিনের মধ্যে তা খাওয়ার উপযোগী হয়। ভেষজ জাতীয় এ ফল অত্যন্ত লাভজনক। ড্রাগন ফলের বংশবৃদ্ধি গাছের কাণ্ড থেকেই হয়। তিনি অন্যান্য কৃষি কাজের পাশাপাশি এ বাগানের পরিচর্যা করে থাকেন। এই ফল চাষ করার জন্য জৈব সারই যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশের বড় বড় বিভিন্ন শপিংমল যেমন- স্বপ্ন, ডেইলি নিডস ও আগোরাসহ শপিংমলগুলো বিক্রির জন্য পাইকারি দরে মিনহাজের বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করে থাকেন।
সাধারণত মধ্য আমেরিকায় এ ফল বেশি পাওয়া যায় যায়। এছাড়া বর্তমানে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফল বেশ জনপ্রিয় খাবার হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। এ ফল মিষ্টি ও হালকা টক জাতীয় স্বাদের হয়ে থাকে। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। ভেষজ ও ঔষধিগুণ থাকায় ক্যানসার থেকে শুরু করে ডায়োবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিন বিশ্বাস বলেন, মিনহাজ মিয়াকে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাহাড়িয়া এলাকা ড্রাগজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ফলে তিনি ড্রাগন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
সাধারণত মধ্য আমেরিকায় এ ফল বেশি পাওয়া যায় যায়। এছাড়া বর্তমানে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফল বেশ জনপ্রিয় খাবার হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। এ ফল মিষ্টি ও হালকা টক জাতীয় স্বাদের হয়ে থাকে। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। ভেষজ ও ঔষধিগুণ থাকায় ক্যানসার থেকে শুরু করে ডায়োবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিন বিশ্বাস বলেন, মিনহাজ মিয়াকে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাহাড়িয়া এলাকা ড্রাগজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ফলে তিনি ড্রাগন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।