প্রথম পাতা
বি. চৌধুরী-মাহীকে অব্যাহতি দিয়ে বিকল্পধারার নতুন কমিটি
স্টাফ রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারীকে প্রেসিডেন্ট এবং শাহ আহম্মেদ বাদলকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে গত মাসে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়ায় বিকল্পধারার সহ সভাপতি এডভোকেট শাহ আহম্মেদ বাদল ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জানে আলম হাওলাদারকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে গতকাল দলের প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে পাল্টা বহিষ্কার করে নতুন কমিটি গঠন করা হলো।
নতুন এ কমিটির প্রেসিডেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী বিকল্পধারার সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন এবং মহাসচিব এডভোকেট শাহ আহম্মেদ বাদল দলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কমিটি নিজেদের মূল স্রোতের অংশ দাবি করেন। তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অস্থায়ী ঠিকানা সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন বিল্ডিংয়ের ১৩৩ নম্বর কক্ষ উল্লেখ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- আপনারা সকলেই অবগত আছেন রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। কখনো এককভাবে আবার কখনো অন্যান্য রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে।
সেই ধারাবাহিকতায় আমরা গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ রুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্লাটফর্মে রূপ দেয়ার জন্য লাগাতার চেষ্টা করে চলেছি। মূলত এই প্রচেষ্টার চূড়ান্ত রূপই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লিপ্ত সকল রাজনৈতিক সম্মিলনে তৈরি ‘জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টা’। যা সর্বশেষ গত ১৩ই অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে রাজনৈতিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, গণফোরাম ও বিএনপি বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক সূচনার সঙ্গে নিজেদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করেছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে দল হিসেবে বিকল্পধারা এই ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের তাগিদ অনুভব করে এসেছে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান জগদ্দল পাথরের ন্যায় যে অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ঘাড়ে বসে নিঃশ্বাস ফেলছে, এ থেকে মুক্তি পেতে হলে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির সামনে দ্বিতীয় আর কোনো বিকল্প নেই।
তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সরব আত্মপ্রকাশ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একধাপ অগ্রগতি। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি সফল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ সফলভাবে নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম হবে। কিন্তু যে রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত বিকল্পধারার হাত ধরে, অথচ তার চূড়ান্ত রূপায়ণের দল হিসেবে সময়মতো আমাদের অনুপস্থিত থাকতে হয়েছে। বিকল্পধারার বর্তমান নেতৃত্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে শুধু অনুপস্থিতই থাকেনি বরং সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জাতির সামনে এর ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে প্রকাশ করেছে। যা বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের দল এবং জোটের প্রতিক্রিয়ার ভাষায় প্রতিধ্বনি মাত্র।
এহেন তৎপরতা জন্মলগ্ন থেকে বিকল্পধারার ঘোষিত রাজনীতির বিসর্জনের শামিল। কারো কারো ব্যবসায়িক স্বার্থ ও সীমাহীন আত্মকেন্দ্রিকতা এবং পারিবারিক সংকীর্ণ সুবিধাবাদিতা এই গণবিরোধী ভূমিকার উৎসস্থল। আপনাদের সামনে উপস্থিত আমরা বিকল্পধারার মূল রাজনীতির প্রধান স্রোত। আজকের বিরাজমান জাতীয় সংকটে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমাদের মৌলিক রাজনীতির মধ্যেই নিহিত। যারা এই ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে আমাদের দল বিকল্পধারাকে বিচ্ছিন্ন করেছেন তারা আমাদের দলের সঙ্গেই শুধু নয়, গোটা জাতির সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন।
আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতেৃত্বে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম চলছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আমাদের নেতৃত্বে সেই সংগ্রামের অংশীদার। এই ঘোষণার মাধ্যমে আমরা দাবি করছি, আপনাদের সামনে উপস্থিত আমরাই বিকল্পধারার মূলস্রোত। এর বাইরে অবস্থানকারীরা জন আকাঙ্ক্ষার বিরোধী শক্তি। বিকল্পধারা জাতির এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য অস্থায়ী কমিটি ঘোষণা করছে। যতদ্রুত সম্ভব দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবো। এই অস্থায়ী কমিটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে কোনো কর্মসূচিতে বিকল্পধারার একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব বলে বিবেচিত হবে।
নতুন এ কমিটির প্রেসিডেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী বিকল্পধারার সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন এবং মহাসচিব এডভোকেট শাহ আহম্মেদ বাদল দলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কমিটি নিজেদের মূল স্রোতের অংশ দাবি করেন। তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অস্থায়ী ঠিকানা সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন বিল্ডিংয়ের ১৩৩ নম্বর কক্ষ উল্লেখ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- আপনারা সকলেই অবগত আছেন রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। কখনো এককভাবে আবার কখনো অন্যান্য রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে।
সেই ধারাবাহিকতায় আমরা গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ রুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্লাটফর্মে রূপ দেয়ার জন্য লাগাতার চেষ্টা করে চলেছি। মূলত এই প্রচেষ্টার চূড়ান্ত রূপই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লিপ্ত সকল রাজনৈতিক সম্মিলনে তৈরি ‘জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টা’। যা সর্বশেষ গত ১৩ই অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে রাজনৈতিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, গণফোরাম ও বিএনপি বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক সূচনার সঙ্গে নিজেদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করেছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে দল হিসেবে বিকল্পধারা এই ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের তাগিদ অনুভব করে এসেছে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান জগদ্দল পাথরের ন্যায় যে অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ঘাড়ে বসে নিঃশ্বাস ফেলছে, এ থেকে মুক্তি পেতে হলে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির সামনে দ্বিতীয় আর কোনো বিকল্প নেই।
তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সরব আত্মপ্রকাশ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একধাপ অগ্রগতি। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি সফল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ সফলভাবে নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম হবে। কিন্তু যে রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত বিকল্পধারার হাত ধরে, অথচ তার চূড়ান্ত রূপায়ণের দল হিসেবে সময়মতো আমাদের অনুপস্থিত থাকতে হয়েছে। বিকল্পধারার বর্তমান নেতৃত্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে শুধু অনুপস্থিতই থাকেনি বরং সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জাতির সামনে এর ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে প্রকাশ করেছে। যা বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের দল এবং জোটের প্রতিক্রিয়ার ভাষায় প্রতিধ্বনি মাত্র।
এহেন তৎপরতা জন্মলগ্ন থেকে বিকল্পধারার ঘোষিত রাজনীতির বিসর্জনের শামিল। কারো কারো ব্যবসায়িক স্বার্থ ও সীমাহীন আত্মকেন্দ্রিকতা এবং পারিবারিক সংকীর্ণ সুবিধাবাদিতা এই গণবিরোধী ভূমিকার উৎসস্থল। আপনাদের সামনে উপস্থিত আমরা বিকল্পধারার মূল রাজনীতির প্রধান স্রোত। আজকের বিরাজমান জাতীয় সংকটে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমাদের মৌলিক রাজনীতির মধ্যেই নিহিত। যারা এই ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে আমাদের দল বিকল্পধারাকে বিচ্ছিন্ন করেছেন তারা আমাদের দলের সঙ্গেই শুধু নয়, গোটা জাতির সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন।
আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতেৃত্বে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম চলছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আমাদের নেতৃত্বে সেই সংগ্রামের অংশীদার। এই ঘোষণার মাধ্যমে আমরা দাবি করছি, আপনাদের সামনে উপস্থিত আমরাই বিকল্পধারার মূলস্রোত। এর বাইরে অবস্থানকারীরা জন আকাঙ্ক্ষার বিরোধী শক্তি। বিকল্পধারা জাতির এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য অস্থায়ী কমিটি ঘোষণা করছে। যতদ্রুত সম্ভব দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবো। এই অস্থায়ী কমিটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে কোনো কর্মসূচিতে বিকল্পধারার একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব বলে বিবেচিত হবে।