এক্সক্লুসিভ

খালেদা জিয়ার কি রায় হতে পারে তা আগেই অনুমান করা যায়: নজরুল

স্টাফ রিপোর্টার

১৯ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

আগামী ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কি রায় হতে পারে তা আগেই অনুমান করা যায়। এর জন্য খুব বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রায় বাতিলের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যখন কেউ সুবিচার পাচ্ছে না। যে দেশের বিচারককে রায় দেয়ার কারণে দেশ ছাড়তে হয়, সেদেশে কেউ বিচার পাবে তা বলা যায় না। নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার অভিযোগকারীই হলো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। যে কাহার আকন্দ অভিযোগ করেছেন- তারেক রহমান ২১শে আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাকেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানানো হয়েছে। বিচারের ইতিহাসে এটা বিরল। নজরুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে সুবিচার করার সুযোগ যদি কখনো হয় তাহলে অবশ্যই সুবিচার হবে। কারণ, ২১শে আগস্টের মামলায় সুবিচার তো আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াই প্রথম চেয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য শুধু দেশীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, ইন্টারপোলের প্রতিনিধি আনা হয়েছিল। হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে আমরাই গ্রেপ্তার করেছিলাম। যদি বিএনপি এ বিষয়ে জড়িত থাকতো তাহলে তো  মুফতি হান্নানকে সরিয়ে দিলেই হয়ে যেত। বন্দি করে রাখার প্রয়োজন ছিল না। আমরা বুঝতে পারিনি আওয়ামী লীগ কোনোদিন এভাবে মুফতি হান্নানকে ব্যবহার করবে। তাই সুবিচারের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়। তারা যেভাবে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে, সেভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চান। বিচার চলাকালে বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করা যায় না এটা জানার পরও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন যা কিছু করেছি সব প্রকাশ্যে করেছি। আর এই সরকারের আমলে আইনে নেই কিন্তু সব কিছু করা হচ্ছে। এই অবস্থা মোকাবিলা করতে আমাদের আরো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সময় আসলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের বৃহত্তর আন্দোলনের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার কাজ চলছে। আমাদের দাবির সঙ্গে বাম সংগঠনগুলোর দাবিদাওয়া, চরমোনাই পীর সাহেবের দাবিদাওয়া এক হওয়ায় এমন একসময় আসবে, যখন সবাই ঐক?্যবদ্ধ হবো। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করেছিলেন আওয়ামী লীগ। অথচ তিনি এখন খারাপ হয়ে গেছেন। মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব সবাই তাদের লোক ছিলেন। কিন্তু তারা এখন আওয়ামী লীগের কাছে খারাপ হয়ে গেছেন। কারণ, আওয়ামী লীগের খারাপ কাজগুলো পছন্দ করেন না বলে তারা সবাই বের হয়ে গেছেন দল থেকে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটি দলের নেতা বলেছেন- বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হোক। যিনি বলেছেন, তাদের দলকে এক সময় সন্ত্রাসী দল বলেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের হত্যা করেছে ওই দলটি। কিন্তু এখন তারা সন্ত্রাসীও নেই। কোনো সমস্যাও নেই। কারণ, তারা এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছে। সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status