ভারত

কেরলের সেই শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে দেয়া হলো না নারীদের

কলকাতা প্রতিনিধি

১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১:১৪ পূর্বাহ্ন

কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে দেয়া হল না নারীদের। অথচ ভারতের সুপ্রিম কোর্টর্  সব বয়সের নারীদের অবাধ প্রবেশাধিকারের রায় দেয়ার পরে বুধ ও বৃহষ্পতিবার চেষ্টা করেও রায় বিরোধী বিক্ষোভকারিদের বাধায় কোনও নারী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন নি। এদের মধ্যে দুজন নিউইয়র্ক টাইমসের ভারতীয় সংবাদদাতা এবং তার বিদেশি সহকর্মী ছিলেন। প্রথা মেনে পাঁচ দিন ধরে পুজোর জন্য বুধবারই শবরীমালা মন্দির খুলে দেয়া হযেছে। শবরীমালা মন্দিরের পুরোহিতরা কোনও ঋতুবতী নারীকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দিতেন না। ফলে ১০ থেকে ৫০ বছরের কোনও নারীর  প্রবেশাধিকার এত দিন নিষিদ্ধ ছিল। বহু আন্দোলনের পরে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, মন্দিরের এই প্রবেশ বিধি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। উপাসনালয়ে সব মানুষের ঢোকার অধিকার থাকা উচিত। সেই রায়ের পরে বুধবার লিবি সিএস নামে এক সাংবাদিক ও মাধবী নামে অন্ধ্রের বছর ৪০-এর এক মহিলা মন্দিরের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা হলেও বিক্ষোভকারীরা তাঁদের ঘিরে ধরে হেনস্থা করে। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করার পরে দুই মহিলা ফিরে আসেন। বৃহষ্পতিবারও নিউইয়র্ক টাইমসের ভারতীয সংবাদদাতা সুহাসিনী রাজ ও তার বিদেশি সহকর্মীকে নিয়ে মন্দিরের উদ্দেশে পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করলে প্রবল বিক্ষোভ ও অবরোধের মুখে তাদেরও ফিরে আসতে হয়েছে। অথচ মন্দিরের রাস্তায় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি বিক্ষোভ ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করাও হয়েছে। কিন্তু তবু নারী পুণ্যার্থীদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার বন্দোবস্ত করতে পারেনি প্রশাসন। অভিযোগ,  প্রশাসনের কর্তারা নারীদের মন্দিরে না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  এই কারণেই তাঁরা ফিরে আসতে বাধ্য হযেচেন। ‘শবরীমালা বাঁচাও কমিটি’ নামে একটি সংগঠন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। বৃহষ্পতিবার গোটা এলাকায় বনধ ডাকা হযেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status