অনলাইন
কুকুরের রাজ্য
মো. আলীম মাহমুদ, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ১:০১ পূর্বাহ্ন
কুকুরের দখলে সখীপুর পৌরশহর। কুকুরের আধিপত্য চলছে। আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে নিজ নিজ দলে ২০-৩০ গ্রুপে ভাগ হয়ে মহড়া দিচ্ছে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়কে। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ও পথচারীসহ সাধারণ জনসাধারণকে কামড়ানোর চেষ্টা করছে দলবদ্ধ কুকুর।
কুকুরের এই যত্রতত্র চলাচলে পথচলা মুশকিল হয়ে পরেছে পৌরবাসীর। কোমলমতি স্কুল পড়–য়া শিশুরা যেমনি ভয় পাচ্ছে স্কুলে যেতে তেমনি অভিভাবকরাও ভয় পাচ্ছে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে। কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সখীপুর পৌরশহরসহ উপজেলাব্যাপি কুকুরের আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে ব্যাপক হারে। এর সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে যুক্ত হয়েছে উচ্চ আদালত থেকে কুকুর নিধনের নিষেধাজ্ঞা। ফলে জনগণের সুবিধার্থে সখীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না। পৌরশহরে প্রধান প্রধান সড়ক, চৌরাস্তা, মোড় এবং ছোট-বড় বাজারে দিনে-রাতে ২০-৩০ টি কুকুর এক সঙ্গে দল বেঁধে চলে। কুকুরদল প্রধান আস্তানা করেছে উত্তরামোড়, জেলখানা মোড়, উপজেলা রোড, মন্দির পাড়া, ঢাকা রোড, গার্লস স্কুল রোড, মহিলা কলেজ রোডসহ উপজেলার কচুয়া বাজার, কালিয়া বাজার, ষোলা প্রতিমা বাজার, দেওদিঘী বাজারে। বাজার সদাই কেড়ে নিতে হামলায় অনেক পথচারী আহত হয়েছে বলেও জানা যায়। এমনকি ছাত্র-ছাত্রী, একাকি কোন পথচারী কিংবা অটোভ্যান, সাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহীকে দাবড়িয়ে কামড়ানোর চেষ্টাও করে।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, কুকুরের কামড়ে মানুষ অহরহ আহত হচ্ছে। বিগত এক দেড় মাসে প্রায় শতাধিক কুকুরে কামড়ানো রোগী এসেছে। কিন্তু হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর কোন চিকিৎসা না পেয়ে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে রোগীর স্বজনদের। প্রতিদিন এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষের কিছুই করার থাকছে না। এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীনুর আলম বলেন, কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন এবং কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশনে বরাদ্ধ নাই। হয়তো সামনের সময়ে বরাদ্ধ পাওয়া যেতে পারে। কোন রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সখীপুর পৌরশহর ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি গ্রামে অসংখ্য কুকুর রয়েছে। কিছুদিন আগে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহায়তায় সখীপুর পৌরসভা কুকুরের জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন দেয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আসলে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাছাড়া কোন কুকুরকে দেয়া হয়েছে আর কোন কুকুরকে দেয়া হয়নি তাও বুঝা মুশকিল।
বিষয়টি নিয়ে সখীপুর পৌর কাউন্সিলর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, পৌর এলাকায় যে হারে কুকুরের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মানুষ প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছে। কিন্তু কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না। অন্যদিকে, কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশনও আমরা পাচ্ছি না। ফলে সব মিলিয়ে আমরা কঠিন বিপদের মধ্যে আছি। তবে কিছুদিন আগে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহায়তায় প্রায় দুই-আড়াই হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পৌরশহরের সকল কুকুরকে এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
কুকুরের এই যত্রতত্র চলাচলে পথচলা মুশকিল হয়ে পরেছে পৌরবাসীর। কোমলমতি স্কুল পড়–য়া শিশুরা যেমনি ভয় পাচ্ছে স্কুলে যেতে তেমনি অভিভাবকরাও ভয় পাচ্ছে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে। কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সখীপুর পৌরশহরসহ উপজেলাব্যাপি কুকুরের আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে ব্যাপক হারে। এর সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে যুক্ত হয়েছে উচ্চ আদালত থেকে কুকুর নিধনের নিষেধাজ্ঞা। ফলে জনগণের সুবিধার্থে সখীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না। পৌরশহরে প্রধান প্রধান সড়ক, চৌরাস্তা, মোড় এবং ছোট-বড় বাজারে দিনে-রাতে ২০-৩০ টি কুকুর এক সঙ্গে দল বেঁধে চলে। কুকুরদল প্রধান আস্তানা করেছে উত্তরামোড়, জেলখানা মোড়, উপজেলা রোড, মন্দির পাড়া, ঢাকা রোড, গার্লস স্কুল রোড, মহিলা কলেজ রোডসহ উপজেলার কচুয়া বাজার, কালিয়া বাজার, ষোলা প্রতিমা বাজার, দেওদিঘী বাজারে। বাজার সদাই কেড়ে নিতে হামলায় অনেক পথচারী আহত হয়েছে বলেও জানা যায়। এমনকি ছাত্র-ছাত্রী, একাকি কোন পথচারী কিংবা অটোভ্যান, সাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহীকে দাবড়িয়ে কামড়ানোর চেষ্টাও করে।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, কুকুরের কামড়ে মানুষ অহরহ আহত হচ্ছে। বিগত এক দেড় মাসে প্রায় শতাধিক কুকুরে কামড়ানো রোগী এসেছে। কিন্তু হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর কোন চিকিৎসা না পেয়ে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে রোগীর স্বজনদের। প্রতিদিন এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষের কিছুই করার থাকছে না। এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীনুর আলম বলেন, কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন এবং কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশনে বরাদ্ধ নাই। হয়তো সামনের সময়ে বরাদ্ধ পাওয়া যেতে পারে। কোন রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সখীপুর পৌরশহর ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি গ্রামে অসংখ্য কুকুর রয়েছে। কিছুদিন আগে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহায়তায় সখীপুর পৌরসভা কুকুরের জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন দেয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আসলে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাছাড়া কোন কুকুরকে দেয়া হয়েছে আর কোন কুকুরকে দেয়া হয়নি তাও বুঝা মুশকিল।
বিষয়টি নিয়ে সখীপুর পৌর কাউন্সিলর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, পৌর এলাকায় যে হারে কুকুরের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মানুষ প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছে। কিন্তু কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না। অন্যদিকে, কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশনও আমরা পাচ্ছি না। ফলে সব মিলিয়ে আমরা কঠিন বিপদের মধ্যে আছি। তবে কিছুদিন আগে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহায়তায় প্রায় দুই-আড়াই হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পৌরশহরের সকল কুকুরকে এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।