বিশ্বজমিন
খাসোগি হত্যার কথা স্বীকারের কথা ভাবছে সৌদি আরব
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
সাংবাদিক জামাল খাসোগি জিজ্ঞাসাবাদের সময় মারা গেছেন। এই স্বীকারোক্তি সমেত একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে সৌদি আরব। পশ্চিমা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির জেরে দীর্ঘদিন জোরালোভাবে অস্বীকারের পর এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করা হবে। কিন্তু বলা হবে, এর সঙ্গে রাজপরিবারের কারও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। দায়ীদেরও শাস্তি দেওয়া হবে। দুইটি সূত্রের বরাতে এ খবর দিয়েছে সিএনএন ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই প্রতিবেদনে বলা হবে, খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদের অপারেশন কোনো অনুমোদন ও স্বচ্ছতা ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে। যারা এতে দায়ী তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তবে প্রতিবেদনটি এখনও কেবল প্রস্তুত হচ্ছে। দুইটি সূত্রই সতর্ক করে বলেছে, শেষ অবদি এমনটা না করে অন্য পথেও হাঁটতে পারে সৌদি আরব।
ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলামিস্ট জামাল খাসোগিকে সর্বশেষ ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এরপর থেকে জনসম্মুখে তাকে দেখা যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষ এতদিন ধরে বলে এসেছে, খাসোগি কিছুক্ষণ পরই কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু এই বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।
খাসোগির বাগদত্তা হ্যাতিস সেঙ্গিজ কনস্যুলেটের বাইরে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তিনিও তাকে বের হতে দেখেননি। এই অন্তর্ধানের ঘটনা সৌদি আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নিলে, সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় হাই-প্রোফাইল বিনিয়োগ সম্মেলন ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিতে থাকে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই ঘটনায় সৌদি ও তুরস্কের মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তুরস্ক বারবার অভিযোগ করেছে যে, সৌদি আরব তদন্তে সহযোগিতা করছে না। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানায় যে, তারা ধারণা করছেন, ২রা অক্টোবর বিশেষ বিমানে করে ইস্তাম্বুলে আসা ১৫ জন সৌদি খাসোগির অন্তর্ধান কিংবা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। এই ১৫ জনের ছবিও প্রকাশ করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এদের অন্তত কয়েকজনের সঙ্গে সৌদি সরকারের উঁচু পর্যায়ে যোগসাজশ থাকার আলামত পাওয়া গেছে। এরা সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র সিএনএনকে জানান যে, তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে অডিও ও ছবি রয়েছে যেখানে দেখা যায় খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি-তুর্কি যৌথ তদন্ত দল সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর প্রবেশ করেছে। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ পাশেই অবস্থিত কনসাল জেনারেলের বাসাও তল্লাশি করতে চেয়েছিলেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই প্রতিবেদনে বলা হবে, খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদের অপারেশন কোনো অনুমোদন ও স্বচ্ছতা ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে। যারা এতে দায়ী তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তবে প্রতিবেদনটি এখনও কেবল প্রস্তুত হচ্ছে। দুইটি সূত্রই সতর্ক করে বলেছে, শেষ অবদি এমনটা না করে অন্য পথেও হাঁটতে পারে সৌদি আরব।
ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলামিস্ট জামাল খাসোগিকে সর্বশেষ ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এরপর থেকে জনসম্মুখে তাকে দেখা যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষ এতদিন ধরে বলে এসেছে, খাসোগি কিছুক্ষণ পরই কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু এই বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।
খাসোগির বাগদত্তা হ্যাতিস সেঙ্গিজ কনস্যুলেটের বাইরে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তিনিও তাকে বের হতে দেখেননি। এই অন্তর্ধানের ঘটনা সৌদি আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নিলে, সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় হাই-প্রোফাইল বিনিয়োগ সম্মেলন ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিতে থাকে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই ঘটনায় সৌদি ও তুরস্কের মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তুরস্ক বারবার অভিযোগ করেছে যে, সৌদি আরব তদন্তে সহযোগিতা করছে না। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানায় যে, তারা ধারণা করছেন, ২রা অক্টোবর বিশেষ বিমানে করে ইস্তাম্বুলে আসা ১৫ জন সৌদি খাসোগির অন্তর্ধান কিংবা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। এই ১৫ জনের ছবিও প্রকাশ করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এদের অন্তত কয়েকজনের সঙ্গে সৌদি সরকারের উঁচু পর্যায়ে যোগসাজশ থাকার আলামত পাওয়া গেছে। এরা সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র সিএনএনকে জানান যে, তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে অডিও ও ছবি রয়েছে যেখানে দেখা যায় খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি-তুর্কি যৌথ তদন্ত দল সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর প্রবেশ করেছে। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ পাশেই অবস্থিত কনসাল জেনারেলের বাসাও তল্লাশি করতে চেয়েছিলেন।