প্রথম পাতা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ৫ দফা প্রস্তাব

বাকস্বাধীনতা খর্বের প্রতিবাদে মাহবুব তালুকদারের ওয়াকআউট

সিরাজুস সালেকিন

১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে করণীয় সম্পর্কে ৫ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের সভা বর্জন করেছেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। ৩৬তম কমিশন সভা শুরুর পাঁচ মিনিট পর কমিশনের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ তুলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল দুই দফায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় একাদশ জাতীয় সংসদের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশীদারিত্বমূলক করার লক্ষ্যে কতিপয় প্রস্তাবনা’ শিরোনামে আমি যা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম নির্বাচন কমিশন সভায় আমাকে তা উপস্থাপন করতে দেয়া হয়নি।

অথচ বিগত ৮ই অক্টোবর কমিশন সচিবালয় আন-অফিসিয়াল (ইউও) নোটের মাধ্যমে কমিশন সভায় তা উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আমাকে প্রথমে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করতে বলে পরবর্তীতে আবার উপস্থাপন করতে না দেয়ায় আমি অপমানিত বোধ করেছি। তবে মাহবুব তালুকদারের অনুপস্থিতিতে কমিশন সভা বিঘ্নিত হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি জানিয়েছেন, সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, মাহবুব তালুকদার ব্যক্তিগত উদ্যোগে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে কিছু প্রস্তাব তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে তা আগ থেকেই নির্ধারণ করা, অংশীজনদের সঙ্গে ইসি’র সংলাপে আসা সুপারিশগুলো নিয়ে তফসিলের আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ইসি’র হাতে নেয়া ইত্যাদি। সভায় বলা হয়, কমিশন সভায় ব্যক্তিগত মত নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। আলোচনার সুযোগ না পেয়ে মাহবুব তালুকদার সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেন। এর আগে ইভিএমের বিরোধিতা করে গত ৩০শে আগস্টের সভাও বর্জন করেছিলেন মাহবুব তালুকদার।

সূত্র জানায়, মাহবুব তালুকদার নিজের দেয়া নোট অব ডিসেন্ট বৈঠকে পড়ে শোনান। তাতে তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কতিপয় পর্যালোচনা’ শিরোনামে তার বক্তব্য গতকালের সভায় উপস্থাপন করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে একটি আন-অফিসিয়াল (ইউও নোট) দিয়েছিলেন। মাহবুব তালুকদার বলেন, গত বছরের ৩১শে জুলাই থেকে ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত ইসি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করেছিল। সবার সুপারিশ একত্রিত করে একটি বই প্রকাশ করে ইসি। কিন্তু এসব নিয়ে আজ পর্যন্ত কমিশনের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।

সংলাপের কার্যকারিতা না দেখে তিনি ব্যক্তিগতভাবে একটি পর্যালোচনা করেন এবং সংলাপের সুপারিশের আলোকে প্রস্তাবগুলো লিখে কমিশন সভায় পেশ করার জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ই অক্টোবর কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, এই প্রস্তাবগুলো ১৫ই অক্টোবর কমিশনের সভায় উত্থাপন করার জন্য সিইসি তাকে অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু মাহবুব তালুকদার এই প্রস্তাবগুলো যাতে কমিশনের সভায় উপস্থাপন করতে দেয়া না হয় সেজন্য তিনজন নির্বাচন কমিশনার এক ও অভিন্ন ভাষায় আলাদা আলাদা চিঠি লিখে সিইসিকে অনুরোধ জানান। সিইসিও অন্য কমিশনারদের সঙ্গে একমত হওয়া তার প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করতে দেয়া হয়নি।

নোট অব ডিসেন্টে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশন সভায় আমার বক্তব্য উপস্থাপন করতে না দেয়ায় তাদের অভিন্ন অবস্থান আমাকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান প্রদত্ত আমার মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না। এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এরূপ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্টটি প্রদান করছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ নির্বাচন কমিশন সভা বর্জন করছি। পরে বিকালে নিজ কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমাকে প্রথমে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করতে বলে পরবর্তীতে আবার উপস্থাপন করতে না দেয়ায় আমি অপমানিত বোধ করেছি।

মাহবুব তালুকদারের ৫ প্রস্তাব:
সেনা মোতায়েন: মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে বাদ দেয়ায় এই প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, তাদের কার্যপরিধি আগেই নির্ধারিত হওয়া উচিত। এ জন্য অতীতের নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম মূল্যায়ন করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তাদের কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা ঠিক করতে হবে।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে ইসি উদ্যোগ নিতে পারে। এজন্য আবারো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। এতে দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা তৈরি করতে না পারলেও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখা যাবে সংবিধানে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকলেও সংবিধানের স্পিরিট হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ইসি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসলে অনেক কঠিন সমস্যারও সমাধান হতে পারে।

নির্বাচনে নিরপেক্ষতা: মাহবুব তালুকদার তার প্রস্তাবে বলেন, অতীতে নির্বাচনগুলোতে নিরপেক্ষতা ভঙ্গের কারণে ইসি পুলিশ ও প্রশাসনের কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেরেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা অর্জন শুধু ইসি’র বিষয় নয়। এটি সরকারের ভূমিকার ওপরও নির্ভর করে। সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর হলেই কেবল ইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল যে সুবিধা ভোগ করছে বিরোধী দল সংবিধানে দেয়া অধিকার তুলনামূলকভাবে তেমন ভোগ করতে পারছে না। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। বিরোধী দলের কমিটি ধরে ধরে মামলা দায়ের বা গায়েবি মামলা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধারণা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তফসিল ঘোষণার আগে ইসি’র কার্যকরভাবে কিছু করার সুযোগ না থাকলেও সব পক্ষের প্রতি সম আচরণের স্বার্থে ইসি বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর করতে পারে।

ইসি’র সক্ষমতা বাড়ানো: সংলাপে অনেকগুলো দল ইসি’র সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছিল। এ বিষয়ে মাহবুব তালুকদার তার প্রস্তাবে বলেছিলেন, আইনগতভাবে ইসি’র ক্ষমতা যথেষ্ট। কিন্তু ক্ষমতা থাকা আর ক্ষমতার প্রয়োগের সক্ষমতা থাকা ভিন্ন কথা। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসি অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না। এর প্রধান কারণ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাগজপত্রে ইসি’র অধীনে ন্যস্ত হলেও বাস্তবে কমিশন তাদের ওপর খুব একটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে না। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে বিষয়টি খুবই স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিরাও ইসি’র দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখিয়েছে। সংলাপের সুপারিশে অংশীজনদের অনেকে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি ইসি’র অধীনে ন্যস্ত করার কথা বলেছেন। বিষয়টি বিতর্কমূলক। তবে বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য। ইসি’র কাছে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকলে জাতীয় নির্বাচনে জনগণের আস্থা বাড়বে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে তা সহায়ক হবে।

সরকারের সঙ্গে সংলাপ: সংলাপে আসা কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে বলে দেখা গেছে। এর মধ্যে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও সুপারিশ রয়েছে যা সরকারি সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য মনে হলে তফসিল ঘোষণার আগেই ইসি’র উচিত সরকারের সঙ্গে সংলাপ করা। জনমনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের আস্থা তৈরি করতে সরকার ও ইসি’র একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। প্রত্যেক ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারেন এই নিশ্চয়তা দেয়ার মাধ্যমে ইসি’র আস্থা অর্জন সম্ভব।

সরকার চাইলে ইভিএম ব্যবহার হবে: সচিব
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র, নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এসব কার্যক্রমের পর্যালোচনার পাশাপাশি ৩৬তম কমিশন সভায় ইসি সচিবালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। একজন কমিশনারের অনুপস্থিতিতেই এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সরকার চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আর সেনা মোতায়েন হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে তফসিলের পর। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বিভিন্ন সময় বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে এবং ইসি সক্ষমতা অর্জন করলে সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে।

ইভিএম ব্যবহার ও সেনা মোতায়েন ইস্যুতে ইসি সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইভিএমের বিষয়টি আরপিও সংশোধনের জন্য একমাস পূর্বে সরকারের কাছে প্রস্তাব প্রেরণ করেছি। সরকার যদি মনে করে ইভিএম ব্যবহার হবে ওনারা আরপিও সংশোধন করে পাঠাবেন। কিন্তু আমরা এখনো পাইনি। আমরা পেলে জানাবো। সেনাবাহিনীর বিষয়গুলো সময় শেষ হয়ে যায়নি। কমিশন আমাদের অবহিত করেছেন তফসিল ঘোষণার পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত হবে।

সংলাপের বিষয়গুলো কমিশনে আলোচনা হয়নি কেন- এমন প্রশ্নে হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, একটি নতুন নির্বাচন কমিশন আসার পর তাদের প্রধান অংশীজন হলো রাজনৈতিক দল। তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর কতগুলো টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। সে বিষয়গুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে যেগুলো সংবিধান ও আইনের কাভার করে। এ প্রসঙ্গে সবাইকে অবহিত করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সংলাপ সংকলিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত বিষয়গুলো সরকারের কাছে প্রেরণ করা হবে মর্মে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তা পূরণ করা হয়নি বলে মাহবুব তালুকদার অভিযোগ তুলেছেন।

এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হয় সংবিধান ও আইনকানুনের ভিত্তিতে। নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধান সুরক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করে থাকেন। সংবিধানের বাইরে থেকে বা আইনকানুনের বাইরে কোনো নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। মাহবুব তালুকদারের এজেন্ডাগুলো যৌক্তিক ছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশন সভায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে তা অবশ্যই এজেন্ডাভুক্ত করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে একজন নির্বাচন কমিশনার বর্জন করার কারণ জানতে চাইলে সচিব বলেন, মাননীয় নির্বাচন কমিশনার প্রথমে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। উনি ওনার একটি বিষয় এজেন্ডাভুক্ত করার জন্য কমিশনে অনুরোধ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য তিনজন কমিশনার ওনারা মনে করেছেন যেহেতু এজেন্ডাভুক্ত নয় তাই এই সভায় আলোচনার কোনো কারণ নেই।

যেহেতু ওনার বিষয় এজেন্ডাভুক্ত হয়নি এ জন্য উনি সভা ত্যাগ করে চলে গেছেন। আমাদের সভা বিঘ্নিত হয়নি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সভা করেছি। চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। এতে ইসিতে অনৈক্য প্রকাশ পাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এটা কমিশনের বিষয়। মাননীয় কমিশন যেভাবে বলেছেন আমাদের কাছে অনুমিত হয়েছে যে, অন্য চারজন কমিশনার বলেছেন এজেন্ডাভুক্ত নয় তাই আলোচনার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status