এক্সক্লুসিভ

মৌলভীবাজার-৩ আসন

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে এম এ রহিম

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে

১৬ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, ভোটারদের সঙ্গে উঠান বৈঠক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠান বাদ যাচ্ছে না কোনোটিই। অংশ নিচ্ছেন জনসম্পৃক্ত সকল অনুষ্ঠানেই। আর জনসমাগমের স্থানগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও নৌকায় ভোট চেয়ে চলছে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ। স্থানীয় হাট-বাজার আর লোকসমাগমের স্থানগুলোতে টানানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন। এম এ রহিম (সি.আই.পি) সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে ফেস্টুন ও ব্যানার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। আর সেই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি জোর দাবি জানানো হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়ার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকটা আগাম প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ নেতা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী এম এ রহিম সি.আই.পি। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তার অনুসারী ও সমর্থক দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গতকাল মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শেষে রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন- আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে কাজ করছি। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে সবসময়ই মাঠে আছি এবং থাকবো। যেভাবে ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য দেশ ও বিদেশে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকার কারণে আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। তারপরও বিন্দুমাত্র বিচলিত হইনি। নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন- ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করি। প্রত্যেক রাজনীতিবিদেরই স্বপ্ন থাকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার। জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনমানুষের কল্যাণে কাজ করার। তাই একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমারও জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা থাকাটা স্বাভাবিক। আর আমার নির্বাচনী এলাকার দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের ইচ্ছা আমি যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেই। তাদের এমন ভালোবাসার ঋণে আমি আবদ্ধ। ওদের জন্য কাজ করি বলেই আমাকে পাশে রাখতে চায় তারা। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়া-পাওয়াকে মূল্যায়ন করে যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তা হলে এই আসনটি আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো বলে দৃঢ় আশাবাদী। রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন- ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে আমার সখ্য। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে অনুপ্রাণিত করতো। সে সময়ে তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলাম। আজও তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। দলের সুদিনে ও দুর্দিনে এ জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে দলীয় কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে কাজ করেছি। মনে পড়ে ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে মশাল মিছিল ও কালো পতাকা প্রদর্শনের কারণে জেল খেটেছি। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে সেখানেও দলের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দেশে আসার পর সেখানে আর ফিরে যাইনি। এখন আমার জন্মস্থান মৌলভীবাজারেই নিজের ব্যবসা- বাণিজ্য আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এমনটিই জানালেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলর, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি এম এ রহিম (সি.আই.পি)। নির্বাচনী মাঠে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে দলের একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন। তিনি বলেন- আমি দীর্ঘদিন থেকে মৌলভীবাজার-৩ (রাজনগর-মৌলভীবাজার) সংসদীয় এলাকা ছাড়াও পুরো জেলার মানুষের কল্যাণে আমার সাধ্যানুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এ জেলার মানুষ আমাকে আপন করে তাদের হৃদয়ে ঠাঁই দিয়েছে। আমিও তাদের ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার আলো সবার ঘরে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা নির্মাণ করেছি এবং করছি। যাতে কিছুটা হলেও এ অঞ্চলের কর্মহীন মানুষের কর্মস্থানের সুযোগ হয়। গরিব, দুঃখী ও অসহায় মানুষ এবং সমাজকল্যাণে আমার মহৎ উদ্দেশ্য থাকার কারণেই হয়তো স্থানীয় জনগণ আমাকে তাদের হৃদয়ে ঠাঁই দিয়েছেন। এটা আমার রাজনৈতিক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। চলার পথের পাথেয়। তাদের কল্যাণে কাজ করি বলেই তাদের পাশে রাখতে চাই। জনপ্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমিও সর্বোপরি মানুষ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন- ১৯৮২ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃটেন যান। যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সেখানকার অবহেলিত বাঙালি কমিউনিটিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে নানা সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রথমে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হন। পরে সাংগঠনিক ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও ওতপ্রোতভাবে জড়ান এবং টাওয়ার হ্যামলেটের ১ম বাংলাদেশি বৃটিশ কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। যুক্তরাজ্য থাকাকালে সেখানকার বাঙালি কমিউনিটি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির একজন সফল নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। একজন সফল কাউন্সিলর হিসেবেও পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা ও পুরস্কার। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, যুক্তরাজ্যে একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও রয়েছে তার সুনাম ও খ্যাতি। দেশে এসেও বসে নেই তিনি। ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হয়ে তরুণ সমাজকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করছেন। এম এ রহিম বলেন- আমার প্রত্যাশা ও স্বপ্ন হলো সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া। আর শিক্ষিত বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা। যেটি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়তে যে স্বপ্ন দেখতেন। এই মহান নেতা ও তার সুযোগ্য কন্যার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। এর আলোকেই যুক্তরাজ্যেও আমি একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেখানে বাঙালি ও বৃটিশ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। নিজ গ্রামে আমার প্রয়াত বাবার নামে আলহাজ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ নির্মাণ করেছি। যেখানে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা শতভাগ বিনা বেতনে ও নানা সুযোগ-সুবিধায় ভালো ফলাফলের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মায়ের নামে কর্পুলনেছা এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসা তৈরি করেছি। আরো একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ চলছে। আর কর্মসংস্থানের জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ব্যবসা, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানা নির্মাণ করেছি ও করছি। আশা রাখছি, সকলের সহযোগিতা, দোয়া ও আশীর্বাদে এই কাজে এগিয়ে যাবো।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status