ময়মনসিংহে ও টাঙ্গাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এদের একজন মাদক ব্যবসায়ী, অপরজন চরমপন্থি দলের নেতা। উভয় ঘটনা ঘটেছে রোববার মধ্যরাতে।    

পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন পায়েল নামে এক ব্যক্তি। দাবি করা হচ্ছে, তিনি একজন একজন ‘শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী’ ছিলেন। রোববার রাত  সোয়া ১টার দিকে সদর উপজেলার আকুয়া দরগাপাড়া খালপাড় সংলগ একটি ইটভাটার সামনে পাকা সড়কের পাশে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১শ পিস ইয়াবা ও ১শ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ওই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে অজ্ঞাত পরিচয় ৬-৭ জন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও আক্রমণ করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে পায়েলকে (২৯) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে টাঙ্গাইলে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ শরিফ ওরফে ফরহাদ (৩৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ফরহাদ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট (লাল পতাকা) পার্টির টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ছিলেন। রোববার রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা চৌধুরী মধ্য পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র‌্যাবের দুই সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে দাইন্যা চৌধুরী মধ্য পাড়া এলাকায় র‌্যাবের একটি টিম পৌঁছালে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে চরমপন্থী নেতারা গুলি ছুড়ে। পরে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গোলগুলির এক পর্যায়ে ফরহাদ গুলিবিদ্ধ ও গুরুত্বর আহত হয়। অন্যান্য নেতারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ফরহাদকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।