এক্সক্লুসিভ
একটু সহানুভূতি চান হাত হারানো পরিবহন শ্রমিক হৃদয়
মরিয়ম চম্পা
১৫ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
ফরিদপুরের টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসের হেল্পার ও পরিবহন শ্রমিক খালিদ হাসান হৃদয়। দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব হোসেনের নিথর দেহ যেদিন ঢাকা মেডিকেল থেকে দাফনের জন্য নিয়ে যান স্বজনরা, একই দিন ডান হাত হারিয়ে হাসপাতালে আসেন হৃদয়। স্বল্প আয়ের সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করতে বাসের হেল্পার হিসেবে কাজ শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। হাত ও কর্মসংস্থানের অভাবে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হৃদয়। এখনো কাটা হাতের ব্যথায় ঘুম ভাঙে তার।
হৃদয়ের মেজো বোন তামান্না আক্তার স্বর্ণা মানবজমিনকে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাবা মো. রবিউল ইসলাম একজন পরিবহন শ্রমিক। তিনিই বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বর্তমানে হাত ও কর্মহীন অবস্থায় খুব দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে হৃদয়। এখনো প্রায় রাতে হাতের ব্যথায় ঘুমাতে পারেন না তিনি। এদিকে আগের মতো পারিবারিক স্বচ্ছলতাও নেই তাদের। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। মেজো বোন অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। মা শাহিনা আক্তার একটি ওষুধ কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। ডান হাতটি না থাকায় নিজের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের জন্য পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিতে হয় তাকে। এমনকি তিনবেলা ভাত খেতেও তাকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে একটি আর্টিফিসিয়াল বায়োনিক হাতের ব্যবস্থা করে দিলে পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে হবে না হৃদয়কে। এদিকে অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ প্রায় তার মেজো বোন তামান্নার।
হৃদয় বলেন, যখন আমার দুটি হাতই ভালো ছিল তখন বাসে হেলপারের কাজ করে বাবাকে সংসার চালাতে সাহায্য করেছি। এখন নিজে কিছুই করতে পারি না। নিজে খুব একটা পড়ালেখা করতে পারিনি। তাই মেজো আপুকে পড়ালেখার খরচ জুগিয়ে যতটা পারি সাহায্য করেছি। আমি অসুস্থ হওয়ার পরে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা সংসার ও বোনের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাকে একটি কৃত্রিম বায়োনিক হাতের ব্যবস্থার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হলে বাকি জীবন অন্যের মুখোপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।
হৃদয়ের বাবা রবিউল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বয়স হয়েছে। আগের মতো কাজকর্ম করতে পারি না। হৃদয় আমার একমাত্র ছেলে। তার একটি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে যেতে পারলে মরেও শান্তি পাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সবার মা। আমার ছেলে হৃদয়কে তার নিজ সন্তান ভেবে একটি কৃত্রিম বায়োনিক হাত ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে আমাদের পুরো পরিবারটা হয়তো বেঁচে যাবে।
হৃদয়ের মেজো বোন তামান্না আক্তার স্বর্ণা মানবজমিনকে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাবা মো. রবিউল ইসলাম একজন পরিবহন শ্রমিক। তিনিই বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বর্তমানে হাত ও কর্মহীন অবস্থায় খুব দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে হৃদয়। এখনো প্রায় রাতে হাতের ব্যথায় ঘুমাতে পারেন না তিনি। এদিকে আগের মতো পারিবারিক স্বচ্ছলতাও নেই তাদের। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। মেজো বোন অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। মা শাহিনা আক্তার একটি ওষুধ কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। ডান হাতটি না থাকায় নিজের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের জন্য পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিতে হয় তাকে। এমনকি তিনবেলা ভাত খেতেও তাকে অন্যের সাহায্য নিতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে একটি আর্টিফিসিয়াল বায়োনিক হাতের ব্যবস্থা করে দিলে পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে হবে না হৃদয়কে। এদিকে অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ প্রায় তার মেজো বোন তামান্নার।
হৃদয় বলেন, যখন আমার দুটি হাতই ভালো ছিল তখন বাসে হেলপারের কাজ করে বাবাকে সংসার চালাতে সাহায্য করেছি। এখন নিজে কিছুই করতে পারি না। নিজে খুব একটা পড়ালেখা করতে পারিনি। তাই মেজো আপুকে পড়ালেখার খরচ জুগিয়ে যতটা পারি সাহায্য করেছি। আমি অসুস্থ হওয়ার পরে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা সংসার ও বোনের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাকে একটি কৃত্রিম বায়োনিক হাতের ব্যবস্থার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হলে বাকি জীবন অন্যের মুখোপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।
হৃদয়ের বাবা রবিউল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বয়স হয়েছে। আগের মতো কাজকর্ম করতে পারি না। হৃদয় আমার একমাত্র ছেলে। তার একটি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে যেতে পারলে মরেও শান্তি পাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সবার মা। আমার ছেলে হৃদয়কে তার নিজ সন্তান ভেবে একটি কৃত্রিম বায়োনিক হাত ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে আমাদের পুরো পরিবারটা হয়তো বেঁচে যাবে।