বাংলারজমিন
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না’
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। জীবনে আর কোনো দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না। আগামী নির্বাচন হবে ফাইনাল খেলা। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসেন, খেলা হবে, ফাউল করবেন না। নির্বাচনে না আসলে আগামীদিনে বিএনপিকে বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচন বানচান করার জন্য কতিপয় জনবিচ্ছিন্নরা চক্রান্ত শুরু করেছে। তাদেরকে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে, নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভুল স্বীকার করে নৌকার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা জেলা ও মহানগর ১৪ দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ১৪ দলের সমন্বয়ক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান এমপি ও দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মহাবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাম্যবাদী দলের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, এসএম কামাল হোসেন, ইসমাঈল হোসেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমাই চন্দ্র ভৌমিক, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউর রশীদ খান, অসিত বরণ রায়, শফিকুল হামিদ চন্দন, ফজলুর রহমান, মিনা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মো. নাসিম আরো বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ২১ই আগস্ট গ্রেনেড হামলা, জঙ্গি দমনসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন। খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়া হত্যারও বিচার করতে পারেনি।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অন্যায় ও অপকর্ম করলে শেখ হাসিনা মন্ত্রী-এমপিদের মাফ করেন না। নৌকার মালিক শেখ হাসিনা। তিনি যার হাতে নৌকা দেবেন, তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করতে না পারলে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের সকল উন্নয়নের গতিধারা থেমে যাবে। তাই দেশ ও জাতীর স্বার্থে আগামী দিনেও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আমরা কমিউনিস্টরাও তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আর তথাকথিত জাতীয় ঐক্যের নামে তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
জাসদ সভাপতি নূরুল আম্বিয়া বলেন, বিএনপি জামায়াতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আর ড. কামাল হোসেনরা তাদের ঘাড়ের ওপর উঠেছে। এদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, বিএনপি’র মন্ত্রিসভায় পাকিস্তানিদের জায়গা দিয়েছিল। বিএনপি একটি দেশদ্রোহী রাজনৈতিক দল। এত দিন ১৪ দলের নেতৃত্বে রাজাকারদের মোকাবিলা করা হয়েছে। এবার ড. কামাল-বি চৌধুরী-রব-মান্নার মতো মীর জাফরদের মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান অতিথি মো. নাসিম আরো বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ২১ই আগস্ট গ্রেনেড হামলা, জঙ্গি দমনসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন। খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়া হত্যারও বিচার করতে পারেনি।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অন্যায় ও অপকর্ম করলে শেখ হাসিনা মন্ত্রী-এমপিদের মাফ করেন না। নৌকার মালিক শেখ হাসিনা। তিনি যার হাতে নৌকা দেবেন, তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করতে না পারলে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের সকল উন্নয়নের গতিধারা থেমে যাবে। তাই দেশ ও জাতীর স্বার্থে আগামী দিনেও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আমরা কমিউনিস্টরাও তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আর তথাকথিত জাতীয় ঐক্যের নামে তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
জাসদ সভাপতি নূরুল আম্বিয়া বলেন, বিএনপি জামায়াতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আর ড. কামাল হোসেনরা তাদের ঘাড়ের ওপর উঠেছে। এদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, বিএনপি’র মন্ত্রিসভায় পাকিস্তানিদের জায়গা দিয়েছিল। বিএনপি একটি দেশদ্রোহী রাজনৈতিক দল। এত দিন ১৪ দলের নেতৃত্বে রাজাকারদের মোকাবিলা করা হয়েছে। এবার ড. কামাল-বি চৌধুরী-রব-মান্নার মতো মীর জাফরদের মোকাবিলা করতে হবে।