দেশ বিদেশ
চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অসীম রায় বাবু (৩৯) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ইয়াবাসহ একাধিক মাদক মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর-বিবিরহাট সড়কের রেলক্রসিং এলাকায় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ সময় র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের চার সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন, র্যাবের উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম, মেজর হাসান, ল্যান্স কর্পোরাল শহীদ ও আবু। তারা চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান, র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান।
মিমতানুর রহমান জানান, অসীম রায় বাবু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে মুরাদপুর হয়ে বিবিরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় র্যাবের চেকপোস্টে গাড়ি থামানোর সংকেত দিলে অসীম গাড়ির কাচ খুলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অসীম মারা যায়। আর অসীমের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় র্যাবের চার সদস্য।
ঘটনার সময় অসীম রায় বাবুর ইয়াবা ব্যবসার মূল সহযোগী গাড়িচালক জাহিদ হোসেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে একঘণ্টা পর গাড়িচালক জাহিদকে নগরীর মুরাদপুরে মানুষের জটলার মধ্যে পাওয়া যায়। পরে তাকে নিয়ে গাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। গাড়িটিও জব্দ করা হয় বলে জানান মিমতানুর রহমান। তিনি জানান, খবর পেয়ে অসীমের বাবা ও ভাই রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
গাড়িচালক জাহিদ হোসেন (১৮) জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসীম রায় বাবু তার এফ প্রিমিও মডেলের প্রাইভেটকারে চড়ে নগরীর ষোলশহর সুন্নিয়া মাদরাসার পাশের এলাকায় নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন। রেলক্রসিংয়ের সামনে একদল সাদা পোশাক পরিহিত লোক গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় অসীম রায় বাবু গাড়ির কাচ নামিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান। তখন তারা অস্ত্র বের করে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। গোলাগুলির মধ্যে দৌড়ে মুরাদপুরের দিকে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানান। নগরীর পাঁচলাইশ থানার এসআই আবদুল গফুর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অসীম রায় বাবুর মৃতদেহ দেখেছি। আরো দুজনকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, অসীম রায় বাবু নগর পুলিশের তালিকায় ডাইল বাবু হিসেবে পরিচিত। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল গ্রামের গুরুসদয় রায়ের ছেলে। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদীয়া প্লাজায় তার একটি দোকান আছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকানটি ছিল মূলত তার ইয়াবা কেনাবেচার ঘাঁটি। পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ৫ই মার্চ ও ১৩ই মার্চ অসীম রায় বাবুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। ১লা মার্চ মারামারি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছিল। চলতি বছরের ৫ই মার্চ মধ্যরাতে নগরীর নন্দনকাননে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে অসীম রায় বাবু। এই ঘটনায় বাবরের ভাই বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মিমতানুর রহমান জানান, অসীম রায় বাবু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে মুরাদপুর হয়ে বিবিরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় র্যাবের চেকপোস্টে গাড়ি থামানোর সংকেত দিলে অসীম গাড়ির কাচ খুলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অসীম মারা যায়। আর অসীমের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় র্যাবের চার সদস্য।
ঘটনার সময় অসীম রায় বাবুর ইয়াবা ব্যবসার মূল সহযোগী গাড়িচালক জাহিদ হোসেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে একঘণ্টা পর গাড়িচালক জাহিদকে নগরীর মুরাদপুরে মানুষের জটলার মধ্যে পাওয়া যায়। পরে তাকে নিয়ে গাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। গাড়িটিও জব্দ করা হয় বলে জানান মিমতানুর রহমান। তিনি জানান, খবর পেয়ে অসীমের বাবা ও ভাই রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
গাড়িচালক জাহিদ হোসেন (১৮) জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসীম রায় বাবু তার এফ প্রিমিও মডেলের প্রাইভেটকারে চড়ে নগরীর ষোলশহর সুন্নিয়া মাদরাসার পাশের এলাকায় নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন। রেলক্রসিংয়ের সামনে একদল সাদা পোশাক পরিহিত লোক গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় অসীম রায় বাবু গাড়ির কাচ নামিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান। তখন তারা অস্ত্র বের করে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। গোলাগুলির মধ্যে দৌড়ে মুরাদপুরের দিকে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানান। নগরীর পাঁচলাইশ থানার এসআই আবদুল গফুর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অসীম রায় বাবুর মৃতদেহ দেখেছি। আরো দুজনকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, অসীম রায় বাবু নগর পুলিশের তালিকায় ডাইল বাবু হিসেবে পরিচিত। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল গ্রামের গুরুসদয় রায়ের ছেলে। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদীয়া প্লাজায় তার একটি দোকান আছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকানটি ছিল মূলত তার ইয়াবা কেনাবেচার ঘাঁটি। পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ৫ই মার্চ ও ১৩ই মার্চ অসীম রায় বাবুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। ১লা মার্চ মারামারি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছিল। চলতি বছরের ৫ই মার্চ মধ্যরাতে নগরীর নন্দনকাননে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে অসীম রায় বাবু। এই ঘটনায় বাবরের ভাই বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।