বাংলারজমিন
কুবিতে বাসে হামলা: অজ্ঞাতনামা মামলা
কুবি প্রতিনিধি
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বাসে হামলার প্রতিবাদে অপরাধীর পরিচয় পাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা দশ-পনেরো জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলা করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে একটি মামলা করা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তারা প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনবে।্থ
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ধর্মপুর শাখার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের গতিরোধ করে এবং দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য আশিকুর রহমান জুয়েলের নেতৃতে এ হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। এ সময় বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা ভিডিও করার চেষ্টা করলে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয় এবং বাস আটকিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন হামলার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে রাত ৮ টা ৩০ এর দিকে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বেলতলি বিশ্বরোড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটারের যানজট লেগে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুক্রবার সকালের মধ্যে এবং পুলিশ প্রশাসন ৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয়। আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেয়।
হামলার শিকার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ প্রধান হামলাকারীকে শনাক্ত করে বলেন, ‘আশিকুর রহমান জুয়েলই আমার গায়ে হাত তুলে। তার নেতৃত্বে সবাই আমাকে কিল-ঘুষি মারে। একপর্যায়ে আমি কোনো রকমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই। প্রথমে আমি তাকে চিনতে না পারলেও পরে ছবি দেখে শনাক্ত করি।’ এদিকে হামলার পরে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার পরেও অজ্ঞাতনামা মামলা কেন করা হলো- সে বিষয়ে চাপা ক্ষোভ কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতই বাহিরের সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়ে যাচ্ছে আর প্রশাসন মামলা করে আর তদন্ত কমিটি করেই শিক্ষার্থীদের বুঝ দিয়ে দিচ্ছে। এবারের হামলায় যারা সম্পৃক্ত ছিল তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে আসবে।’
বাসে হামলার ঘটনায় হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া সত্ত্বেও কেন অজ্ঞাতনামা মামলা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘মামলা করার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাদের কাছে নাম বলতে পারেনি। তাই আমরা কারো নাম নিয়ে মামলা করতে পারিনি।’ মামলার বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে আজকে একটি মামলা করা হয়েছে, সেটিকে এজাহারভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ধর্মপুর শাখার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের গতিরোধ করে এবং দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য আশিকুর রহমান জুয়েলের নেতৃতে এ হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। এ সময় বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা ভিডিও করার চেষ্টা করলে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয় এবং বাস আটকিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন হামলার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে রাত ৮ টা ৩০ এর দিকে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বেলতলি বিশ্বরোড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটারের যানজট লেগে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুক্রবার সকালের মধ্যে এবং পুলিশ প্রশাসন ৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয়। আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেয়।
হামলার শিকার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ প্রধান হামলাকারীকে শনাক্ত করে বলেন, ‘আশিকুর রহমান জুয়েলই আমার গায়ে হাত তুলে। তার নেতৃত্বে সবাই আমাকে কিল-ঘুষি মারে। একপর্যায়ে আমি কোনো রকমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই। প্রথমে আমি তাকে চিনতে না পারলেও পরে ছবি দেখে শনাক্ত করি।’ এদিকে হামলার পরে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার পরেও অজ্ঞাতনামা মামলা কেন করা হলো- সে বিষয়ে চাপা ক্ষোভ কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতই বাহিরের সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়ে যাচ্ছে আর প্রশাসন মামলা করে আর তদন্ত কমিটি করেই শিক্ষার্থীদের বুঝ দিয়ে দিচ্ছে। এবারের হামলায় যারা সম্পৃক্ত ছিল তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে আসবে।’
বাসে হামলার ঘটনায় হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া সত্ত্বেও কেন অজ্ঞাতনামা মামলা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘মামলা করার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাদের কাছে নাম বলতে পারেনি। তাই আমরা কারো নাম নিয়ে মামলা করতে পারিনি।’ মামলার বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে আজকে একটি মামলা করা হয়েছে, সেটিকে এজাহারভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’