খেলা

ফ্রান্স ২-২ আইসল্যান্ড

এমবাপ্পেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রক্ষা

স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে ফ্রান্সের বিপক্ষে একবারও জয়ের দেখা পায়নি আইসল্যান্ড। বৃহস্পতিবার প্রীতি ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে ছিল তারা। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পের শেষ সময়ের গোলে রক্ষা পায় ফরাসিরা। ফ্রান্সের মাঠে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। ম্যাচের শেষ দিকে ফ্রান্স সমতায় ফেরে আত্মঘাতী ও পেনাল্টি গোলে। এ ড্রয়ে আইসল্যান্ডের কাছে অজেয় থাকলো ফ্রান্স। আগের ১২ দেখায় ফরাসিদের জয় নয়টি। বাকি তিন ম্যাচ ড্র। বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও আইসল্যান্ডের রক্ষণে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ফ্রান্স। উল্টো ৩০তম মিনিটে এগিয়ে যায় আগের টানা চার ম্যাচে হার দেখা আইসল্যান্ড। আলফ্রেড ফিনবোগাসনের বাড়ানো বল নিখুঁত প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন বিকরি বিয়ারনাসন। ৩৪তম মিনিটে ফ্রান্সের ব্লেইস মাতুইদি গোলরক্ষকের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফরাসিদের কোণঠাসা করে ফেলে গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ড্র করা আইসল্যান্ড। ৫৮তম মিনিটে জিলফি সিগুর্ডসনের কর্নারে ক্যারি অ্যারনাসনের হেড ক্রসবারের ভেতরের কোণায় লেগে জালে জড়ায়। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বদলি খেলতে নামেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৮৫তম মিনিটে এমবাপ্পের শট গোলরক্ষক রুখে দেন। কিন্তু ফিরতি বল আইসল্যান্ডের ইয়োলফসনের বুকে লেগে জালে জড়ালে ম্যাচে ফেরে ফ্রান্স। পাঁচ মিনিট পর ডি-বক্সের মধ্যে সিগথোরসনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। আগামী বুধবার ইউয়েফা ন্যাশন্স লীগের ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
ওয়েলসের জালে স্পেনের ৪ গোল
রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দুর্বার হয়ে উঠেছে স্পেন। ওয়েলসকে তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কার্ডিফে জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ম্যাচটি ৪-১ গোলে জেতে স্পেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়ার পর টানা তিন ম্যাচ জিতলো স্প্যানিশরা। গত মাসে ইউয়েফা নেশন্স লীগে ইংল্যান্ডের মাঠে ২-১ গোলে জেতার পর ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। বৃহস্পতিবার স্পেনের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন ওয়েলসের তারকা ফুটবলার গ্যারেথ বেল। এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। ডি-বক্সে সাউল নিগেসের ছোট পাস ধরে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন পাকো আলকাসার। ১৯তম মিনিটে এসি মিলান ফরোয়ার্ড সুসোর ফ্রি-কিক থেকে হেডে জালে জড়ান সার্জিও রামোস। জোড়া গোলের ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই তৃতীয় গোল খেয়ে বসে ওয়েলস। ২৯তম মিনিটে আরো একবার রক্ষণের ভুলে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড আলকাসার। ২০০৬ সালের অক্টোবরে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে তিন গোল হজম করলো ওয়েলস। এক যুগ আগের ম্যাচটি ৫-১ গোলে হেরেছিল তারা। ৭৪তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ান মার্ক বার্ত্রা। সুসোর কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল বেতিসের এই সেন্টার-ব্যাক। জাতীয় দলের হয়ে চতুর্দশ ম্যাচে এসে প্রথম গোল করলেন বার্সেলোনার সাবেক এই খেলোয়াড়। শেষ দিকে একমাত্র সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় স্বাগতিকরা। ৮৯তম মিনিটে হেডে গোলটি করেন বার্নলির ফরোয়ার্ড স্যাম ভোকস।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status