এক্সক্লুসিভ
ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট
সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে টুকরা টুকরা করা হয়েছে
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তুরস্ক। দেশটি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের এমন অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং তাদের হাতে রয়েছে, যাতে প্রমাণ হয় যে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার মৃতদেহ টুকরা টুকরা করে হত্যাকারীরা। মার্কিন ও তুর্কি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
খবরে বলা হয়, তুরস্কের হাতে থাকা রেকর্ডিংয়ে দেখা গেছে, ২রা অক্টোবর নিজের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন খাশোগি। এ সময় তার বাগদত্তা বাইরে তার ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পরই সৌদি আরবের একটি নিরাপত্তা টিম তাকে আটকে ফেলে। পরে তাকে হত্যা করে মৃতদেহ টুকরা
টুকরা করা হয়। ওই রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে জানেন এমন একজন নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, জামাল খাশোগি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর কি ঘটেছে তা রেকর্ডিংয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রেকর্ডিংয়ে আপনি তার (খাশোগির) ও আরবিভাষী কয়েকজনের কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন। এমনকি খাশোগিকে নির্যাতনের রেকডিংও রয়েছে।’ আরেকজন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এসব রেকর্ডিংয়ের সূত্র ধরেই তুরস্ক তাৎক্ষণিকভাবে খাশোগিকে হত্যার দায়ে সৌদি আরবকে দোষারোপ করে। তবে, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ এসব রেকর্ডিং প্রকাশ করার বিষয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। কেননা ইস্তাম্বুলের বিদেশি কনস্যুলেটগুলোতে তুর্কী গোয়েন্দারা কিভাবে গুপ্তচরবৃত্তি করে, তা এর মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা অডিও রেকর্ডগুলো শুনেছেন বা ভিডিও রেকর্ডগুলো দেখেছেন কি না তা নিশ্চিত না। এদিকে, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি, খাশোগি কিছুক্ষণ পরই সৌদি কনস্যুলেট ছেড়ে গেছেন। তবে, আসলেই খাশোগির সঙ্গে কি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য যৌথ তদন্ত টিম গঠনের বিষয়ে সৌদি আরবের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তুরস্ক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের তদন্তকারী দল তুরস্কে পৌঁছেছে। সেখানে তুর্কী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে খাশোগির নিখোঁজ রহস্য তদন্ত করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের রাজ পরিবারের সঙ্গে নিখোঁজ সাংবাদিক খাশোগির দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচনা করতেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি লেখালেখিও করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই খাশোগির সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের দ্বন্দ্ব চলছিল।
খবরে বলা হয়, তুরস্কের হাতে থাকা রেকর্ডিংয়ে দেখা গেছে, ২রা অক্টোবর নিজের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন খাশোগি। এ সময় তার বাগদত্তা বাইরে তার ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পরই সৌদি আরবের একটি নিরাপত্তা টিম তাকে আটকে ফেলে। পরে তাকে হত্যা করে মৃতদেহ টুকরা
টুকরা করা হয়। ওই রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে জানেন এমন একজন নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, জামাল খাশোগি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর কি ঘটেছে তা রেকর্ডিংয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রেকর্ডিংয়ে আপনি তার (খাশোগির) ও আরবিভাষী কয়েকজনের কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন। এমনকি খাশোগিকে নির্যাতনের রেকডিংও রয়েছে।’ আরেকজন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এসব রেকর্ডিংয়ের সূত্র ধরেই তুরস্ক তাৎক্ষণিকভাবে খাশোগিকে হত্যার দায়ে সৌদি আরবকে দোষারোপ করে। তবে, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ এসব রেকর্ডিং প্রকাশ করার বিষয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। কেননা ইস্তাম্বুলের বিদেশি কনস্যুলেটগুলোতে তুর্কী গোয়েন্দারা কিভাবে গুপ্তচরবৃত্তি করে, তা এর মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা অডিও রেকর্ডগুলো শুনেছেন বা ভিডিও রেকর্ডগুলো দেখেছেন কি না তা নিশ্চিত না। এদিকে, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি, খাশোগি কিছুক্ষণ পরই সৌদি কনস্যুলেট ছেড়ে গেছেন। তবে, আসলেই খাশোগির সঙ্গে কি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য যৌথ তদন্ত টিম গঠনের বিষয়ে সৌদি আরবের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তুরস্ক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের তদন্তকারী দল তুরস্কে পৌঁছেছে। সেখানে তুর্কী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে খাশোগির নিখোঁজ রহস্য তদন্ত করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের রাজ পরিবারের সঙ্গে নিখোঁজ সাংবাদিক খাশোগির দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচনা করতেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি লেখালেখিও করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই খাশোগির সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের দ্বন্দ্ব চলছিল।