সাইক্লিং ফেডারেশনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ধারে অর্থ নিয়ে বিদেশে দল পাঠিয়েছে। কিন্তু সেই অর্থ ফেরত দেয়ার নাম নেই বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের। এমনটাই অভিযোগ করেছেন সাইক্লিং ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও বিজেএমসির কোচ মো. আবদুল কুদ্দুস। গত বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান ট্র্যাক সাইক্লিংয়ে অংশ নেয়ার জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন সেই অর্থ ফেরত দিচ্ছে না ফেডারেশন। তবে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদকের দাবি স্বেচ্ছায় টাকা খরচ করে সেই টাকা ফেরত চাচ্ছেন কুদ্দুস।
গত বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান ট্র্যাক সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ থেকে চারজন সাইক্লিস্ট ও তিনজন কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। ওই সময়ে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। কুদ্দুসের দাবি পৃষ্ঠপোষক না পাওয়ায় তার কাছেই ধর্না দেন কর্মকর্তারা। ব্লেজার, ট্র্যাকসুট, স্যু এবং বিমান ভাড়া বাবদ অর্থ নিজের গাঁট থেকে দেন কুদ্দুস। বিজেএমসির এই সংগঠক বলেন, ‘স্পন্সর না পাওয়ায় আমাকেই অর্থ খরচ করতে বলেন কর্মকর্তারা। ফেডারেশনের তৎকালীন সভাপতি মিজানুর রহমান মানু সাহেবের সম্মতিতেই আমি অর্থ খরচ করেছিলাম। এমনকি মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর সেখানে ১৪০০ ডলার হোটেল ভাড়াও দিতে পারেননি কর্মকর্তারা। আমি নিজের পকেট থেকে সেই অর্থ খরচ করেছি। শুধু তাই নয়, ঢাকায় আসার পর বিমানবন্দর থেকে বাড়ি যাওয়ার খরচও আমি দিয়েছি সাইক্লিস্টদের। অথচ বিভিন্ন খাতে খরচ করা সেই সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে চাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। টালবাহানা করছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি বিজেএমসিকে জাতীয় সাইক্লিংয়ে ১৯ বার চ্যাম্পিয়ন করিয়েছি। সেই সূত্রে সাইক্লিংয়ের প্রতি আমার একটি টান রয়েছে। কিন্তু অর্থ খরচ করেও যে পাবো না, তা জানতাম না।’ তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কুদ্দুস সাহেবের ইচ্ছাতেই খরচ করেছেন। আমরা বলিনি।’ কেন বিদেশে দল পাঠানোর জন্য একজন ব্যক্তি এত টাকা নিজের গাঁট থেকে দেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে পারভেজ বলেন, ‘অর্থ না থাকলে আমরা যেতাম না মালয়েশিয়ায়। নিজের ইচ্ছাতে অর্থ খরচ করে এখন টাকা চাইছেন কুদ্দুস।’