ভারত
পশ্চিমবঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদানে আদালতের স্থগিতাদেশ
কলকাতা প্রতিনিধি
৯ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:২১ পূর্বাহ্ন
পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে গত শুক্রবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চমঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মাসে এ বছরে দুর্গাপুজোয় রাজ্যের ২৮ হাজার সর্বজনীন পুজো কমিটিকে ১০ হাজার রুপি করে ২৮ কোটি রুপি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতার যুক্তিবাদী আন্দোলনের কর্মী সৌরভ দত্ত ও দ্যুতিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।
তারা অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন। হাইকোর্টে এই মামলা দায়েরের আগে সরকারি সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন আরএসপি নেতা অশোক ঘোষ। অশোক ঘোষ মমতার অনুদান দেওয়ার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, কোনো ধর্মীয় উৎসব আয়োজনে সরকারি অর্থ দেওয়া সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকাঠামোকে লঙ্ঘন করে। মঙ্গলবার এই মামলার দ্বিতীয় দিনে শুনানীতে সরকার ও আবেদনকারির পক্ষের আইনজবিীদের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ হযেছে। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, সরকার জনগণের টাকা এভাবে বিলি করতে পারে না। বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উৎসবে এভাবে অনুদান দিলে তা সরাসরি দেশের সংবিধানকে আঘাত করা হয়। এদিন শুনানির শুরুতেই এটর্ণি জেনারেল বলেছেন, পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
এ ক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের ২৮২ নম্বর ধারার কথা তুলে ধরেন। সরকারি আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় যুক্তি দিয়েছেন, সরকারি টাকা খরচার ক্ষেত্রে আলাদা কমিটি রয়েছে। অডিটর কম্পট্রোলার রয়েছে। ফলে করদাতার এই বিষয়ে কিছু বলার কোনও এক্তিয়ার নেই। আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা বলেচেন, মুখ্যমন্ত্রী টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণার সময় কোনও অর্ডার হয়নি। তাহলে এটি বরাদ্দই বলব। পুজোর জন্য বরাদ্দ অসাংবিধানিক। উদাহরণ হিসাবে তিনি ইমাম ভাতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এই আদালতই ইমাম ভাতা দেওয়াকে খারিজ করে দিয়েছিলেন। এদিন দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মামলায় অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।
তারা অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন। হাইকোর্টে এই মামলা দায়েরের আগে সরকারি সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন আরএসপি নেতা অশোক ঘোষ। অশোক ঘোষ মমতার অনুদান দেওয়ার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, কোনো ধর্মীয় উৎসব আয়োজনে সরকারি অর্থ দেওয়া সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকাঠামোকে লঙ্ঘন করে। মঙ্গলবার এই মামলার দ্বিতীয় দিনে শুনানীতে সরকার ও আবেদনকারির পক্ষের আইনজবিীদের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ হযেছে। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, সরকার জনগণের টাকা এভাবে বিলি করতে পারে না। বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উৎসবে এভাবে অনুদান দিলে তা সরাসরি দেশের সংবিধানকে আঘাত করা হয়। এদিন শুনানির শুরুতেই এটর্ণি জেনারেল বলেছেন, পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
এ ক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের ২৮২ নম্বর ধারার কথা তুলে ধরেন। সরকারি আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় যুক্তি দিয়েছেন, সরকারি টাকা খরচার ক্ষেত্রে আলাদা কমিটি রয়েছে। অডিটর কম্পট্রোলার রয়েছে। ফলে করদাতার এই বিষয়ে কিছু বলার কোনও এক্তিয়ার নেই। আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা বলেচেন, মুখ্যমন্ত্রী টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণার সময় কোনও অর্ডার হয়নি। তাহলে এটি বরাদ্দই বলব। পুজোর জন্য বরাদ্দ অসাংবিধানিক। উদাহরণ হিসাবে তিনি ইমাম ভাতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এই আদালতই ইমাম ভাতা দেওয়াকে খারিজ করে দিয়েছিলেন। এদিন দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মামলায় অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।