ফেসবুক ডায়েরি
খুবই অগ্রহণযোগ্য একটা ব্যাপার হতে চলেছে
ড. ফাহমিদুল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
সরকারের কূটচালে এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আত্মকেন্দ্রিকতায় কোটা জিনিসটা পুরাই উঠে যাচ্ছে- খুবই অগ্রহণযোগ্য একটা ব্যাপার হতে চলেছে।
জেলা কোটা দরকার নাই, নারী কোটা দরকার আছে কিনা ভাবা যেতে পারে। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা এখন সামান্য পরিমাণে রেখে ভবিষ্যতে পুরো উঠিয়ে দেয়া যেতে পারে (অবশ্যই ৩০% রাখা চলবে না)। আর পশ্চাৎপদদের জন্য আদিবাসী এবং প্রতিবন্ধী কোটা অবশ্যই রাখতে হবে। সব মিলিয়ে ৫৬%-এর পরিবর্তে ১৫% থেকে ২০% কোটা থাকতে পারে (আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল ১০%)।
আমরা সব সময় এরকমই বলে এসেছি।
আজ যখন কোটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, কোনো ‘কোটা থাকবে না’ স্পিরিটের ভিত্তিতে, তখন আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী বিষয়ে কোনো মতামত ছাড়াই প্রজ্ঞাপনের দাবি জোরদার করার মাধ্যমে আসলে আন্দোলনকারীরা শেষপর্যন্ত তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের আত্মকেন্দ্রিকতায় মত্ত হয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন অধিকার সংক্রান্ত একটি আন্দোলন, পেশামুখী আন্দোলন। যদিও তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত, কিন্তু এর আত্মকেন্দ্রিক দিকটির কথা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। তবুও আমরা এক পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়ে গেছি। আমরা মনে করেছি, একটি দেশে একটি জনগোষ্ঠীর দাবি-দাওয়া উত্থাপনের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই দাবি করতে গিয়ে তারা নিপীড়নের শিকার হলে, আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। নিপীড়নের প্রতিবাদও করেছি। কিন্তু আজ যখন দেখছি তারা সংখ্যালঘিষ্ঠের ‘কোটা পাবার অধিকার’কে আমলে নিচ্ছেন না, তখন তা মানতে পারছি না।
আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বহাল রাখার দাবিসহ তারা প্রজ্ঞাপনের আওয়াজ তুলবেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি। বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
জেলা কোটা দরকার নাই, নারী কোটা দরকার আছে কিনা ভাবা যেতে পারে। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা এখন সামান্য পরিমাণে রেখে ভবিষ্যতে পুরো উঠিয়ে দেয়া যেতে পারে (অবশ্যই ৩০% রাখা চলবে না)। আর পশ্চাৎপদদের জন্য আদিবাসী এবং প্রতিবন্ধী কোটা অবশ্যই রাখতে হবে। সব মিলিয়ে ৫৬%-এর পরিবর্তে ১৫% থেকে ২০% কোটা থাকতে পারে (আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল ১০%)।
আমরা সব সময় এরকমই বলে এসেছি।
আজ যখন কোটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, কোনো ‘কোটা থাকবে না’ স্পিরিটের ভিত্তিতে, তখন আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী বিষয়ে কোনো মতামত ছাড়াই প্রজ্ঞাপনের দাবি জোরদার করার মাধ্যমে আসলে আন্দোলনকারীরা শেষপর্যন্ত তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের আত্মকেন্দ্রিকতায় মত্ত হয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন অধিকার সংক্রান্ত একটি আন্দোলন, পেশামুখী আন্দোলন। যদিও তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত, কিন্তু এর আত্মকেন্দ্রিক দিকটির কথা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। তবুও আমরা এক পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়ে গেছি। আমরা মনে করেছি, একটি দেশে একটি জনগোষ্ঠীর দাবি-দাওয়া উত্থাপনের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই দাবি করতে গিয়ে তারা নিপীড়নের শিকার হলে, আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। নিপীড়নের প্রতিবাদও করেছি। কিন্তু আজ যখন দেখছি তারা সংখ্যালঘিষ্ঠের ‘কোটা পাবার অধিকার’কে আমলে নিচ্ছেন না, তখন তা মানতে পারছি না।
আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বহাল রাখার দাবিসহ তারা প্রজ্ঞাপনের আওয়াজ তুলবেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি। বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।