শিক্ষাঙ্গন
আবৃত্তি একাডেমির দুই দশক পূর্তি
দুই দিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসব শুরু
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে আবৃত্তি একাডেমির দুই দিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দুদিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়। শনিবার এ উৎসব শেষ হবে। দুদিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আবৃত্তিশিল্পী সারমিন ইসলাম জুঁইয়ের শ্রুতি নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ হয়। প্রযোজনা সম্পর্কে সারমিন ইসলাম জুঁই বলেন, এই নাটকটি সত্যমূলক। এর ঘটনাটি কোথাও ঘটেছে কিনা ঐতিহাসিকের উপর তার প্রমাণ সংগ্রহের ভার দিলে পাঠকদের বঞ্চিত হতে হবে। এইটুকু বললেই যথেষ্ট যে কবির জ্ঞানবিশ্বাস-মতে এটি সম্পূর্ণ সত্য।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার থাকবে লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী মৃন্ময় মিজানের নির্দেশনায় দেশভাগ নিয়ে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মরিচঝাঁপি’। এ সম্পর্কে মৃন্ময় মিজান বলেন, ১৯৭৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের মরিচঝাঁপি দ্বীপে সংঘটিত একটি হত্যাকান্ড- যেখানে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের বলপূর্বক উচ্ছেদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বাম সরকার ও পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় দ্বীপটি ঘেরাও করে। শেষে দীর্ঘদিন অবরোধের ফলে খাদ্য অপ্রতুলায় অনাহারে এবং পুলিশের অনবরত গুলিবর্ষণের মুখে দ্বীপের অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
মৃন্ময় মিজান জানান, এই আবৃত্তি প্রযোজনার বিস্তৃত অংশ জুড়ে রয়েছে মরিচঝাঁপি থেকে উৎখাত হওয়া একজন উদ্বাস্তুর পরাজিত জীবনের দীর্ঘশ্বাস। সাথে আছে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, দেশভাগ, দেশভাগের ফলে বিভক্ত দুই বাংলার মানুষের মনে তৈরি হওয়া ক্ষত এবং নানান রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সর্বোপরি ধর্ম ও রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে আমরা যাতে মানুষ হয়ে উঠতে পারি তার আহ্বান রয়েছে এখানে। প্রথমবারের মতো ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে আবৃত্তিশিল্পী ও লেখক মৃন্ময় মিজানের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় আবৃত্তি প্রযোজনায় তুলে এনেছে আবৃত্তি একাডেমি।
প্রসঙ্গত, আবৃত্তি একাডেমি, বাংলাদেশের ধ্রুপদী আবৃত্তি চর্চার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। দুই দশকের পথপরিক্রমায় আবৃত্তি একাডেমিদুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে শুদ্ধ উচ্চারণ ও বাচনিক উৎকর্ষের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। আবৃত্তি শিল্পকে জনপ্রিয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দানের প্রত্যয়ে একাডেমির কর্মীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ছোট-বড় ৫৩টি আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য প্রযোজনার আয়োজন একাডেমিকে করেছে সমৃদ্ধ ও সুপরিচিত। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আবৃত্তি একাডেমি একে একে পেরিয়ে গেছে বিশ বছর। ১৯৯৮ সালের ২৮শে আগস্ট কয়েকজন স্বপ্নবাজ মানুষের হাত ধরে এই সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছিল।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার থাকবে লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী মৃন্ময় মিজানের নির্দেশনায় দেশভাগ নিয়ে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মরিচঝাঁপি’। এ সম্পর্কে মৃন্ময় মিজান বলেন, ১৯৭৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের মরিচঝাঁপি দ্বীপে সংঘটিত একটি হত্যাকান্ড- যেখানে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের বলপূর্বক উচ্ছেদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বাম সরকার ও পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় দ্বীপটি ঘেরাও করে। শেষে দীর্ঘদিন অবরোধের ফলে খাদ্য অপ্রতুলায় অনাহারে এবং পুলিশের অনবরত গুলিবর্ষণের মুখে দ্বীপের অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
মৃন্ময় মিজান জানান, এই আবৃত্তি প্রযোজনার বিস্তৃত অংশ জুড়ে রয়েছে মরিচঝাঁপি থেকে উৎখাত হওয়া একজন উদ্বাস্তুর পরাজিত জীবনের দীর্ঘশ্বাস। সাথে আছে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, দেশভাগ, দেশভাগের ফলে বিভক্ত দুই বাংলার মানুষের মনে তৈরি হওয়া ক্ষত এবং নানান রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সর্বোপরি ধর্ম ও রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে আমরা যাতে মানুষ হয়ে উঠতে পারি তার আহ্বান রয়েছে এখানে। প্রথমবারের মতো ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে আবৃত্তিশিল্পী ও লেখক মৃন্ময় মিজানের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় আবৃত্তি প্রযোজনায় তুলে এনেছে আবৃত্তি একাডেমি।
প্রসঙ্গত, আবৃত্তি একাডেমি, বাংলাদেশের ধ্রুপদী আবৃত্তি চর্চার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। দুই দশকের পথপরিক্রমায় আবৃত্তি একাডেমিদুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে শুদ্ধ উচ্চারণ ও বাচনিক উৎকর্ষের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। আবৃত্তি শিল্পকে জনপ্রিয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দানের প্রত্যয়ে একাডেমির কর্মীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ছোট-বড় ৫৩টি আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য প্রযোজনার আয়োজন একাডেমিকে করেছে সমৃদ্ধ ও সুপরিচিত। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আবৃত্তি একাডেমি একে একে পেরিয়ে গেছে বিশ বছর। ১৯৯৮ সালের ২৮শে আগস্ট কয়েকজন স্বপ্নবাজ মানুষের হাত ধরে এই সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছিল।