শিক্ষাঙ্গন
ইবি শিক্ষার্থীর মাথায় ছাত্রলীগের ছুরিকাঘাত
ইবি প্রতিনিধি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাথায় ছুরিকাঘাত করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ফুটবল খেলার দর্শক সাড়িতে দাঁড়ানো নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলাকারীদের আটক করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীদের রোষাণলে পড়েন প্রক্টর ড. মাহবুব। বুধবার দুপুর ২টার দিকে আহত তৌহিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত তৌহিদ জানায়, আন্ত:বিভাগ ফুটবলের সেমিফাইনাল খেলায় অংশ নেয় ইংরেজী ও ইইই বিভাগ। এতে উভয়দল ১-১ গোল করায় ট্রেইবেকার হয়। এসময় ইংরেজী বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদুজ্জামন তার বন্ধুসহ গোল পোস্টের পাশে দাঁড়ান। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কর্মী জেভিয়ার জেভি (মার্কেটিং), আব্দুর রহিম স্বপ্ন, ইমতিয়াজ, (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ইমরান (দাওয়াহ) তৌহিদের এক বন্ধুর সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু করলে তৌহিদ এর প্রতিবাদ করায় ওই চার জন তাকে বেধরক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাদকসেবী জেভিয়ার ধারলো ছুড়ি দিয়ে তৌহিদের মাথায় আঘাত করে। এতে তার কপালের উপরে কেটে গিয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঘটনা বুঝতে পেরে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা জিয়াউর রহমান হলে পালিয়ে যায়। পরে তাৎক্ষণিক অভিযোগে প্রক্টর জিয়া হলে তাদের পিছু নেন। এসময় ভেভি, স্বপ্ন, ইমতিয়াজ ও ইমরান হলের ভেতর নিয়ে গেট লাগিয়ে দেয়। এসময় তাদের আনতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মী শাহজালাল সোহাগ, বিপুল, তুষার প্রক্টরকে তিরষ্কার করে ফিরিয়ে দেয়। এদিকে আহত হবার পর তৌহিদকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়। এ ঘটনায় তৌহিদ বাদী হয়ে নিজ বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানায়।
এদিকে গত সোমবার খেলায় প্রথম মারামারির ঘটনায় প্রক্টরের এক ফেসবুক কমেন্ট নিয়ে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রথম দিনেই যদি ওই মারামারির বিচার করা হতো তবে আজকের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতো না। প্রক্টরের আস্কারা পেয়েই কিছু বিশৃংখলাকারী ছাত্র এসব ঘটিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘প্রথমে শুনেছিলাম হামলাকারীরা বহিরাগত ছিল। তাদের তাৎক্ষণিক আটক করতে গিয়ে জানতে পারলাম সে আমাদের শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে ফিরে এসেছি। দোষী যারাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।’
ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু বলেন, ‘হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিচার দাবি করে ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি লিখিত ভাবে অভিযোগ চেয়েছেন। আগামী শনিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে ভিসির কাছে যাওয়া হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত তৌহিদ জানায়, আন্ত:বিভাগ ফুটবলের সেমিফাইনাল খেলায় অংশ নেয় ইংরেজী ও ইইই বিভাগ। এতে উভয়দল ১-১ গোল করায় ট্রেইবেকার হয়। এসময় ইংরেজী বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদুজ্জামন তার বন্ধুসহ গোল পোস্টের পাশে দাঁড়ান। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কর্মী জেভিয়ার জেভি (মার্কেটিং), আব্দুর রহিম স্বপ্ন, ইমতিয়াজ, (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ইমরান (দাওয়াহ) তৌহিদের এক বন্ধুর সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু করলে তৌহিদ এর প্রতিবাদ করায় ওই চার জন তাকে বেধরক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাদকসেবী জেভিয়ার ধারলো ছুড়ি দিয়ে তৌহিদের মাথায় আঘাত করে। এতে তার কপালের উপরে কেটে গিয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঘটনা বুঝতে পেরে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা জিয়াউর রহমান হলে পালিয়ে যায়। পরে তাৎক্ষণিক অভিযোগে প্রক্টর জিয়া হলে তাদের পিছু নেন। এসময় ভেভি, স্বপ্ন, ইমতিয়াজ ও ইমরান হলের ভেতর নিয়ে গেট লাগিয়ে দেয়। এসময় তাদের আনতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মী শাহজালাল সোহাগ, বিপুল, তুষার প্রক্টরকে তিরষ্কার করে ফিরিয়ে দেয়। এদিকে আহত হবার পর তৌহিদকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়। এ ঘটনায় তৌহিদ বাদী হয়ে নিজ বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানায়।
এদিকে গত সোমবার খেলায় প্রথম মারামারির ঘটনায় প্রক্টরের এক ফেসবুক কমেন্ট নিয়ে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রথম দিনেই যদি ওই মারামারির বিচার করা হতো তবে আজকের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতো না। প্রক্টরের আস্কারা পেয়েই কিছু বিশৃংখলাকারী ছাত্র এসব ঘটিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘প্রথমে শুনেছিলাম হামলাকারীরা বহিরাগত ছিল। তাদের তাৎক্ষণিক আটক করতে গিয়ে জানতে পারলাম সে আমাদের শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে ফিরে এসেছি। দোষী যারাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।’
ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু বলেন, ‘হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিচার দাবি করে ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি লিখিত ভাবে অভিযোগ চেয়েছেন। আগামী শনিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে ভিসির কাছে যাওয়া হবে।’