খেলা

পাকিস্তানকে ২৪০ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৫:১৩ পূর্বাহ্ন

এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ২৪০ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে চাপের মুখে চমতকার ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম। ১ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়েন তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পরই আরো বড় সংগ্রহের লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা। শেষ ৪২ রানে পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে। সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে ৭ বল বাকি থাকতে ২৩৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৪৮তম ওভারে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২৫)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাশরাফি বিন মর্তুজা (১৩)। দলীয় ১২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটিতে চাপ সামাল দেন মুশফিক। মুশফিকের ১১৬ বলে ৯৯ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। মোহাম্মদ আমিরের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়ে ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ খান। দুইটি করে উইকেট নেন হাসান আলী ও শাহীন আফ্রিদি। ৪২তম ওভারে শাহীন আফ্রিদির বল মুশফিকের ব্যাট ছুঁয়ে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে আটকা পড়ে। মুশফিকের বিদায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৯৭ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৪৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিক। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তিন অঙ্কে প্রবেশ করলেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসানের ৭ সেঞ্চুরি স্পর্শ করে ফেলতেন। সর্বাধিক ১১ সেঞ্চুরি তামিম ইকবালের। লঙ্কানদের বিপক্ষে চাপের মুখে ১৩১ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারই পুনরাবৃত্তি টানেন দুইজন। ১৪৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৬০ রানে ফেরেন মিঠুন। ৩৪তম ওভারে হাসান আলীকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ না হওয়ায় বল উপরে উঠে যায়। বোলার হাসান আলী নিজেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন। দলীয় ১৫৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ১১ রান যোগ হতেই পঞ্চম উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। মিঠুনের পর সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস (৯)। আগের ম্যাচে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ইমরুলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানের লেগস্পিনার শাদাব খান। দলীয় ১২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান মুশফিক ও মিঠুন। দুইজনের ১৪৪ রানের জুটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ উইকেটে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ। গত বছর ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের রেকর্ড স্পর্শ করেন মুশফিক-মিঠুন। চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি হাবিবুল বাশার ও রাজিন সালেহর দখলে। ফতুল্লায় ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তারা। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানেও মুশফিকের নাম জড়িয়ে। ২০১৩ সালে ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাঈম ইসলামকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। আর ২০০৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রকিবুল হাসানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি উপহার দেন সাকিব।
ক্যারিয়ারের ১৯১তম ওয়ানডেতে ৩০তম ফিফটি উদযাপন করেন মুশফিক। নিজের আট নম্বর ওয়ানডেতে এসে দ্বিতীয় অর্ধশতক পূরণ করেন মিঠুন। চলতি আসরেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা পান তিনি। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৬৩ রান করেন মিঠুন। সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচের সমীকরণ, যে দল জিতবে তারাই উঠে যাবে এশিয়া কাপের ফাইনালে। এর আগে একে একে সাজঘরে ফেরেন টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক ও লিটন কুমার দাস। তৃতীয় থেকে পঞ্চম- প্রত্যেক ওভারে একটি করে উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। হঠাৎ করেই সুযোগটা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না বাংলাদেশি এ ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে ‘ডাক’ মারলেন সৌম্য। ২.৫তম ওভারে দলীয় ৫ রানে পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ খানের ডেলিভারিতে বাজে শটে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দেন আরব আমিরাতে দলের সঙ্গে হঠাৎ যোগ দেয়া এ ক্রিকেটার। সৌম্য মোকাবিলা করেন ৪ বল। ৩.৫তম ওভারে দলীয় ১২ রানে পাক পেসার শাহিন মাহ আফ্রিদির ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বোল্ড আউট হন মুমিনুল হক। আর ৪.২তম ওভারে দলীয় একই রানে অপর পেসার জুনাইদ খানের ডেলিভারিতে স্টাম্প উপড়ে যেতে দেখেন ওপেনার লিটন দাস। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আঙুলের আঘাতের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ নিয়েছেন মুমিনুল হক। ওপেনার নাজমুল হাসান শান্তর বদলে একাদশে সুযোগ দেয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে। বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকেও বাদ দেয়া হয়েছে একাদশ থেকে। অপুর বদলে একাদশে ফিরেছেন পেসার রুবেল হোসেন। পাকিস্তান একাদশে নেই পেসার মোহাম্মদ আমির।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status