দেশ বিদেশ

জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য: মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- তাদের রেখে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না।

ঐক্য তো হয়েছে আপনাদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। আপনারা জনগণের অধিকার হরণ করেছেন তার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য হয়েছে তাদের নিয়ে আবার কীভাবে ঐক্য হয়। তিনি বলেন, তবে আপনাদের সঙ্গেও জাতীয় ঐক্য হতে পারে। আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান। তার পর জনগণের যে পাঁচটি দাবি সেগুলো মেনে নিয়ে দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতার ঘোষণা দেন। তাহলে আমরা আপনাদের স্বাগত জানাব। এ সময় তিনি বলেন, এগুলো আওয়ামী লীগের কথার কথা। এটা মেনে নেয়ার সাহস ও শক্তি আওয়ামী লীগের নেই। তারা পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে জনগণ আজকে ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন করতে হবে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে। এসব ইস্যুতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ছাত্র যুবক সব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটাকে মোকাবিলা করার সাহস নেই সরকারের। তাই এখন আবল তাবল বকছে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ সাজানো ও ভিত্তিহীন মামলায় কারাগারে।

এখন একটি পরিত্যক্ত কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে সরকারি চিকিৎসক দিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু কথা রাখেননি। তারা যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছেন সেই ডাক্তাররাও বলেছেন বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার কথা। কিন্তু সরকার তা করেনি। খালেদা জিয়াকে সরকার এখন এভাবে তিলে তিলে শেষ করে দিতে চাইছে। তিনি আরো বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। জার্মানির একটি গবেষণায় এটা বলা হয়েছে। হামলা মামলার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬টি।

এগুলো কেন করছে সরকার। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এগুলো করছে। বিএনপি নেতাকর্মী যারা আগামী নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। আমাদেরও গ্রেপ্তার করতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের জেলে ভরে ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। আওয়ামী লীগের যারা প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের জেলে নিয়ে তারা একটি নির্বাচন করতে চায়।

কারণ তারা ভয় পায় খালেদা জিয়াকে, তার দলকে, দলের লোককে। বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এদেশে হতে পারে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচন একই সূত্রে গাঁথা। আগে তার মুক্তি দিতে হবে। তার পর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক সাঈদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status