দেশ বিদেশ

নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা, সেই সাইদ ৫ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগের বাংলাবাজার এলাকার ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী মোনালিসা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি আবু সাইদকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে দুই পক্ষের শুনানি শেষে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৭ই সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত আসামি আবু সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই থেকে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল)’র মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দুবাই পুলিশ। এরপর ২৩শে সেপ্টেম্বর তাকে দেশে আনা হয় এবং বিমানবন্দরে সকল প্রক্রিয়া শেষে ওই দিনই তাকে ফতুল্লা মডেলা থানায় আনা হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার বড় আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রী মোনালিসা মুনার (১২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শাহিন বেপারির মেয়ে এবং কাশিপুর উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

ঘটনার দিন মোনালিসা ও তার ছোট ভাই সাহেদকে বাড়িতে রেখে সকালে বাবা শাহিন বেপারি স্ত্রীকে নিয়ে নরসিংদী শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোনালিসার মরদেহ উদ্ধারের কথা জানতে পারেন ।

শাহিন বেপারি জানিয়েছিলেন, বিকালে তার বাড়ির ভাড়াটিয়া তাকে ফোন করে জানান- অজ্ঞাত এক যুবক তার ঘরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পরে বের হয়ে যায়। পরে মোনালিসার ছোট ভাইয়ের ডাক-চিৎকারে এসে দেখে মোনালিসা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ঘরে প্রবেশ করে ওই ভাড়াটিয়া ও তার ছোট ছেলে ওড়না কেটে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে মোনালিসাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

 মোনালিসার ছোট ভাই শাহেদ জানিয়েছিল, ঘটনার দিন বিকালে পানি পান করার কথা বলে ঘরে ঢুকে একই এলাকার আবু সাঈদ। পরে কৌশলে  শাহেদকে  খেলতে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় শাহেদ বাসায় ফিরে দেখে মোনালিসা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।  

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মোনালিসাদের পাশের বাড়িতেই থাকে সাঈদ। কয়েক বছর আগে মোনালিসা মুনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মুনার বাবা মা। পরে সাঈদ পাশের মহল্লার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। ২রা ফেব্রুয়ারি মোনালিসাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে ব্যাপারটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশ ফ্যানের সাথে ঝুঁলিয়ে পালিয়ে যায় আবু সাইদ।

ঘটনার দিনই আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছিল তার পরিবার। বিয়ে করার জন্য সাঈদ ঘটনার তিন মাস আগে দেশে আসেন। অগ্রিম রিটার্ন টিকিট থাকায় পালিয়ে যেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status