খেলা

ফের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে হারলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৩৬ রানে হারে বাংলাদেশ। তবে সেই হারেও এশিয়া কাপের শিরোপার স্বপ্ন অক্ষুন্ন ছিল। কিন্তু গতকাল দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে হেরে সেই স্বপ্নে বেশ বড় ধাক্কাই খেয়েছে টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষেও  ম্যাচে হারের কারণ ব্যাটিং বিপর্যয়। আগের ম্যাচে আফগানদের দেয়া ২৫৬ এর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে গিয়েছিল ১১৯ রানে। অন্যদিকে গতকাল ভারতের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুুড়িয়ে খুড়িয়ে স্কোর বোর্ডে জমা করে লড়াইয়ের জন্য ১৭৩ রানের পুঁজি। জাবাব দিতে নেমে শক্তিশালী ভারত তা টপকে গেছে ৭ উইকেট হাতে রেখেই। এখনো এশিয়া কাপের শিরোপার কাছে যেতে হলে টাইগারদের হারাতে হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে। কিন্তু দলে সুযোগ পাওয়া নতুন ও তরুণদের সক্ষমতা নিয়ে উঠেছে দারুণ প্রশ্ন।  যে কারণে আজ দেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়ে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তারা। এখন দেখার বিষয় শেষ দুই ম্যাচে তারা দলের ভাগ্য বদলাতে পারেন কিনা!  

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে এশিয়া কাপে দারুণ শুরু করেছিল মাশরাফির বিন মুতর্জার দল। কিন্তু হঠাৎ করে যেন আকাশ থেকে মাটিতে পতন। বিশেষ করে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে পড়ায় টাইগার শিবির যেন খেই হারিয়েছে। ইনজুরি নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহীম ছিলেননা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। এছাড়াও দলে ছিলেন না  সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহামনও। কিন্তু  গতকাল তারা দলে ফিরে আসেন ভারতের বিপক্ষে। তবে তাতে পাল্টায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। তামিমের সঙ্গি লিটন দাস ওপেনিংয়ে ব্যর্থতার গন্ডি থেকে বের হতে পারেননি। গতকালও তিনি আউট হয়েছেন মাত্র ৭ রানে। এই এশিয়া কাপে দলের হয়ে আগের দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ০ ও ৬ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে এ তরুণ ও নতুন ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ ম্যাচে ১৩ রান।

অন্যদিকে তামিম ইকবালের পরিবর্তে দলে অভিষেক হওয়া তরুণ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও আলোর সন্ধান পাননি। তিনিও আউট হয়েছেন ৭ রানে। এরপর ইনজুরি নিয়ে এশিয়া কাপ খেলা সাকিব আল হাসানও ব্যর্থ। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এরপর মুশফিকুর রহীম আশার আলো হয়ে আসলে তার বিদায় ২১ রানে। প্রথম ম্যাচে মুশফিকের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি গড়া মোহাম্মদ মিঠুন এই ম্যাচে তার আগেই আউট হন মাত্র ৯ রানের অবদান রেখে। তবে মাহমুদুল্লাহ লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন। মুশফিককে নিয়ে দেখিয়েছিলেন আশাও। কিন্তু মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদুল্লাহ দাড়াতে পারেননি। যদিও ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মাহমুদুল্লাহর আউট ছিল দারুণ বিতর্কিত। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে প্রতিরোধ ভাঙ্গে তার। পর পর তিন ম্যাচে প্রমাণের সুযোগ পেয়ে এই ম্যাচে মাত্র ১২ রানই করতে পেরেছেন আরেক তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

১০১ রানে ৭ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুতর্জা। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮ম উইকেটে দু’জনের ৬৬ রানের জুটিতে কিছুটা হলেও মান বাঁচে টাইগারদের।  মিরাজ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ ও মাশরাফি ২৬ রানে আউট হওয়ার পরও ২’শ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে ধাওয়ান ৪০  এরপর রাইডু ১৩ রানে আউট হলেও জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। এত সল্প পুঁজি দিয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা  সেখানে বোলারদের প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ ছিল ভিষণ কম। ভারতের ওপেনার রোহীত শর্মা এক প্রান্ত আগলে রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status