অনলাইন

জনগণের বিরুদ্ধে নয়, কল্যাণে আইন করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ২:৩৯ পূর্বাহ্ন

সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেছেন, যে আইন তৈরি হচ্ছে, সে আইন জনগনের কল্যাণে না বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল মিডিয়াকে সহয়তা করা, ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জনগণ, ব্যক্তি যাতে সুবিধা নিতে পারে, সে নিরাপদ ও নিরাপত্তাবোধ করে সেটা নিশ্চিত করা। অথচ নিরাপত্তার পরিবর্তে কোন কোন ক্ষেত্রে এটার অপব্যাবহার হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজার ডেইলি স্টার সেন্টারে ইউএসএইড ও সমষ্টির যৌথ আয়োজনে শান্তি ও সহনশীলতা উন্নয়ন সাংবাদিকতা পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিভাবে অপব্যবহার হয়েছে তা দেখেছি। বুধবার সংসদে যে আইন পাশ হলো সেটা কিভাবে ব্যবহার হয় সেই প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রযুক্তি ছাড়া আমরা এগুতে পারবো না। এটাকে কিভাবে সহায়ক শক্তি হিসেবে ব্যববহার করা যায় সেটাই করতে হবে। প্রযুক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে কোন সমাজে আমাদের বেঁচে থাকার উপায় নাই। প্রযুক্তিকে সমাজে একটি স্থান করে দিতে হবে। আর  তাই যদি করতে হয় তাহলে প্রযুক্তিবান্ধব আইন করে দিতে হবে হবে। কিন্তু আমরা আইন তৈরি করতে যেয়ে সঠিকভাবে আইন করতে পারছি না।

গোলাম রহমান আরও বলেন, বর্তমান সমাজের জন্য গণমাধ্যমের অনেক ভূমিকা রয়েছে। সেটা পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা নিউ মিডিয়ার সকলের। তরুণ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনেক ভূমিকা রাখছে। কেউ কেউ এটার আবার অপব্যবহারও করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিকতা যখন উচ্চারণ করি তখনই এরমধ্যে দায়িত্বশীলতার কথা চলে আসে। সব সাংবাদিকই অনুসন্ধান করে। প্রত্যেক সাংবাদিকের কাজ হচ্ছে সত্যটা খুজে বের করা। একজন প্রকৃত সাংবাদিক কারো স্বার্থেই কাজ করেন না, একমাত্র সত্যের স্বার্থে কাজ করেন। সত্য অনুসন্ধান করা সত্যিই কঠিন কাজ। পুরুস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা যারা মূল ধারার সাংবাদিক হতে চান তাদের সত্যটা খুঁজে বের করতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। শান্তির নীতি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটা আমাদের অন্তর থেকে শুরু করতে হবে।

গাজী টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকা সারাবাংলার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, আমাদেরকে সংঘাতের সময় মানবিক সাংবাদিকতা করতে হবে। সেটা যেভাবেই সম্ভব হোক। সারা পৃথিবীতেই সাংবাদিকতার সঙ্গে সংঘাতের একটা সম্পর্ক রয়েছে। সংঘাতের সময় সবাই বাড়ি ফিরেন আর সাংবাদিকরা সেদিকে এগিয়ে যান। নাগরিক সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে চেইন অব কমান্ড নেই। তাদের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও বেশি।

একুশে টেলিভিশনের সিইও এবং প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাহসী ও মেধাবী ছেলেমেয়েদের সাংবাদিকতায় আসতে হবে। তাদেরকে বেশি বেশি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে হবে। সাংবাদিকতায় চ্যালেঞ্জ সবসময়ই থাকবে। এটা সাংবাদিকতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেটা মূলধারার গণমাধ্যমে হোক আর মফস্বলে হোক। যেখানে যেভাবে করেন সবার জন্যই সমান।

দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাসগুপ্ত বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম। তখন কোন সাংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তবুও অনেক পত্রিকায় সংবাদ পাঠাতাম। অনেকসময় ছাপা হয়ে যেত। এভাবেই সাংবাদিকতায় আসছি। তথ্যপ্রযুক্তির সৎ ব্যবহার হয় না এমনটা নয়, তবে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা এর অপব্যবহার করে এসেছে।

পুরুষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউএনবির নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নি ও ইউএসএইড ও সমষ্টির কর্মকর্তারা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status