খেলা
লিভারপুল ৩-২ পিএসজি
৫ গোলের থ্রিলারে নেইমারদের হার
স্পোর্টস ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
লিভারপুলের মাঠে শনিবার দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফেরে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে শেষ হাসি হাসে গতবারের ফাইনালিস্টরা। ম্যাচের ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে লিভারপুল সমর্থকদের জয়োল্লাসে ভাসান রবার্তো ফিরমিনো। মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চে ৩-২ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে নেইমার-এমবাপ্পের পিএসজি। চোখের ইনজুরির কারণে ফিরমিনোর খেলা নিয়ে ছিল সংশয়। বদলি হিসেবে নেমে দলের জয়ের নায়ক বনে যান এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দীর্ঘ ২১ বছর পর মুখোমুখি হয় দুই দল। এটি তাদের তৃতীয় সাক্ষাৎ। এর আগে ১৯৯৭ সালে ইউয়েফা ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপের সেমিফাইনাল খেলে লিভারপুল ও পিএসজি। সেবার নিজ মাঠে ৩-০ গোলে জয়ের পর অ্যানফিল্ডে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালের টিকিট কাটে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। শনিবার ৫২% বল দখলে রাখে লিভারপুল। নিজ মাঠে অল রেডদের আধিপত্য ছিল বেশি। পিএসজির গোলমুখে মোট ১৭টি শট নেন সালাহ-মানে-স্টারিজরা। এরমধ্যে ৭টি শট থাকে অনটার্গেটে। বিপরীতে নেইমারদের ৯টি শটের মধ্যে ৫টি ছিল সরাসরি গোলমুখে। ফিরমিনোর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান ড্যানিয়েল স্টারিজ। ৩০ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। পেনাল্টি থেকে ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার জেমস মিলনার। ৪০ মিনিটে পিএসজিকে ম্যাচে ফেরান রাইটব্যাক টমাস মুনিয়ের। আর ৮৩ মিনিটে নেইমারের বানিয়ে দেয়া বলে ফিনিশিং টানেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৯১ মিনিটে ডি-বক্সের ডান পাস থেকে ফিরমিনোর শটে পরাস্ত হন পিএসজি গোলরক্ষক আলফোনসে অ্যারেওলা।
আর ম্যাচ শেষে পিএসজির জার্মান কোচ টমাস টুকেল বলেন, ‘ফলাফল হয়তো ম্যাচের গল্প বলছে না। লিভারপুল জয়সূচক গোল পাওয়ার আগে হুলিয়ান ড্রাক্সলার সুযোগ মিস না করলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। আমার কাছে ম্যাচের ফলাফলটা যৌক্তিক ও সঠিক নয়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও আমরা আত্মবিশ্বাস হারাননি। আমরা নিজেদের সাহসিকতা ও মানসিক শক্তি দেখিয়েছি।’ পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে পিএসজি বধে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘পিএসজির বিপক্ষে লিড ধরে রাখা কঠিন। কিন্তু আমরা পেরেছি। গোছানো ফুটবল ও বড় মানসিকতা এর উৎস। ১১ জন খেলোয়াড়ই এর অংশ। আমরা প্রতিটি বিভাগেই ভালো খেলেছি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ছেলেরা।’
আর ম্যাচ শেষে পিএসজির জার্মান কোচ টমাস টুকেল বলেন, ‘ফলাফল হয়তো ম্যাচের গল্প বলছে না। লিভারপুল জয়সূচক গোল পাওয়ার আগে হুলিয়ান ড্রাক্সলার সুযোগ মিস না করলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। আমার কাছে ম্যাচের ফলাফলটা যৌক্তিক ও সঠিক নয়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও আমরা আত্মবিশ্বাস হারাননি। আমরা নিজেদের সাহসিকতা ও মানসিক শক্তি দেখিয়েছি।’ পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে পিএসজি বধে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘পিএসজির বিপক্ষে লিড ধরে রাখা কঠিন। কিন্তু আমরা পেরেছি। গোছানো ফুটবল ও বড় মানসিকতা এর উৎস। ১১ জন খেলোয়াড়ই এর অংশ। আমরা প্রতিটি বিভাগেই ভালো খেলেছি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ছেলেরা।’