দেশ বিদেশ
গোরস্থানেও পুলিশ মোতায়েন করা উচিত: নজরুল
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
গোরস্থানেও সরকারের পুলিশ মোতায়েন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, যদি মৃতরা এসে আন্দোলন করে, সেটাকে প্রতিহত করবে কে? তাই গোরস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা উচিত। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আয়োজনে এক সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেড় বছর আগে যিনি মারা গেছেন তিনি নাকি পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছেন। আগস্ট মাসে মারা গেছেন যিনি তিনিও নাকি সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। যারা জীবিত আছে তারাই শুধু এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে না, যারা মারা গেছে তারাও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে! তিনি বলেন, আমরা যখন মিটিং মিছিল করি তখন যাতে কোনো ঝামেলা না হয় এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এখন মৃতদের নামেও মামলা হচ্ছে। কারণ তারাও নাকি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। এ জন্য এখন গোরস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা দরকার। যদি মৃতরা এসে ঝামেলা করে! নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে কয়েক হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। কি অদ্ভূত একটি দেশ। এ দেশের জন্যই কি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করলাম। পত্রিকায় এসেছে পরিবেশ দূষণে মৃত্যুর হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ এই দেশে। কিন্তু এই হিসাব কেউ করেনি, যে রাজনৈতিক দূষণে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এই দূষণে মারা গেছে গত কয়েকবছরে কয়েক হাজার মানুষ। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনেই হাজার হাজার মামলা দেয়া হয়েছে, লাখ লাখ আসামি করা হয়েছে। আমাদের মিটিংয়ের অনুমতি দেয়া হয়। আবার আমাদের কর্মীরা মিটিংয়ে আসার সময় গ্রেপ্তার হয়। কিংবা যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয়। মিটিংয়ে আসলে তাদের ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিউ ইয়র্ক সফর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, হাছান মাহমুদ সাহেব মাঝেমধ্যে উল্টাপাল্টা কথা-বার্তা বলেন। যার কারণে তাদের দলের নেত্রী সাজেদা চৌধুরীও প্রকাশ্যে মিটিংয়ে বলেছিলেন- দেশের মধ্যে বহু বেয়াদব দেখেছি, কিন্তু এরকম বেয়াদব দেখিনি। তিনি বলেন, হাছান মাহমুদ বলেছিলেন আমাদের মহাসচিব জাতিসংঘে কারো দাওয়াতে যাননি, এটা মিথ্যাচার করা হয়েছ। আমি বলব এটা নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর। আমাদের দেশের সচিবালয়ে কি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ছাড়া, পাশ ছাড়া যেতে পারবেন? মির্জা ফখরুল যে এখান থেকে নিউ ইয়র্ক গেলেন, সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতিনিধি তার সঙ্গে কথা বললেন। এসব কি কোনো দাওয়াত ছাড়া হয়েছে? এ রকম তো হয় না কখনো। এর আগে এক সহকারী মহাসচিব (তারানকো) এসেছিলেন। তার সঙ্গে দুই জোটের শীর্ষ নেতারা দেখা করেছেন। খালেদা জিয়াকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব সরকারের দাবি করে তিনি বলেন, বৃটিশ আইনে বলা আছে, আপনি যখন জেলখানায় প্রবেশ করবেন তখন আপনার ওজন মাপা হয়। জেল থেকে বের হওয়ার সময় ওজন মেপে যদি কম পাওয়া যায় তাহলে আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। অর্থাৎ যারা সরকারের হেফাজতে থাকবে, তাদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা দেখার দায়িত্ব সরকারের। বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া ক্রমান্বয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিনি কোনো সাধারণ নাগরিক নন। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো তার চিকিৎসার ব্যবস্থা কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে করার জন্য। বাংলাদেশের লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপ?তি?ত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিনাফ সভাপ?তি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আ?ন্দোল?নের সভাপ?তি কেএম র?কিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।