শেষের পাতা

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারত, চুক্তির খসড়া অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পরিবহনের জন্য একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এজন্য ভারতের কাছ থেকে গ্যাট নীতিমালা অনুসারে শুল্ক বা কর ব্যতীত মাশুল ও পরিবহন খরচ আদায় করা হবে। গতকাল তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তির খসড়াটি অনুমোদন দেয়া হয়। সচিবালয়ে ফিরে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব 
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সুদীর্ঘ করার উদ্দেশ্যে ‘এগ্রিমেন্ট অন দা ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফর্ম ইন্ডিয়া বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হলো। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা পোর্টে যোগাযোগের জন্য যে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে, তার চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখানে প্রভিশন রাখা হয়েছে নেপাল ও ভুটান ইচ্ছা প্রকাশ করলে যুক্ত হতে পারবে। পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের যান ব্যবহার করা হবে জানিয়ে শফিউল বলেন, এটি ট্রানজিট ঠিক না, কারণ আমাদের পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের আইন অনুযায়ী, শুল্ক ও ট্যাক্স তাদের দিতে হবে। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী মালবাহী কার্গো শনাক্ত করতে ‘ট্র্যাকিং সিস্টেম’ ব্যবহার করা হবে। চুক্তির বিভিন্ন শর্তাবলীর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী (গ্যাট) এবং দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

শুল্ক বিভাগ ডিউটিজ অ্যান্ড ট্যাক্সেস সমপরিমাণ বন্ড গ্রহণ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্থল বন্দর ব্যবহার করায় স্থল বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে মাশুল আদায় করা হবে। প্রস্তাবিত চুক্তিতে কয়েকটি রুটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে আগরতলা ভায়া আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া); চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে ডাউকি ভায়া তামাবিল (সিলেট); চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে সুতারকান্দি ভায়া শেওলা (সিলেট); চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার ভায়া শ্রীমম্ভপুর (কুমিল্লা)। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চুক্তিটি ৫ বছরের জন্য সম্পাদিত হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরো ৫ বছর বলবৎ থাকবে। তবে ৬ মাসের নোটিশে যেকোনো পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে পারবে। জরুরি প্রয়োজনে বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনো পক্ষ চুক্তির বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যই স্থলাবদ্ধ (ল্যান্ড লকড)। ভারতের অন্য অংশ থেকে ওই সব রাজ্যে যেতেও হয় অনেক ঘুরপথে। ফলে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে ওইসব রাজ্যে এখন পণ্য নিতে কোনো অসুবিধা হবে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status