ভারত
পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালুর দাবিতে বিজেপির প্রচারাভিযান
কলকাতা প্রতিনিধি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে আসামের মত পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি তথা নাগরিক পঞ্জী চালু করার স্বপক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জনমত সংগঠিত করতে আজ শনিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযানে নেমেছে। রাজ্যের মানুষকে এনআরসির প্রযোজনীয়তা বোঝাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে বিজেপির কর্মীরা। গ্রামে গ্রামে মিছিল, জেলা শহরে সেমিনার ও লিফলেট বিলি করা শুরু করেছে তারা।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, রাজ্যে প্রায় এক কোটি বিদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এদের বিতাড়ন করার কথা আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি।
বিজেপির সর্বভারতীয সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য রাজ্যের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। সেটাই আমরা মানুষকে বোঝাব।
গত ৩০শে জুলাই আসামে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু করার দাবি তুলেছেন। তবে এনআরসি নিয়ে বিজেপি বাঙালি তাড়ানোর খেলায় নেমেছে অভিযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছেন। তিনি এর ফলে রক্তপাতের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আগামী নির্বাচনে এনআরসিকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়ন করা হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের এই মনোভাবের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি চালু করার দাবি নিয়ে ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করেছে।
বিজেপি নেতারা বলেছেন, যেসব হিন্দু বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের নাগরিকত্ব দেবার জন্য নাগরিকত্ব বিল আনা হয়েছে। মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের টার্গেট করেই যে বিজেপি রাজ্যে এনআরসি চালুর দাবি জানাচ্ছে সেকথাও তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে। তবে বিজেপির রাজনৈতিক বিরোধীরা এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ তৈরিই বিজেপির কাজ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এসব করে কোনও লাভ হবে না। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিজেপিকে প্রতিহত করব।
সিপিআইএম নেতা রবীন দেব অভিযোগ করেছেন , সাধারণ মানুষের সব সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েই বিজেপি এনআরসি নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছ্। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এনআরসির দাবিতে বিজেপির এই প্রচারাভিযান আদৌ কোনও কাজে আসবে না। বরং শাসক তৃণমূল কংগ্রেসই এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলবে।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, রাজ্যে প্রায় এক কোটি বিদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এদের বিতাড়ন করার কথা আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি।
বিজেপির সর্বভারতীয সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য রাজ্যের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। সেটাই আমরা মানুষকে বোঝাব।
গত ৩০শে জুলাই আসামে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু করার দাবি তুলেছেন। তবে এনআরসি নিয়ে বিজেপি বাঙালি তাড়ানোর খেলায় নেমেছে অভিযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছেন। তিনি এর ফলে রক্তপাতের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আগামী নির্বাচনে এনআরসিকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়ন করা হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের এই মনোভাবের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি চালু করার দাবি নিয়ে ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করেছে।
বিজেপি নেতারা বলেছেন, যেসব হিন্দু বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের নাগরিকত্ব দেবার জন্য নাগরিকত্ব বিল আনা হয়েছে। মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের টার্গেট করেই যে বিজেপি রাজ্যে এনআরসি চালুর দাবি জানাচ্ছে সেকথাও তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে। তবে বিজেপির রাজনৈতিক বিরোধীরা এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ তৈরিই বিজেপির কাজ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এসব করে কোনও লাভ হবে না। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিজেপিকে প্রতিহত করব।
সিপিআইএম নেতা রবীন দেব অভিযোগ করেছেন , সাধারণ মানুষের সব সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েই বিজেপি এনআরসি নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছ্। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এনআরসির দাবিতে বিজেপির এই প্রচারাভিযান আদৌ কোনও কাজে আসবে না। বরং শাসক তৃণমূল কংগ্রেসই এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলবে।