খেলা
ভারতের অষ্টম না মালদ্বীপের দ্বিতীয়
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের ফুটবল শক্তিটা এমন একপর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, সাফের শিরোপা জয় করাটা ভারতের কাছে এখন রুটিন কাজে পরিণত হয়েছে। এবারো কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন ঢাকায় এসেছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে। যে দলে আবার অনূর্ধ্ব-২০ দলের চারজন নবীন ফুটবলারও আছেন। এমন একটি দল নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। আজ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ভারতের এটি অষ্টম সাফ শিরোপা জয়ের মিশন। অন্যদিকে, মালদ্বীপের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের সুযোগ।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারত রয়েছে ৯৬ নম্বরে। আর মালদ্বীপ আছে ১৫০তম স্থানে। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও পাল্লাটা ভারী ভারতের দিকেই। ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১২ ম্যাচেই জয় আছে সাফের সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের। দু’টি ম্যাচে জয় পেয়েছে কেবল মালদ্বীপ। আর দু’টি ম্যাচ ছিল ড্র। পরিসংখ্যান আর র্যাঙ্কিং, সবদিক দিয়েই বেশ এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল পরাশক্তিরা। তাছাড়া চলতি এ আসরেও ভারত এখনো পর্যন্ত অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে সমান ২-০ গোলে হারানোর সুখ স্মৃতিও আছে দলটির। আর সেমিফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পর পুরো টিমই এখন উজ্জীবিত। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জয় পেলেই অষ্টমবারের মতো সাফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কৃতিত্ব দেখাবে ভারত। তবে ফাইনালের আগে এসব মাথায় না নিয়ে সেরাটা দিয়েই শিরোপা জিততে চান ভারতীয় কোচ। গতকাল প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন বলেন,‘ ছেলেরা কঠিন পরিশ্রম করেছে। সেমিফাইনালেও ভালো খেলেছে। এখন ফাইনাল জয়ের ভালো একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু ভালো খেলেই ফাইনালে উঠেছি, তাই আমরাই জয়ের মাধ্যমে শিরোপার অন্যতম দাবিদার। ইতিমধ্যে আমরা গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে হারিয়েছি। তাই মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। যদিও এটি ফাইনাল ম্যাচ। এখানে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। তারপরও জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। ভারতে এই মুহূর্তে ৩৮ জনেরও বেশি খেলোয়াড় রয়েছে যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যেই ভারত অনূর্ধ-২৩ দলকে পাঠিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় অধিনায়ক সুভাশিষ বোস বলেন,‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো। লক্ষ্য থাকবে ফাইনালে জয় করার। সেরাটা খেলেই আমরা ফাইনালে জয় পেতে চাই।’ দীর্ঘ ৯ বছর পর ফাইনালে খেলার সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় মালদ্বীপও। দলীয় কোচ পিটার সেগার্ট বলেন,‘ ফাইনালে খেলতে পেরে আমরা খুশি। আমি নেপালের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই বলেছিলাম, আমরা নানামুখী প্রস্তুতি নিয়েছি। নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছিলাম। খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে আমি খুশি। আজ আমরা বড় দলের বিপক্ষে বড় ম্যাচ উপহার দিতে চাই। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত আমাদের চেয়ে অনেক বড়। কিন্তু মাঠে খেলবে ১১ জন ফুটবলার। আমাদের দলেরও ১১ জন ফুটবলার তাদের মোকাবেলা করবে। সুতরাং এখানে ভয়ের কিছু নেই। ভারত অবশ্যই সমীহ পাবার মতো দল। তবে আমরাও প্রস্তুত। ৯ বছর পর আমরা ফের শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরতে চাই।’ কাল বড় একটি ‘সেনসেশন’ অপেক্ষা করছে’ বলেও জানিয়েছেন মালদ্বীপের কোচ।
গত আসরের মতোই এবারো চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার ডলার, রানার্সআপ দল ২৫ হাজার ডলার এবং অন্য দুই সেমিফাইনালিস্ট ১০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৬ দেশ অংশগ্রহণ ফি বাবদ পেয়েছে ২৫ হাজার ডলার করে। আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের রোল অব অনার
সাল আয়োজক চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ
১৯৯৩ পাকিস্তান ভারত শ্রীলঙ্কা
১৯৯৫ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা ভারত
১৯৯৭ নেপাল ভারত মালদ্বীপ
১৯৯৯ ভারত ভারত বাংলাদেশ
২০০৩ বাংলাদেশ বাংলাদেশ মালদ্বীপ
২০০৫ পাকিস্তান ভারত বাংলাদেশ
২০০৮ মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা মালদ্বীপ ভারত
২০০৯ বাংলাদেশ ভারত মালদ্বীপ
২০১১ ভারত ভারত আফগানিস্তান
২০১৩ নেপাল আফগানিস্তান ভারত
২০১৫ ভারত ভারত আফগানিস্তান
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারত রয়েছে ৯৬ নম্বরে। আর মালদ্বীপ আছে ১৫০তম স্থানে। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও পাল্লাটা ভারী ভারতের দিকেই। ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১২ ম্যাচেই জয় আছে সাফের সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের। দু’টি ম্যাচে জয় পেয়েছে কেবল মালদ্বীপ। আর দু’টি ম্যাচ ছিল ড্র। পরিসংখ্যান আর র্যাঙ্কিং, সবদিক দিয়েই বেশ এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল পরাশক্তিরা। তাছাড়া চলতি এ আসরেও ভারত এখনো পর্যন্ত অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে সমান ২-০ গোলে হারানোর সুখ স্মৃতিও আছে দলটির। আর সেমিফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পর পুরো টিমই এখন উজ্জীবিত। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জয় পেলেই অষ্টমবারের মতো সাফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কৃতিত্ব দেখাবে ভারত। তবে ফাইনালের আগে এসব মাথায় না নিয়ে সেরাটা দিয়েই শিরোপা জিততে চান ভারতীয় কোচ। গতকাল প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন বলেন,‘ ছেলেরা কঠিন পরিশ্রম করেছে। সেমিফাইনালেও ভালো খেলেছে। এখন ফাইনাল জয়ের ভালো একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু ভালো খেলেই ফাইনালে উঠেছি, তাই আমরাই জয়ের মাধ্যমে শিরোপার অন্যতম দাবিদার। ইতিমধ্যে আমরা গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে হারিয়েছি। তাই মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। যদিও এটি ফাইনাল ম্যাচ। এখানে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। তারপরও জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। ভারতে এই মুহূর্তে ৩৮ জনেরও বেশি খেলোয়াড় রয়েছে যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যেই ভারত অনূর্ধ-২৩ দলকে পাঠিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় অধিনায়ক সুভাশিষ বোস বলেন,‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো। লক্ষ্য থাকবে ফাইনালে জয় করার। সেরাটা খেলেই আমরা ফাইনালে জয় পেতে চাই।’ দীর্ঘ ৯ বছর পর ফাইনালে খেলার সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় মালদ্বীপও। দলীয় কোচ পিটার সেগার্ট বলেন,‘ ফাইনালে খেলতে পেরে আমরা খুশি। আমি নেপালের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই বলেছিলাম, আমরা নানামুখী প্রস্তুতি নিয়েছি। নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছিলাম। খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে আমি খুশি। আজ আমরা বড় দলের বিপক্ষে বড় ম্যাচ উপহার দিতে চাই। আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত আমাদের চেয়ে অনেক বড়। কিন্তু মাঠে খেলবে ১১ জন ফুটবলার। আমাদের দলেরও ১১ জন ফুটবলার তাদের মোকাবেলা করবে। সুতরাং এখানে ভয়ের কিছু নেই। ভারত অবশ্যই সমীহ পাবার মতো দল। তবে আমরাও প্রস্তুত। ৯ বছর পর আমরা ফের শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরতে চাই।’ কাল বড় একটি ‘সেনসেশন’ অপেক্ষা করছে’ বলেও জানিয়েছেন মালদ্বীপের কোচ।
গত আসরের মতোই এবারো চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার ডলার, রানার্সআপ দল ২৫ হাজার ডলার এবং অন্য দুই সেমিফাইনালিস্ট ১০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৬ দেশ অংশগ্রহণ ফি বাবদ পেয়েছে ২৫ হাজার ডলার করে। আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের রোল অব অনার
সাল আয়োজক চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ
১৯৯৩ পাকিস্তান ভারত শ্রীলঙ্কা
১৯৯৫ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা ভারত
১৯৯৭ নেপাল ভারত মালদ্বীপ
১৯৯৯ ভারত ভারত বাংলাদেশ
২০০৩ বাংলাদেশ বাংলাদেশ মালদ্বীপ
২০০৫ পাকিস্তান ভারত বাংলাদেশ
২০০৮ মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা মালদ্বীপ ভারত
২০০৯ বাংলাদেশ ভারত মালদ্বীপ
২০১১ ভারত ভারত আফগানিস্তান
২০১৩ নেপাল আফগানিস্তান ভারত
২০১৫ ভারত ভারত আফগানিস্তান