বাংলারজমিন
দোহারে পুলিশের অভিযান
‘রাতে ধরলো খারাপ দিনে ছাড়লো ভালো’
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঢাকার দোহার উপজেলা আওলিয়াবাদ শিশিরের মোড় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মো. সোহেল, মো. হাসান, মো. আজিম, মো. হাসেম, মো. রাজু, মো. সজিব ও বিজয়সহ ১১ যুবককে অভিযান চালিয়ে আটক করে দোহার মাহমুদপুর ফাঁড়ির পুলিশ। এ সময় তাদের কয়েকজনের কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এদের মধ্যে মো. সজিবকে মদপানের অভিযোগে আটক করা হয়। আটকদের প্রথমে মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিলেও পরে তাদের দোহার থানায় প্রেরণ করেন ফাঁড়ির এসআই নুরুল হুদা। এ বিষয়ে এসআই নুরুল হুদার কাছে আটক যুবকদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি থানা থেকে তথ্য নেয়ার কথা এই প্রতিবেদককে জানান। ফলে থানায় গিয়ে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এএসআই শাহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ফাঁড়ির এসআই নুরুল হুদার কাছে তথ্য জানার কথা বললেও পরে ওসির দোহাই দেন। এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত ইয়াছিন মুন্সির কাছে আটকদের আটকের কারণ ও তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে আটকদের কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। তবে, আটকদের মধ্যে থেকে বিজয় নামে এক যুবককে থানায় আনার আগেই মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এসআই নুরুল হুদা। এমনটাই জানায় ফাঁড়ি থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ছুটে আসা যুবক বিজয়। এছাড়া গতকাল সকাল থেকে আটক অন্য যুবকদের ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় দালাল সের্জন মোল্লাকে দেখা যায় থানার ভেতরে। তবে, দুপুরে আটকদের মধ্যে থেকে সাতজনকে তেমন কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন। তবে, ছেড়ে দেয়ার পেছনে কোনো ধরনের লেনদেনের বিষয় ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।
দোহার মাহমুদপুর ফাঁড়ির এসআই নুরুল হুদা এই প্রতিবেদককে খুব দম্ভোক্তির সঙ্গে বলেন, পারলে আমি টাকা নিয়ে কাউকে ছেড়েছি প্রমাণ করেন। এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমার কোনো পুলিশ যদি কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কাউকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে প্রমাণ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দোহার মাহমুদপুর ফাঁড়ির এসআই নুরুল হুদা এই প্রতিবেদককে খুব দম্ভোক্তির সঙ্গে বলেন, পারলে আমি টাকা নিয়ে কাউকে ছেড়েছি প্রমাণ করেন। এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমার কোনো পুলিশ যদি কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কাউকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে প্রমাণ হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।