বাংলারজমিন
সিলেটে রাজু হত্যায় সাদ্দামের জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
চলন্ত মোটরসাইকেলে রাজুর মাথায় প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হাজী দিনার। এতে মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে যায় রাজুসহ তার সহযোগী। এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমরা সবাই মিলে রাজুকে এলোপাতাড়ি কোপায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে ছাত্রদল নেতা এনামুল হক রাজুকে খুনের ঘটনা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় ঘাতক সাদ্দাম হোসেন। বক্তব্য গ্রহণের পর তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের কোতোয়ালি থানার সিনিয়র এসআই ফায়েজ উদ্দিন মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘রাজু হত্যার কারণ, ঘটনার আদিঅন্ত ইতিমধ্যে তারা পেয়েছেন। তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী অনেকেই পলাতক। সিলেটে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই প্রবাসে চলে গেছে বলে খবর এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘যেসব তথ্য রয়েছে সেগুলো দিয়েই ন্যায়বিচার সম্ভব। আসামিদের খুঁজে না পেলে আমরা আদালতে চার্জশিট দিতে পারবো।’ সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক এনামুল হক রাজুকে ১১ই আগস্ট রাতে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার গলির মুখে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে ঘাতকরা। ওই দিন সিটি করপোরেশনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। মেয়র আরিফকে নিয়ে বিজয় মিছিল করার পরপরই তার ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর হামলাকারী আব্দুর রকিব চৌধুরী, দিলোয়ার হোসেন দিনার ওরফে হাজী দিনার, এনামুল হক, একরামুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ নয়ন, সলিড, সাদ্দাম ফরহাদ, মুহিবুর রহমান খান রাসেল, রাসেল ওরফে কালা রাসেল, আরাফাত, মোফাজ্জল চৌধুরী মুর্শেদ, আলফু মিয়া, শাহীন, সুফিয়ান, জুনিয়র নজরুল, তোহা, আফজল, সাহেদ, রুবেল মিয়া, মামুন ও জুমেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।