বাংলারজমিন
কোম্পানীগঞ্জের ওসির বিরুদ্ধে শামীমের মামলা, দুদককে তদন্তের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ‘বিতর্কিত’ ওসি আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শামীম আহমদ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা করলে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে অভিযোগের তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলায় ওসিসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক সাব ইন্সপেক্টর ও রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাও রয়েছেন। বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করে শত শত কোটি টাকা লুটপাট, দুর্নীতি-অনিয়ম করে লুটপাট ও পরিবেশের ৪-৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ করা হয়েছে এ মামলায়। মামলার বাদী হাজী শামীম আহমদ কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিরের ছেলে। আদালত সূত্র জানিয়েছে, হাজী শামীম আহমদের মামলার পর সিনিয়র বিশেষ জজ ড. মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১১ই নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী একেএম সমিউল আলম। তিনি জানান, শামীম আহমদ সোমবার আদালতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাই, এএসআই মুহিবুর রহমান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ, ভোলাগঞ্জ কলাবাড়ী এলাকার তাজুল ইসলাম ওরফে পরিবেশ মোল্লা, বিল্লাল আহমদ, জীবনপুরের কাজল সিংহ ও বুরদেও গ্রামের সাদ্দাম হোসেনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা, দায়ারবাজার, লিলাইবাজার, উৎমা, গুচ্ছগ্রামসহ অন্যান্য কোয়ারি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত বোমা মেশিনসহ অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে শত শত কোটি কোটি টাকা লুটপাট ও ৪-৫ হাজার কোটি টাকার পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। থানার ওসি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তার যোগসাজশে আসামিরা এ কাজ করেছে। জনস্বার্থে করা মামলায় শামীম আহমদ আরও উল্লেখ করেন, ওসি, এসআই ও নিরাপত্তারক্ষী সরকারি কর্মকর্তা হয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবেশ ধ্বংসে সহায়তা করছেন। অপর আসামিরা তাদের সহায়তা করছে। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তারা দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এছাড়া এজাহারে পাথর কোয়ারি এলাকায় কীভাবে তারা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং কোথা থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে তারও বর্ণনা তুলে ধরা হয়।