ফেসবুক ডায়েরি
২২ পরিবারের বদলে ২২ হাজার পরিবার
মির্জা মাহমুদ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। মজুরি বাড়ার ঘোষণার পর থেকেই এ খবরটি ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। যেন বৈপ্লবিক কিছু ঘটিয়ে ফেলা হয়েছে। আজকালকার বাজারে ৮ হাজার টাকায় কি হয়? ৮ হাজার টাকায় কোনো রকমে জীবন ধারণ করাও সম্ভব না। বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। এবং সেটা ক্রমশ বাড়ছেই। পোশাক শ্রমিকরা যেসব শ্রমঘন এলাকায় বসবাস করেন সেখানে বাসা ভাড়াও অনান্য যেকোনো এলাকার চেয়ে বেশি। যাতায়াত ভাড়াও বেশি। অনেক শ্রমিক বছরে একবারও মাংস, পুষ্টিকর খাবার, ফলমূলের দেখা পান না। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে পারেন না। বিনোদনের সুযোগ পান না। তার উপর আবার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মাকে টাকা পাঠাতে হয়। ছোট ভাই বোনদের পড়ার খরচ জোগাতে হয়। তাদের সাধ, আহ্লাদ, বায়না মেটাতে হয়। এত কিছুর জোগান আট হাজার টাকায় কীভাবে হয়? কীভাবে হবে ?
সকালে অফিস যাওয়ার সময় গণপরিবহনে কিছু পোশাক শ্রমিক নিয়মিতই আমার সহযাত্রী হন। ঘড়ির কাঁটা আটটা পেরুলে বেতন কাঁটার যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তাদের চোখমুখে ও কণ্ঠে আমি দেখতে পাই সেটা সত্যিই লিখে বোঝানো যাবে না।
পাকিস্তান রাষ্ট্র ও বনেদি ২২ পরিবারের শোষণের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনতা, অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। আজ ২২ পরিবারের বদলে ২২ হাজার পরিবার শোষণ করছে। শোষক বদলেছে কিন্তু শোষিত বদলায়নি। শ্রমিকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নেই অথচ গতকাল খবরে দেখলাম এদেশে নাকি ‘অতি ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে’ শ্রমিকদের শোষণ করে মালিকরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে। ধনী আরো ধনী হচ্ছে গরিব পৌছে যাচ্ছে দ্রারিদের নিম্নতর স্তরে। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র প্রচার করে বেড়াচ্ছে দেশে কোন ‘ফকির’ নাই। পথে নামলেই চারপাশ ঘিরে ধরে অভাবী, বুভুক্ষু মানুষের দল। দেশে যদি ‘ফকির’ নাই থাকবে তবে ১০ টাকার চাল কাদের জন্য বিক্রি করা হচ্ছে? ১০ টাকার সেই বরাদ্দকৃত চাল আবার খোলা বাজারে বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে।
সকালে অফিস যাওয়ার সময় গণপরিবহনে কিছু পোশাক শ্রমিক নিয়মিতই আমার সহযাত্রী হন। ঘড়ির কাঁটা আটটা পেরুলে বেতন কাঁটার যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তাদের চোখমুখে ও কণ্ঠে আমি দেখতে পাই সেটা সত্যিই লিখে বোঝানো যাবে না।
পাকিস্তান রাষ্ট্র ও বনেদি ২২ পরিবারের শোষণের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনতা, অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। আজ ২২ পরিবারের বদলে ২২ হাজার পরিবার শোষণ করছে। শোষক বদলেছে কিন্তু শোষিত বদলায়নি। শ্রমিকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নেই অথচ গতকাল খবরে দেখলাম এদেশে নাকি ‘অতি ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে’ শ্রমিকদের শোষণ করে মালিকরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে। ধনী আরো ধনী হচ্ছে গরিব পৌছে যাচ্ছে দ্রারিদের নিম্নতর স্তরে। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র প্রচার করে বেড়াচ্ছে দেশে কোন ‘ফকির’ নাই। পথে নামলেই চারপাশ ঘিরে ধরে অভাবী, বুভুক্ষু মানুষের দল। দেশে যদি ‘ফকির’ নাই থাকবে তবে ১০ টাকার চাল কাদের জন্য বিক্রি করা হচ্ছে? ১০ টাকার সেই বরাদ্দকৃত চাল আবার খোলা বাজারে বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে।