ভারত

আদালতের নির্দেশ না মানায় কারাগারে জেলাপ্রশাসক

কলকাতা প্রতিনিধি

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ১২:১৬ অপরাহ্ন

কোনও জেলাশাসককে কারাগারে পাঠানোর কোনও নজির নেই। তেমনই একটি নজির তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শেখ মহম্মদ রেজা। আদালতের নির্দেশ না মানার জন্য বর্ধমানের জেলাশাসককে সিভিল জেলে ভরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী সোমবার জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেদিনই তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। একমাস তাঁকে কারাগারে থাকতে হতে পারে। তবে আদালতে হাজির না হলে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫-২০০৬ সালে বর্ধমানের গোদায় স্যাটেলাইট টাউনশিপ তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। গোদার বাসিন্দা আব্দুল রহিম, আব্দুল আজিজ ও আব্দুল আলিমের ১ একর ৭৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। শতক পিছু ৫ হাজার ৮৮৬ রুপি দাম নির্ধারণ করেছিল সরকার। তাতে আপত্তি জানিয়ে বর্ধিত দাম পেতে আদালতে মামলা করেছিল জমির মালিকরা। আদালত শতকপিছু ৩৫ হাজার রুপি দাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, জমির মালিকদের পাওনা হয়েছিল ১ কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার রুপি। এছাড়া অর্থ না মেটানো পর্যন্ত বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলে আদালত। ২০১২ সালে দাম মেটানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু, এখনও সরকার সেই দাম মেটায়নি বলে অভিযোগ। বর্তমানে জমির মালিকদের সরকারের কাছে পাওনা হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ রুপি। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েচেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। আদালত এ ধরণের নির্দেশ দিলে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেব। তবে  জমি-মালিকের আইনজীবী রাজকুমার গুপ্ত বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ না আনতে পারলে জেলাশাসককে কারাগারে যেতেই হবে। এটাই আইনের বিধান। এই মামলায় বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থাকে ৫০ হাজার এবং সরকারকে ১০ হাজার রুপি  মামলাপর খরচ হিসেবে জমির মালিককে দিতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status