ষোলো আনা
বাংলাদেশের ইলিশ খেয়ে তৃপ্ত ইয়েংয়ি
নিলয় বিশ্বাস নীল
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
২৭ বছর বয়সী নারী ইয়েংয়ি পিন্ডেরিকা। তিনি এবারে চলমান সাফ সুজুকি কাপ ২০১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের ভুটান দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রচনা করেছেন ইতিহাস, তিনি সাফের প্রথম নারী ম্যানেজার।
সদা হাস্যোজ্জ্বল ইয়েংয়ির সঙ্গে আলাপচারিতায় জানতে চাই, কেমন দেখলেন বাংলাদেশ? বাংলাদেশে এবারই প্রথম এসেছি। ব্যস্ততার কারণে ঢাকার বাইরে যাওয়া হয়নি। যেটুকু দেখেছি ভালোই লেগেছে। তবে, ট্রাফিক জ্যামটা বেশ বিরক্তিকর। বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহার অনেক ভালো। তারা আন্তরিকতায় আমার মন কেড়েছে। এরপর বাংলাদেশে পরিবার নিয়ে আসার ইচ্ছা আছে, ইচ্ছা আছে কক্সবাজারে যাওয়ার।
বাংলাদেশের খাবার ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে ইলিশ মাছ খেয়ে খুবই তৃপ্ত আমি। এছাড়াও বেশ কিছু মাছ খেয়েছি দারুণ লেগেছে। বাংলাদেশের খাবার কেমন লেগেছে এই প্রশ্নের উত্তরে আরো বলেন, এমনকি কিছু রান্নার কৌশলও শিখে নিয়েছি।
পুরুষ দলে মেয়ে ম্যানেজার নতুন কিছু না। এর আগে সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮’তেও ক্রোয়েশিয়া দলের ডাগ আউটে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইভা অলেভেরি।
পুরুষ দলে মেয়ে ম্যানেজার নতুন কিছু না। এর আগে সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮’তেও ক্রোয়েশিয়া দলের ডাগ আউটে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইভা অলেভেরি।
সাফের প্রথম রাউন্ডে প্রথম তিন ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে ভুটান। তার কাছে জানতে চাওয়া, কেমন খেললো আপনার দল? এবার আমরা মোটেই ভালো কিছু করতে পারিনি। আশা করি এই দলটি ভবিষ্যতে ভালো করবে। আমাদের এটা ছিল সম্পূর্ণ তরুণ দল। এমনকি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীও ছিল।
ইয়েংয়ি অনেক দিন ধরেই ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন থিম্পু এফসির হয়ে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে চার বছর করেন ক্রীড়া সাংবাদিকতা। ফুটবল নিয়েই তার চলা, ফুটবল নিয়েই তার স্বপ্ন। তার রয়েছে দুই বছর বয়সী কন্যা, স্বামী কর্মরত আর্মিতে। ফুটবল আর সন্তান সামলাতে হিমশিম খেলেও বরাবরই পান পরিবারের সহযোগিতা। ২ থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকে সোজা উড়াল দিয়েছেন মালয়েশিয়াতে এএফসি কনফারেন্স’এ।
আপনি ভুটানের নারী ফুটবলের আইকন হিসেবে পরিচিত। এই অবস্থান থেকে আপনার স্বপ্ন কী? প্রাণোচ্ছ্বল হাসি দিয়ে বলেন, আমার ইচ্ছা ভুটানের নারী ফুটবলের জাগরণ ঘটুক, জাগরণ ঘটুক বিশ্ব নারী ফুটবলের।
আপনি ভুটানের নারী ফুটবলের আইকন হিসেবে পরিচিত। এই অবস্থান থেকে আপনার স্বপ্ন কী? প্রাণোচ্ছ্বল হাসি দিয়ে বলেন, আমার ইচ্ছা ভুটানের নারী ফুটবলের জাগরণ ঘটুক, জাগরণ ঘটুক বিশ্ব নারী ফুটবলের।