শেষের পাতা
রাগীব আলী ও ছেলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
ফের কারাগারে শিল্পপতি রাগীব আলী। সঙ্গে তার ছেলে আব্দুল হাইও। গতকাল ভূমি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের দুজনকে কারা প্রিজনে করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিলেট জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ জানিয়েছেন, তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং জালিয়াতির একটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের পক্ষে জামিন আবেদন জানানো হয়। পরে এ আবেদনের শোনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এর আগে আলোচিত এই মামলায় ২০১৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন আদালত।
এরপর চলতি বছরের ৯ই আগস্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে সেদিন নিম্্ন আদালতের দেয়া ১৪ বছরের সাজা বহাল রেখে রায় এবং নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। এই মামলায় বছরখানেক জেল খাটার পর ছেলেসহ জামিনে ছিলেন তিনি। সিলেটের হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা-বাগান দেবোত্তর সম্পত্তি। জালিয়াতি ও প্রতারণা করে এই বাগান দখল নেয়ার অভিযোগ ওঠে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর ১৯৯৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ২০০৫ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তৎকালীন ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) এসএম আব্দুল কাদের।
এছাড়া সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন তিনি। এই মামলার বিরুদ্ধে রাগীব আলী উচ্চ আদালতে গেলে দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের শুরুতে তার নিষ্পত্তি হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। স্মারক জালিয়াতি মামলা ছাড়াও রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাতের আরেকটি মামলায়ও সাজা দেয়া হয়।
সিলেট জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ জানিয়েছেন, তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং জালিয়াতির একটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের পক্ষে জামিন আবেদন জানানো হয়। পরে এ আবেদনের শোনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এর আগে আলোচিত এই মামলায় ২০১৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন আদালত।
এরপর চলতি বছরের ৯ই আগস্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে সেদিন নিম্্ন আদালতের দেয়া ১৪ বছরের সাজা বহাল রেখে রায় এবং নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। এই মামলায় বছরখানেক জেল খাটার পর ছেলেসহ জামিনে ছিলেন তিনি। সিলেটের হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা-বাগান দেবোত্তর সম্পত্তি। জালিয়াতি ও প্রতারণা করে এই বাগান দখল নেয়ার অভিযোগ ওঠে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর ১৯৯৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ২০০৫ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তৎকালীন ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) এসএম আব্দুল কাদের।
এছাড়া সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন তিনি। এই মামলার বিরুদ্ধে রাগীব আলী উচ্চ আদালতে গেলে দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের শুরুতে তার নিষ্পত্তি হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। স্মারক জালিয়াতি মামলা ছাড়াও রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাতের আরেকটি মামলায়ও সাজা দেয়া হয়।