খেলা

নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে মালদ্বীপ

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

এক হার, গোলশূন্য এক ড্র’তে দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে সেমিফাইনালে ওঠে মালদ্বীপ। গ্রুপে কোনো গোল করতে না পারা দলটিই কিনা সেমিফাইনালে নেপালকে বিধ্বস্ত করে উঠে গেল ফাইনালে। গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম সেমিফাইনালে মালদ্বীপ জিতেছে ৩ গোলের বড় ব্যবধানে। এই হারে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম আসরে ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পরলো নেপাল। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের এটা পঞ্চম ফাইনাল। আগামী শনিবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে মালদ্বীপ।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে আসর শুরু করে মালদ্বীপ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে দুই গোলে হারে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১৯ নাম্বারে থাকা দলটি। ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কাও হারে দুই গোলে। তিন দলের গ্রুপে মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট গোল, কার্ড সব সমান হওয়ায় টসের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হয় সেমিফাইনাল। টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শেষ চারে আসা মালদ্বীপ এগিয়ে যায় ম্যাচের ৯ মিনিটেই। গোলের নায়ক অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ে বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিক নেন। নেপালি ডিফেন্ডার সুমন আরিয়াল বল প্রতিহত করতে গিয়েও পারেননি। তার দু’পায়ের মাঝ দিয়ে বল জালে প্রবেশ করে। গোলরক্ষক কিরন কুমার বোকা বনে যান। ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা নেপাল ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করেছে। বিমল গাত্রিমারের দুটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয়েছে মালদ্বীপের রক্ষণে। এর কিছু সময় পর আবারো অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়। ২৭ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ চলার পর ম্যাচ কমিশনার চেং লিয়ান চেং বজ্রপাত বিরতি দেন ২৫ মিনিট। এরপর খেলা শুরু হলে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে হতাশ হতে হয় নেপালকে। দারুণ একটি আক্রমণ রচনা করেছিল তারা। কিন্তু অধিনায়ক ভারত খাওয়াজের নেয়া শটটি খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে তাদের হতাশার চাদরে ঢেকে দেন ইউসুফ হোসাইন।

দুই মিনিট পর আরো একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাল গোপালের শিষ্যরা। সে যাত্রায়ও ব্যর্থ তারা। বক্সের ভেতর থেকে বিমলের আড়াআড়ি শটটি ছোট বক্সের ভেতর থেকেও ঠিকমতো প্লেস করতে পারেননি অধিনায়ক ভারত খাওয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধ্বে মাঠে নামার মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যেই নেপালের ভিত আরো একবার কাঁপিয়ে দিয়েছিল মালদ্বীপ। ইব্রাহিম হোসেন পাস থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষক কিরন কুমারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন হাসান। কিন্তু তার নেয়া শট আর জালের ঠিকানা পায়নি। গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে যায়। অথচ ঠান্ডা মাথায় শট নিলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলতে পারতেন এ ফরোয়ার্ড। নেপাল গোল পরিশোধ করতে না পারলেও ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে গোলের গ্রাফটা ঠিকই উপরে নিয়ে যায় মালদ্বীপ। গোল করেন ইব্রাহিম হাসান। ডানদিক থেকে বদলি হিসেবে মাঠে নামা আসাদুল্লাহর মাইনাস নেপালের ডিফেন্ডার দিনেশ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বক্সে দাঁড়ানো ইব্রাহিমের পায়ের সামনে এসে যায় বল। ঠান্ডা মাথার জোরালো শটে নিশানা ভেদ করেন এ ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর মালদ্বীপের হয়ে তৃতীয় ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেন ইব্রাহিম (৩-০)।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status