দেশ বিদেশ
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নীরবতায় আদালত অবমাননার মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন আয়োজনে হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আইনি নোটিসের যথাযথ জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এর আগে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উল্লেখ করে গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ওই তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। গতকাল মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভিসির পক্ষে একজন আইনজীবী একটি জবাব দিয়েছেন। কিন্তু আমরা যে নির্বাচনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছি সে ব্যাপারে তারা পদক্ষেপ নেননি, এটা নিশ্চিত হয়েই এই মামলাটা করা হয়েছে। তিনি জানান, রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে। ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সংক্রান্ত এক রুলের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ১৭ই জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে ৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ঢাবির ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানী ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিনকে আইনি নোটিশ পাঠান রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে জানান তিনি। ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে ২০১২ সালের ১১ই মার্চ ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। পরে একই বছরের ৮ই এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।